২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার বিকাশধারা

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার বিকাশধারা - ছবি : সংগৃহীত

(দ্বিতীয় পর্ব)
ব্রিটিশ আমলে শিক্ষাব্যবস্থা : ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে শিক্ষা বিস্তারে যেসব উদ্যোগ নেয় তা সব ছিল স্বার্থ রক্ষার অর্থাৎ ভারতে কেরানি ও তাদের অনুসারী চাকর বানাতে। স্মরণযোগ্য যে, চাকর থেকেই চাকরি কথাটির উদ্ভব।

বাংলাদেশের শিক্ষানীতির ইতিহাস জানতে হলে আমাদের ব্রিটিশ আমলের ১১টি শিক্ষানীতি, শিক্ষা কমিশন ও শিক্ষা কমিটির প্রভাব জানা দরকার। তাই সংক্ষেপে এসবের আলোচনা তুলে ধরা হলো। এর মাধ্যমে শিক্ষানীতির পরম্পরা অনুধাবন সহজতর হবে বলে আমরা মনে করি। শিক্ষানীতি কেবল কিছু ভালো নীতি, কৌশল, সুপারিশ ও কথামালার সঙ্কলন নয়; বরং একটি দেশের শিক্ষানীতি অনুধাবন করতে হলে সে দেশের শিক্ষার ইতিহাস ও রূপান্তর এবং শিক্ষার সাথে তৎকালীন রাজনীতির সম্পর্কগুলো বিবেচনায় রাখা অতীব জরুরি।

ব্রিটিশ আমলের ১১টি শিক্ষা কমিশন বা শিক্ষানীতি হলো : ১. ১৭৯২ সালের চার্লস গ্র্যানেন্টর শিক্ষাবিষয়ক সুপারিশমালা। ২. ১৮৩৫ সালের লর্ড মেকেলের শিক্ষাবিষয়ক প্রতিবেদন। ৩. ১৮৪৪ সালের উইলিয়াম অ্যাডামসের শিক্ষাবিষয়ক জরিপ। ৪. ১৮৫৪ সালের উডস ডেসপ্যাচের শিক্ষা কমিশন। ৫. ১৮৮২ সালের উইলিয়াম হান্টারের নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন এবং ১৮৮৩ সালে ওই কমিশন রিপোর্ট পেশ করে। ৬. ১৮৯৮ সালের লর্ড কার্জনের শিক্ষা সুপারিশ নামে শিক্ষা কমিশন গঠন এবং ১৯০১ সালে শিমলা সম্মেলনের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা সংস্কারে তিনি বিশেষ ভ‚মিকা পালন করেন। ৭. ১৯০৪ সালের ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন। ৮. ১৯১৭ সালের স্যাভলার শিক্ষা কমিশন গঠন। ৯. ১৯২৯ সালের হার্টিস শিক্ষা কমিশন ঘোষণা। ১০. ১৯৩৪ সালের সাফ্রু শিক্ষা কমিশন এবং ১১. ১৯৪৪ সালের জন সার্জেন্ট শিক্ষা কমিশন শিক্ষাব্যবস্থা রিপোর্ট পেশ করা হয়। পাক ভারতে ব্রিটিশ শাসকদের গঠিত ১১টি শিক্ষা কমিশনের মূলত উদ্দেশ্য ছিল : ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শিক্ষার মাধ্যমে ভারতবর্ষের মানুষকে ইংরেজদের গোলাম বানানো ষড়যন্ত্র। কুরআনের আলোকে গড়ে ওঠা শিক্ষাব্যবস্থার ধ্বংস সাধন।

লর্ড মেকেলের শিক্ষাব্যবস্থা বাংলাসহ উপমহাদেশে স্থায়ীভাবে চালু হয় এবং আজো ওই শিক্ষার আলোকে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ রয়েছে শিক্ষাব্যবস্থা চালু। শিক্ষানীতির আনুষ্ঠানিক যে রূপের সাথে আমরা বর্তমানে পরিচিত, উপমহাদেশে এর প্রাথমিক ভিত্তি ঘটে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মাধ্যমে। এটি মনে করার কোনো কারণ নেই যে, উপনিবেশ স্থাপনের পর ভারতে ব্রিটিশরা স্থানীয় মানুষের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়েছে। ইতিহাস বরং সাক্ষ্য দেয়- মূলত কোম্পানির কাজে সহায়ক জনগোষ্ঠী তৈরি এবং কুরআনিক শিক্ষা ধ্বংসের উদ্দেশ্য নিয়ে ব্রিটিশরা উপমহাদেশে শিক্ষার বিস্তারে মনোযোগী হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি উপমহাদেশে শাসন শুরুর অনেক পরে শিক্ষার প্রসারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। তত দিনে খ্রিষ্টান মিশনারিরা ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি শিক্ষা সম্প্রসারণের কাজটি করে। কোম্পানির শাসনামলে ১৮১৩ সালে প্রথমবারের মতো কোম্পানি সনদ আইন বা চার্টার অ্যাক্টে একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষার গোছানো প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু। একই সাথে এ আইন উপমহাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার গতি-প্রকৃতি নিয়ে বিতর্কেরও সৃষ্টি করে।

বিশেষত শিক্ষার উদ্দেশ্য, কারা শিক্ষা প্রদানের দায়িত্বে থাকবেন এবং শিক্ষার মাধ্যম কী হবে- এসব বিতর্কের মাধ্যমে শিক্ষার সাথে মানুষের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কগুলোও আলোচিত হতে শুরু করে।

শিক্ষা যে সমাজব্যবস্থা ও শাসনব্যবস্থার বাইরের কিছু নয়, এর প্রমাণ পেতে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৮৩৫ সালে লর্ড থমাস ম্যাকলে সরাসরি জানিয়ে দেন, কোম্পানির এমন কিছু ভারতীয়ের প্রয়োজন যারা মূলত তাদের এবং কোম্পানি যাদের শাসন করে, অর্থাৎ ভারতীয়দের মধ্যকার যোগসূত্র হিসেবে কাজ করবে। মানে দাঁড়াচ্ছে, শিক্ষা বিস্তার মূল উদ্দেশ্য ছিল না; বাণিজ্যের স্বার্থে যতটুকু শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন, কোম্পানি ততটুকুর আয়োজন করবে। ম্যাকলে আরো জানান যে, এ মানুষগুলো শরীরে ও রক্তে হবে ভারতীয় কিন্তু চিন্তাচেতনায় হবে ব্রিটিশ। শুধু ভৌগোলিকভাবে নয়, মনোজগতে উপনিবেশ স্থাপনও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল। এ লক্ষ্যে ম্যাকলে ইংরেজি ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।

দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার মাধ্যমে ভারতীয়দের উন্নতির বদলে জনগণকে শাসন ও শোষণে যারা নিয়োজিত ছিল, ম্যাকলে মূলত তাদের প্রয়োজন মুখ্য করে তুলেছিলেন। শিক্ষা নিয়ে কোম্পানির এ রকম নানা সিদ্ধান্তে এক দিকে পুরো ভারতে স্থানীয়ভাবে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা যেমন মূল্যহীন হয়ে পড়ে; তেমনি এক দল কেরানি ও ইংরেজদের গোলাম সৃষ্টির মাধ্যমে বিভাজনের পথটিও আনুষ্ঠানিক করে তোলা হয়। মানুষের বিকাশে নয়, শিক্ষা মূলত কিছু নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।

এ ধারাবাহিকতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শিক্ষা নিয়ে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত হতে থাকে। যদিও ম্যাকলের শিক্ষানীতিকে এ অঞ্চলের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়; কিন্তু ১৮৫৪ সালে চার্লস উডের তৈরি করা উডস ডেসপ্যাচ অন এডুকেশনকে অনেকে উপমহাদেশে শিক্ষার ম্যাগনা কার্টা হিসেবে অভিহিত হয়। কারণ উডের ডেসপ্যাচে প্রথমবারের মতো গোছানো শিক্ষাক্রমের আভাস মেলে।

অবশ্য একই সাথে বলা প্রয়োজন, কোম্পানির শাসনের সুবিধার্থে ভারতের শিক্ষা সাজানো হলেও ব্রিটিশদের মাধ্যমে উপমহাদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার কাঠামো ও রূপরেখার প্রবেশ ঘটে। কোথাও তা ইতিবাচক হিসেবে কাজ করে। ব্রিটিশদের প্রয়োজনের তাগিদে ভারতজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপিত হতে থাকে, যা এ অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ত্বরান্বিত করে। উডের ডেসপ্যাচ উপমহাদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষা পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত করে।

বলা যায়, এর মাধ্যমে স্থানীয় শিক্ষা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। বিশেষভাবে মুসলমানদের দীর্ঘ ৬০০ বছরের বেশি সময়ে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে পড়ে। সমাজ ও মানুষের চাহিদা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা ঘিরে শিক্ষা আবর্তিত হওয়ার কথা; ব্রিটিশরা সেখানে চাপিয়ে দেয়ার নীতি প্রতিস্থাপন করে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পর ব্রিটিশ সরকার এ অঞ্চলের শাসনের দায়িত্বভার নিলেও শিক্ষার মূলনীতিগুলোতে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন ঘটায়নি। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ১৮৮২ সালের হান্টার কমিশন, ১৯০৪ সালের লর্ড কার্জনের শিক্ষা সংস্কার, ১৯১৯ সালের স্যাডলার কমিশন কিংবা সর্বশেষ ১৯৪৪ সালের জন সার্জেন্ট স্কিম শিক্ষার উন্নয়নে নানা সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সেগুলো মূলত পাশ্চাত্য শিক্ষার বিকাশ ত্বরান্বিত করে।


দেখা যাচ্ছে, ব্রিটিশ শাসনামলে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় ইসলামী শিক্ষা ও স্থানীয় পর্যায়ের শিক্ষা পেছনে ঠেলে এবং স্থানীয় শিক্ষাব্যবস্থা গুরুত্বহীন করে এ অঞ্চলে পাশ্চাত্য শিক্ষাকে প্রধান করে তোলা হয়। ভারতবাসীও ধীরে ধীরে এতে অভ্যস্ত হয়েছে, কারণ সমাজ রাজনীতি ও অর্থনীতির যে কাঠামো গড়ে উঠেছিল সে সময়ে, সেগুলোর সাথে শিক্ষার কাঠামো সমমূল্যে তৈরি করা হয়েছে। ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে গেলে সেই লয়ে আপাত ছেদ পড়ে বটে; কিন্তু দেখা যায়, পাকিস্তান আমলেও ব্রিটিশদের তৈরি করা শিক্ষা নীতির অনুকরণে শিক্ষাব্যবস্থা চলতে থাকে।

৩. পাকিস্তান আমলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা
১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে দুটো স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয় : এক ভারত, দুই পাকিস্তান। ব্রিটিশ আমলের শিক্ষানীতির ইতিহাস মূলত পূর্ববঙ্গসহ ভারতবর্ষে ইসলাম শিক্ষা ধ্বংসের ইতিহাস। ব্রিটিশ আমলের ১১টি ছোট ও বড় শিক্ষা কমিশন বা শিক্ষানীতি মানুষকে যতটুকু না সরাসরি ক্ষুব্ধ, ক্রোধান্বিত ও প্রতিবাদী করেছিল, পাকিস্তান আমলের ছয়টি কমিমনের কার্যক্রম পূর্ববাংলার মানুষদের তার চেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ করে। অর্থাৎ এ শিক্ষানীতি তার চেয়েও বহু গুণে বিদ্রোহী তরে তোলে মানুষকে। শিক্ষার মাধ্যমে কিভাবে একটি জনগোষ্ঠীকে দমিয়ে রাখার পরিকল্পনা করা যায়, তার উদাহরণ হতে পারে পাকিস্তান আমলের শিক্ষানীতিগুলো।

পাকিস্তান আমলে গঠিত ছয়টি শিক্ষা কমিশনের নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচিতি উল্লেখ করা হলো :
১. ১৯৫২ সালের মাওলানা আকরম খার শিক্ষা পুনর্গঠন কমিটি : ঔপনিবেশিক শিক্ষা থেকে বেরিয়ে একদমই নিজস্ব শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনে শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক মাওলানা মুহাম্মদ আকরম খাঁকে প্রধান করে ‘পূর্ববঙ্গ শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠন কমিটি’ গঠিত হয়। কমিটি প্রণীত সুপারিশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে প্রচলিত প্রাথমিক শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বলা হয়। সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা-পরবর্তী ১৫ বছর বা সম্ভব হলে তার আগে প্রবর্তনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ বেশকিছু সুপারিশ করা হয়। কিন্তু সুপারিশ বাস্তবায়নের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।

২. ১৯৫৭ সালের আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশন : ১৯৫৭ সালে গঠিত আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশন করা হয়। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চশিক্ষা, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশন অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার সুপারিশ করে সমগ্র পূর্ববঙ্গ বা পূর্ব পাকিস্তানের জন্য। এ কমিশন পাঁচ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা এবং ছয় বছরের মাধ্যমিক শিক্ষা চালুর প্রস্তাব দেয়। সেখানে তিন বছর মেয়াদের জুনিয়র হাইস্কুল (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী) এবং তিন বছর মেয়াদের সিনিয়র হাইস্কুল (নবম থেকে একাদশ শ্রেণী) কিংবা পূর্ণ ছয় বছর মেয়াদের হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছিল, যা বর্তমান বাংলাদেশের শিক্ষা কাঠামোর সাথে অনেকাংশে মিলে; যদিও এখন মাধ্যমিক শিক্ষা সাত বছর মেয়াদি।

৩. ১৯৫৮ সালের এস এম শরিফ খান শিক্ষা কমিশন : পশ্চিম পাকিস্তানের তৎকালীন শিক্ষা সচিব এস এম শরীফকে সভাপতি এবং ১০ শিক্ষাবিদকে সদস্য করে পাকিস্তান সরকার ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় শিক্ষাবিষয়ক কমিশন গঠিত হয়। এ কমিশনের সভাপতি বা চেয়ারম্যানের নাম অনুসারে শরীফ কমিশন নামে পরিচিত। শরীফ কমিশন পাকিস্তানি মতবাদ ও জাতীয়তাবাদ এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন সামনে রেখে কিছু সুপারিশ রেখেছিল। কিন্তু সেখানে বাঙালা ভাষা ও সংস্কৃতির সঠিক প্রতিফলন ছিল না। তদানীন্তন শাসকগোষ্ঠীর উদাসীনতা ও অবহেলায় সুপারিশগুলোর বেশির ভাগ বাস্তবায়িত হয়নি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে।

৪. ১৯৬৩ সালের ইসলামিক ইউনিয়ন (ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসাইন) শিক্ষা কমিশন।

৫. ১৯৬৬ সালের বিচারপতি হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন।

৬. ১৯৬৯ সালের এয়ার মার্শাল নূর খান শিক্ষা কমিশন।

পাকিস্তান আমলে গঠিত ছয়টি শিক্ষা কমিশনের সুপারিশমালা পাকিস্তান শাসন আমলে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তারপর ১৯৭১ সালে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়।

লেখক : সাবেক কলেজশিক্ষক ও সাবেক সিনেট
সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


আরো সংবাদ



premium cement
কলিং ভিসায় প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফেরার সময় মারা গেল মালয়েশিয়া প্রবাসী নারায়ণগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিবকে আটকের অভিযোগ হাতিয়া-সন্দ্বীপ চ্যানেলে কার্গো জাহাজডুবি : একজন নিখোঁজ, ১১ জন উদ্ধার হঠাৎ অবসরের ঘোষণা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের বগুড়ায় গ্যাসের চুলার আগুনে বৃদ্ধা নিহত বগুড়ায় ধানের জমিতে পানি সেচ দেয়া নিয়ে খুন জিআই স্বীকৃতির সাথে গুণগত মানের দিকেও নজর দিতে হবে : শিল্পমন্ত্রী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ সখীপুরে সাবেক ও বর্তমান এমপির সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়

সকল