২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুর্যোগ সক্ষমতা ও প্রশিক্ষণের গুরুত্ব

দুর্যোগ সক্ষমতা ও প্রশিক্ষণের গুরুত্ব। - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ দেশ। জাতিসঙ্ঘের তথ্য মতে, সবচেয়ে বেশি ভূকম্পের ঝুঁকিতে থাকা দু’টি শহরের একটি ঢাকা। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, বাংলাদেশ ভূগঠনের কারণে যেকোনো সময় প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে। মনে রাখতে হবে, তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বাংলাদেশে একই মাত্রার ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতি হবে বহু গুণ বেশি। কেননা ক্ষতি কতটুকু হবে সেটা নির্ভর করে জনসংখ্যার ঘনত্ব, বিল্ডিং, রাস্তাঘাট, অবকাঠামোর মান এবং নগরায়ণ কতটা পরিকল্পিত, উদ্ধার ও ত্রাণকাজে প্রস্তুতি ও অভিজ্ঞতা ইত্যাদির ওপর। এর সবকিছুতেই আমরা অন্যদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। শুধু ঢাকা শহরেই প্রায় ৪০ হাজারের অধিক ভবন রয়েছে যেগুলো যথাযথ বিল্ডিং কোড মেনে নির্মিত হয়নি। যার ফলে ঢাকায় বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে পুরো শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। গ্যাসের লাইন বিস্ফোরণ ঘটবে এবং বিদ্যুতের লাইনে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে। বাংলাদেশের কি এই বিপর্যয় মোকাবেলা করার সামর্থ্য আছে? প্রতি বছর কোনো না কোনো দুর্যোগে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের ব্যাপকতা প্রমাণ করে দুর্যোগের পূর্ব সতর্কীকরণ ও ঝুঁকিহ্রাসই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান কৌশল হওয়া উচিত। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের নীতি-পরিকল্পনায় জনগণের জন্য দুর্যোগপূর্ব পূর্বাভাস ও দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে উপকূলীয় সম্ভাব্য উপদ্রুত এলাকার জনগণের মাঝে আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে উপকূলে ৭৬,১৪০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় অনুরূপ স্বেচ্ছাসেবক তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

দেশে ঘনঘন ভূকম্পন অনুভূত হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই মাঝারি ও মৃদু ভূকম্পে কেঁপে উঠছে পুরো দেশ। বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছেন, বাংলাদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামির আশঙ্কার কথা। সুতরাং, প্রশ্ন হলো ভূকম্পের ধকল সামলাতে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত? পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা, সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে আগুন কিংবা রানা প্লাজা ধসের চিত্র আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আসলেই আমাদের সক্ষমতা কতখানি। বড় ভূমিকম্প হলে এরকম রানা প্লাজার মতো বিপর্যয় ঘটবে ঢাকা শহরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ও সড়কে। ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এর পূর্বাভাস দেয়ার উপায় বিজ্ঞানীরা এখনো বের করতে পারেননি। তবে বড় ধরনের ভূকম্পের কিছু পূর্বাভাস রয়েছে, যা বাংলাদেশে বেশ লক্ষণীয়। এর লক্ষণ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মৃদু ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে বেশ কিছু দিন পরপরই।

ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবেলায় আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দু’টি, প্রথমত ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা যতটা নিম্নমুখী রাখা যায়, দ্বিতীয়ত ভূমিকম্প-পরবর্তী বিপর্যয় সামাল দেয়া। সাধারণত ভূমিকম্পে বিল্ডিং দুমড়ে-মুচড়ে গায়ে পড়ে না বরং হেলে পড়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। অনেকেই মনে করেন বহুতল ভবন থেকে নিচে নেমে গেলেই হয়তো সাবধানে থাকা যাবে, কিন্তু সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামা অথবা জানালা দিয়ে লাফ দেয়া আরো বেশি বিপজ্জনক। যেহেতু ভূমিকম্প খুব অল্প সময় স্থায়ী হয়, তাই তাড়াহুড়ো করে রাস্তায় গিয়ে তেমন উপকার হয় না। কেননা বিল্ডিং হেলে গিয়ে রাস্তার ওপরেই পড়ে।

মনে রাখতে হবে, ভূকম্পের সময় যত বেশি মুভ করবেন তত বেশি বিপদের ঝুঁকি থাকে। সুতরাং যেখানে অবস্থান করছেন সেখানেই বিম বা কলামের পাশে শক্ত কোনো কিছুর কাছে থাকতে হবে। যেমন : খাট কিংবা শক্ত ডাইনিং টেবিলের পাশে অবস্থান নিলে ভালো হয়। ভূকম্পের বিপর্যয় এড়াতে সরকারকে আরো দৃশ্যমান ভূমিকা নিতে হবে। সরকারের তরফ থেকে যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণের কথা বলা হলেও ভূমিকম্প-পরবর্তী বিপর্যয় সামাল দেয়ার প্রস্তুতিতে আমাদের যে ঘাটতি রয়েছে, সেটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। দেশের প্রতিটি শহরে যেন যথাযথ আইন ও বিধি অনুযায়ী স্থাপনা নির্মিত হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ভূমিকম্প হলে করণীয় কী এমন প্রচারাভিযান চালাতে হবে যেন মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরি হয়। ফায়ার সার্ভিস, ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে সব সময় প্রস্তুত রাখতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, ভূমিকম্প হলে উত্তেজিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
গুলশানের এক বহুতল ভবনে আগুন লাগল, প্রাণহানিও হলো। প্রাণহানি হলো শুধু আতঙ্কের কারণে উঁচু ভবন থেকে লাফ দিয়ে পড়ে। এই ভবনেই আগুন লাগার পর কয়েকজন বাসিন্দা লিফটে উঠেছিলেন তাড়াতাড়ি নিচে নামার জন্য। লিফটে আটকে পড়েন তারা। ভাগ্যক্রমে প্রাণে বাঁচেন। তার মানে তারা জানতেন না যে বাড়িতে আগুন লাগলে বা ভূমিকম্পসহ যেকোনো বিপদের সময় কখনো লিফটে উঠতে হয় না। তার মানে এই বাড়িতে কখনো অগ্নিনির্বাপণের মহড়া হয়নি। গুলশানের একটি বহুতল ভবনে গত দুই বছরের মধ্যে একবারও অগ্নিনির্বাপণ বা অগ্নিকাণ্ড হলে কী করতে হবে এ ধরনের কোনো মহড়া হয়নি। জানামতে, বাংলাদেশের কোনো বহুতল ভবনেই সেটা হয় না। ভূমিকম্প হোক বা আগুন লাগা। যেকোনো বিপদ কিভাবে মোকাবেলা করতে হয় সে শিক্ষাটা সবার থাকা জরুরি। বিদেশে বিভিন্ন এলাকার উঁচু ভবন, হোস্টেল, হোটেল ইত্যাদি ভবনে প্রায়ই এ ধরনের মহড়া ও প্রশিক্ষণ হয়। কিন্তু আমাদের সেসব বালাই নেই। আমরা হাত-পা গুটিয়ে মৃত্যু কবলিত হওয়ার জন্য বসে থাকি। বাঁচার চেষ্টা কিভাবে করব সেই জ্ঞানটুকুও আমাদের কখনো দেয়া হয় না।

পুরান ঢাকার যে কী বেহাল অবস্থা সেটা সেখানকার বাসিন্দামাত্রই জানেন। দু’টি বাড়ির মধ্যে এক ইঞ্চি জায়গাও ছাড়া হয়নি। গায়ে গা লাগিয়ে ঘেঁষাঘেঁষি করে সব ভবন দাঁড়িয়ে আছে। ভূমিকম্প হলে একটির ওপর আরেকটি যেভাবে পড়বে তাতে কোনো উদ্ধারকাজও চালানো যাবে বলে মনে হয় না। পুরান ঢাকায় আগুন লাগাটাও ভয়াবহ।

নিমতলী আর চুড়িহাট্টার ভয়বহ অগ্নিকাণ্ডের স্মৃতি নিশ্চয়ই মন থেকে মুছে যায়নি। সেইসব ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনার পরও কি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? কিছুই না। এখনো অলিতে গলিতে জুতার কারখানা আর কেমিক্যাল কারখান রয়েই গেছে। মারাত্মক দাহ্য পদার্থ নিয়ে কাজ-কারবার চলছে আবাসিক এলাকার ভেতরেই। পুরান ঢাকার অবস্থা এমন যে আগুন লাগলে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঢোকার জায়গাটুকুও নেই। আশপাশে কোথাও বড় জলাশয়ও নেই। আগে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় একটি বা দু’টি পুকুর থাকত। সেসব কবে ভরাট হয়ে গেছে। পুরান ঢাকায় বৈদ্যুতিক সংযোগের অবস্থাও ভয়াবহ। পুরান ঢাকার যেকোনো রাস্তায় চোখে পড়ে বৈদ্যুতিক তারের ভয়াবহ জট মাথার ওপর ঝুলছে। অবৈধ সংযোগে পুরো এলাকা ভরপুর। শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ বিপদ ঘটতে পারে যেকোনো সময়। বেশির ভাগ বাড়িতেই সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার চলছে যেগুলো কোনো সঠিক বা নিরাপদ নিয়মে নয় বরং খেয়াল খুশিমতো ব্যবহার করা হচ্ছে। পুরান ঢাকাকে বিপদমুক্ত বা নিরাপদ করার কোনো রকম উদ্যোগই চোখে পড়েনি কখনো। ঢাকাবাসীর এক বিশাল অংশ বাস করছে যেন হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে। ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অগ্নিকাণ্ডের বিপদ থেকে ঢাকাকে বাঁচানোর কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এ প্রশ্ন আমার মতো প্রতিটি ঢাকাবাসীর। বিপদ ঘটলে কিভাবে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে সে বিষয়ে কোনো বাস্তব পরিকল্পনা কারো কাছে আছে কিনা তাও জানা যায় না। দুই নগরপিতার কী বলার আছে এ বিষয়ে জানি না। বিপদ ঘটার পরে নয় বরং আগে সতর্ক থাকাটাই বুদ্ধিমানের লক্ষণ। হাজার হাজার প্রাণহানির পর তখন চোখের জলে কোনো সুরাহা হবে না। এ দিকে কর্তৃপক্ষ নজর দিবেন কি?

অনেক সময় অবহেলা ও অবজ্ঞার ভাব নিয়ে মানুষ কিছু ভুল করেন। আর এমন তুচ্ছ ভাবনা থেকে এমন কিছু অঘটন ঘটে থাকে যার পরিণতি ভয়াবহ ও মারাত্মক। যেমন- জ্বলন্ত সিগারেটের আগুন যেখানে সেখানে ফেলে রাখা, জ্বলন্ত চুলা না নেভানো বা ঢাকনা ছাড়া রাখা অথবা গ্রামে অশীতিপর বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার শয্যাপাশে ব্যবহৃত আগুনের মালসার ওপর নজর না রাখা। এ জাতীয় বিষয়গুলো আমরা অনেকে তুচ্ছ ও সাধারণ মনে করি। আসলে আমরা আমাদের অজ্ঞতা ও দায়িত্বহীনতার জন্যই এমন ভুল করি। সামাজিক বোধসম্পন্ন কোনো দেশপ্রেমিক নাগরিকের পক্ষে এমনটা সম্ভব নয়। আমাদের তাই আত্মসচেতন হয়ে দেশপ্রেমবোধে উদ্বুদ্ধ হতে হবে এবং পাশাপাশি নাগরিক দায়িত্ব বোধে সমৃদ্ধ হতে হবে। আগুনের সার্বিক ব্যবহার বিষয়ে যত্নবান হলে প্রতি মৌসুমে দেশের অনেক সম্পদ বিনষ্টের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এ ব্যাপারে আমাদের সকল সমাজকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সমাজ সংগঠন, স্কুল প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও, সর্বোপরি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি সদিচ্ছা নিয়ে আগুনের প্রতিরোধ সম্পর্কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে বিপুল পরিমাণ জাতীয় সম্পদের বিনাশ রোধ করা সম্ভব।

ইতোমধ্যে আমাদের দেশে সাইক্লোন ও বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবেলার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অভিজ্ঞতা ও ব্যবস্থাপনা সামর্থ্যরে অগ্রগতি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কমিউনিটি সম্পৃক্ততা বেশ কার্যকর ও সময়োপযোগী হিসেবে চিহ্নিত। তাছাড়া ভৌত অবকাঠামো নির্মাণে সচেতনতা সৃষ্টি, নির্মাণ কর্মকাণ্ডে সুনির্দিষ্ট নির্মাণ কোড মেনে চলার বাধ্যবাধকতা ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন যে, ইতোমধ্যে প্রণীত ‘জাতীয় বিল্ডিং কোড’ মেনে ভৌতিক নির্মাণকাজ করা গেলে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, প্রকৌশলী, স্থপতি, মিস্ত্রিসহ বিশাল প্রশিক্ষিত ও সচেতন কর্মী বাহিনীকে সমন্বিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন।

লেখক : কলামিস্ট ও গবেষক


আরো সংবাদ



premium cement
জর্ডান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিচারক এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে

সকল