২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ঢাকা বাঁচাতে দরকার কার্যকর সমন্বিত পরিকল্পনা

-

ঢাকাকে বাঁচানো জরুরী প্রয়োজন। এজন্য একটি কার্যকর সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ঢাকার সংশ্লিষ্ট ৫৪টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং নগর পরিকল্পনাবিদ পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, জন অধিকার বিশেষজ্ঞ প্রমুখের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী ওয়ার্কিং গঠন করতে হবে। নইলে ঢাকা শহরকে বাঁচানো সম্ভব হবে না।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)’র উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। “অবসবাসযোগ্য নগরীর তালিকায় অন্যতম ঢাকা, উত্তরণের উপায়”-শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্ব করেন।
পবা’র সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেলের সঞ্চালনায় উক্ত সংবাদ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন পবা’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান, নাসফ-এর সাধারন সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ, গ্রীণ ফোর্সের সমন্বয়ক মেসবাহ সুমন, নবযাত্রা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মো. আজমল হোসেন প্রমুখ।
মূল বক্তব্যে বলা হয়, ঢাকা গত ৭ বছর যাবত বসবাসেরর অযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ নম্বরে উঠা-নামা করছে। আমরা ঢাকার বর্তমান অবস্থার দিকে তাকালে লক্ষ্য করি ঢাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৬৩ ভাগ। এ শহরে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ২ লাখ লোক বাসবস করে। শহরে বসবাসকারী জনসংখ্যার ৪০ ভাগ হচ্ছে ঢাকায়। দেশের জিডিপির ৩৫ শতাংশ ঢাকা থেকে আসে এবং দেশের সামগ্রিক কর্ম সামর্থ্যরে ৩০ ভাগ ঢাকাতে বসবাস করে। ঢাকার বস্তিগুলোর জনঘনত্ব বাংলাদেশের একটি সাধারণ গ্রামের তুলনায় ৩০ ভাগ বেশি। এই প্রেক্ষাপটে ঢাকার অবস্থাকে বিশ্লেষণ করতে হবে।
ঢাকাকে বসবাসযোগ্য করতে পবা’র পক্ষ থেকে সুপারিশ দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। এতে বলা হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দুই সিটি করপোরেশন, রাজউক, ওয়াসা, ঢাকা মেট্রো পলিটান পুলিশসহ ঢাকা নগর সংশ্লিষ্ট ৫৪টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে শক্তিশালী একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে আগামী ৬ মাসের মধ্যে বসবাসযোগ্য ঢাকার একটি মহাপরিকল্পনা প্রনয়ন এবং বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। এই ওয়ার্কিং কমিটিতে শহরে বসবাসের উপযোগীতার সাথে যুক্ত বিশেষজ্ঞগণ যেমন নগর-পরিকল্পনাবিদ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবাদীসহ এ সম্পর্কিত বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ যুক্ত থাকবেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কেন্দ্রিয় সরকার, স্থানীয় সরকার এবং জনগণ যুক্ত থাকবে। এই বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক মনোভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা প্রত্যাশা করবো প্রতিটি রাজনৈতিক দল ঢাকা মহানগরীর উন্নয়ন পরিকল্পন্ াজনসম্মুখে প্রকাশ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ঢাকা শহর বর্তমানে সেবা প্রদান এবং উৎপাদন দুধরনের কর্মকান্ডের প্রাণ কেন্দ্র । ঢাকা শহর ভিত্তিক এই উৎপাদনমুখী কর্মকান্ডকে ক্রনান্বয়ে ঢাকা শহরের বাইরে সারা দেশে পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। ঢাকা শুধু কেন্দ্রিয় সেবা প্রদানের ক্ষেত্র হবে। এ জন্য সারা দেশে কার্যকরী প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রিকরণের যে নিদের্শনা আমাদের সংবিধানে বর্ণিত হয়েছে তা অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement