২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিলেট অঞ্চলে কেন এত বন্যা

সিলেট অঞ্চলে কেন এত বন্যা - ফাইল ছবি

প্রথমত, নদীর উৎসমুখে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে বন্যা হতে পারে। পাহাড়ি এলাকার বৃষ্টির পানি গড়িয়ে নিম্ন ভূমিতে চলে আসে। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বর্তমানে সেটাই ঘটছে। সাধারণত এ ধরনের পাহাড়ি ঢল দেখা যায় মে মাসে; যা এরই মধ্যে তিনবার হয়েছে। এই পাহাড়ি ঢলের পানিতে আজ সিলেট বিভাগ প্লাবিত।

দ্বিতীয়ত, মৌসুমি বন্যা যা আমাদের দেশে বর্ষাকালে নদীগুলোর অববাহিকায় হয়ে থাকে। যখন বঙ্গোপসাগর থেকে বয়ে আসা মেঘ হিমালয় বা উত্তরের পাহাড়গুলোতে ধাক্কা খায়, তখন প্রচুর বৃষ্টি হয়। সেই পানি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকা দিয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। এই বন্যা তিন অববাহিকাতেই হয়।

বাংলাদেশের মোট আয়তনের প্রায় ৮০ শতাংশ ভ‚মিই নদ-নদী অববাহিকায় পড়ে। ছোট-বড় মিলিয়ে নদ-নদী আছে তিন শতাধিক। তিন অববাহিকায় যদি আলাদা আলাদা সময়ে বন্যা হয়, তখন বাংলাদেশের তেমন বিপদ হয় না। পানি নেমে যাওয়ার সময় পায়। কিন্তু তিন অববাহিকায় একই সময় বন্যা হলে দেশের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব দিক প্লাবিত হয়। এবার তেমনটাই হচ্ছে।

মেঘনায় যখন পানি আসে তখন যমুনার পানি নামতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। আবার একই সময় যদি গঙ্গা দিয়ে পানি আসে, তখন মেঘনা ও যমুনার পানি নামতে পারে না। এবার মেঘালয়, আসাম, অরুণাচল, সিকিম, ভুটান, নেপালে বৃষ্টি হয়েছে। তাই মেঘনা ও যমুনায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় গঙ্গা তথা পদ্মায়ও পানি ঢুকেছে। এতে বাংলাদেশ প্লাবিত হয়েছে।

তৃতীয়ত, সমতল ভূমি তথা নদীর প্লাবনভূমিতে বন্যা হয় নদীর দুই পাড়ের পানি উপচে পড়ে।

চতুর্থত, উপক‚লীয় বন্যা যা নদীর মোহনা এবং নদী-সাগরের উপক‚লীয় অঞ্চলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বা সুনামির জন্য বন্যা হতে পারে।

পঞ্চমত, ফারাক্কা-গজলডোবার কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্ট বন্যা। পদ্মার উজানে ফারাক্কা ও তিস্তার উজানে গজলডোবা বাঁধের কারণে এই দুই নদীর অববাহিকায় বন্যার নিয়ন্ত্রণ এখন আমাদের হাতে নেই। ভারত যখন খুশি তখন পানি ধরে রেখে শুষ্ক মৌসুমে আমাদের দেশের মাটি শুষ্ক করে এবং বর্ষা মৌসুমে পানি ছেড়ে দিয়ে ডুবিয়ে মারতে চাইলে তা অনায়াসেই করতে পারে, যদি না চুক্তি করে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আবার সুরমা-কুশিয়ারার উজানে টিপাইমুখের বাঁধ সত্যি সত্যিই বাস্তবায়ন হয়ে গেলে তো বাংলাদেশের বন্যার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ভারতের হাতেই চলে যাবে।

ষষ্ঠত, মনে হচ্ছে বাংলাদেশ একটি বন্যা চক্রের কবলে। পাঁচ থেকে সাত বছর পরপর বড় বন্যা হচ্ছে। ২০১৭, ২০১৪, ২০০৭-০৮, ২০০৪, ১৯৯৮, ১৯৯৪ ও ১৯৮৮ সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এই সাইকেল মেনে এবারো বন্যা হয়েছে।

ভারত থেকে ৫৩টি নদীর মাধ্যমে বাংলাদেশের হাওর, খাল ও নদীতে পানি আসে। সে পানি যায় বঙ্গোপসাগরে। মাত্র একটি মৃতপ্রায় ‘কুলিক’ নদী দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পানি ভারতে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগরে যাওয়া পানির ৫৬ শতাংশ আসে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল বা নদীর প্রবাহ থেকে, ৪৪ শতাংশ বাংলাদেশে বৃষ্টির ফলে। তবে বাংলাদেশ হয়ে এই পানি সাগরে যেতে পথে পথে পড়ে নানা বাধার মুখে। নদীর নাব্য সঙ্কট, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, জমি ভরাট ও পূর্ব-পশ্চিমে আড়াআড়ি মহাসড়কই পানিপ্রবাহে মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

অন্য সব জায়গার মতোই মূলত প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট- এ দুই কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হতে থাকবে।

প্রাকৃতিক কারণ:

প্রথমত, চেরাপুঞ্জীতে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জী বিশ্বের সবচেয়ে বৃষ্টিপ্রবণ এলাকার একটি। এবারে চলতি ১৭ জুন পর্যন্ত ৪০৮১.৩ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সুরমা-কুশিয়ারা নদী ছাড়া বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশির ভাগ নদীর উৎপত্তি মেঘালয় থেকে। ফলে মেঘালয়ে বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের সব পানি চলে আসে সিলেট-সুনামগঞ্জে।

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জীতে এবার দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা’।

আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, সিলেট অঞ্চলে এবার যে পরিমাণ বন্যা হয়েছে, গত ২০ বছরেও তা হয়নি। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘১৮ জুন পর্যন্ত যে তিন দিনের বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে তার আগে ১৯৯৫ সালে এ রকম ধারাবাহিক বৃষ্টি হয়েছিল এবং তারো আগে এটি হয়েছিল ১৯৭৪ সালে।’

দ্বিতীয়ত, সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলের ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান:
ড. সজল নাগ রচিত এবং ২০১৭ সালে প্রকাশিত ‘প্লেইং উইথ নেচার : দ্য হিস্টরি অ্যান্ড পলিটিক্স অব এনভায়রনমেন্ট ইন নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া’ নামের বইতে সিলেটসহ উত্তর-পূর্ব ভারতের ভূ-প্রাকৃতিক বর্ণনায় এ অঞ্চলের বন্যার একটি বড় কারণ উল্লেখ করেছেন। ওই বইয়ে সিলেট অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতিকে সুরমা-বরাক ভেলি নামে অভিহিত করা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ভেলি হলো মূলত আসাম অঞ্চল নিয়ে গঠিত অঞ্চল, যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪৮ ফুট উঁচু। সুরমা বরাক ভেলি যা মেঘালয়-মনিপুর অঞ্চল নিয়ে গঠিত, যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২৩ ফুট। তবে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জীর উচ্চতা আসামের পাহাড়গুলোর উচ্চতার চেয়ে কম হলেও বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা এবং বেশি খাড়া হওয়ায় খুব দ্রুত তা সুনামগঞ্জ-সিলেটে পৌঁছে যায়। এ কারণে বন্যার আশঙ্কা সব সময়ই থেকে যাবে।

প্রসঙ্গত, কানাডার সাসকাচুন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোস্তফা কামাল সম্প্রতি আবহাওয়ার গতিবিধি লক্ষ করে বলেছেন, ‘চেরাপুঞ্জীতে যে সময় বৃষ্টি হয়েছে ঠিক একই সময়ে আসামেও প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। চেরাপুঞ্জীর বৃষ্টিতে সিলেটে তাৎক্ষণিক বন্যা হলেও আসামে বৃষ্টির পানি বাংলাদেশে এখনো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেনি।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর লা নিনো’র কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত ও বন্যা হবে। বৃষ্টিপাতের সাথে ‘মেডেন জুলিয়ান ওসিলেশন’-এর (গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আবহাওয়ার ওঠানামা) সম্পর্ক আছে। বর্তমানে ‘মেডেন জুলিয়ান ওসিলেশন’ দুর্বল অবস্থায় আছে। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এটি সক্রিয় হবে। তখন এটি অবস্থান করবে ভারত মহাসাগরের উপরে। এতে বঙ্গোপসাগরে প্রচণ্ড মেঘ ও জলীয়বাষ্প তৈরি হবে। বাতাস এ মেঘের পুরোটাই আমাদের বাংলাদেশের দিকে নিয়ে আসে। তখনই মেঘালয় ও আসামে আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হবে।

চেরাপুঞ্জীর বৃষ্টির পানি সরাসরি ঢালু বেয়ে বাংলাদেশের হাওরগুলোতে ঢুকে পড়া এবারকার বন্যার অন্যতম প্রধান কারণ। বৃষ্টিপাত বেশি হলে মাটির ক্ষয় বেশি হয় এবং ভাটিতে প্রাকৃতিকভাবেই নদী ভরাট হয়ে যায়। সিলেট-সুনামগঞ্জের চেয়ে মেঘালয়, আসাম উঁচু হওয়ায় সেখানে ভূমিক্ষয় হলে তা বিপুল পলিমাটি, পাথর বয়ে নিয়ে বাংলাদেশে আসে। ফলে নদী দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে।

সিলেট অঞ্চলে বন্যা আর ব্রহ্মপুত্র ও পদ্মার অববাহিকা যেমন- রংপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, ফরিদপুর ও ঢাকার বন্যার কারণ এক নয়। শুধু ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়লে তা সপ্তাহখানেকের মধ্যে সরে পড়ে, যেহেতু এই অববাহিকা অপেক্ষাকৃত ঢালু। আবার পদ্মা-ব্রহ্মপুত্রের পানি একসাথে বাড়লে বড় বন্যা হতে পারে। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়লে সাধারণত উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হতে বাধ্য, যেমনটি হয়েছিল ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালের। চলতি বছরও এ ধরনের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

মানবসৃষ্ট কারণ:
প্রথমত, অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে আবহাওয়া-জলবায়ু বা বৃষ্টির ধরন বদলে গেছে। এখন বৃষ্টি হলে অনেক বেশি গভীর বৃষ্টি হয়।’ মানুষের অসতর্ক কার্যকলাপে অতিরিক্ত কার্বন ও অন্যান্য গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। জলবায়ু হয়ে উঠছে চরম ভাবাপন্ন। ফলে খরা হলে প্রচণ্ড খরা আবার বৃষ্টি হলে অতিরিক্ত বৃষ্টি- এ নিয়ে প্রকৃতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। বর্তমানে প্যাসিফিকেও একটি লা নিনো আছে। সেটিও অতিবৃষ্টির পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও দুর্যোগ বিজ্ঞান ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনে বড় বন্যা ও সাইক্লোনের মতো বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হবে যা বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার সাথে জড়িত। এগুলোকে হাইড্রোক্লাইমেটিক ডিজাস্টার বলে। এগুলোর প্রভাব পৃথিবীব্যাপী বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। এমনিতেই আমাদের এ অঞ্চল বন্যা ও সাইক্লোনপ্রবণ অঞ্চল, এ জন্য আমাদের মতো অঞ্চলে এর ভয়াবহতা দিন দিনই বৃদ্ধি পাবে।’ মূলত জলবায়ু পরিবর্তনে অল্প সময়ে অধিক বৃষ্টিপাত হওয়াকে জলবায়ুর এক্সট্রিম ইভেন্ট বলে। এর প্রভাবই সিলেট অঞ্চলে পড়েছে।

দ্বিতীয়ত, ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেট বা সুনামগঞ্জে আগে যে রকম ভ‚মি ছিল, নদীতে নাব্য ছিল, এত রাস্তাঘাট ছিল না বা স্থাপনা ছিল না। কিন্তু এখন তো সেখানকার চিত্র পাল্টেছে। বন্যার পানি নেমে যেতেও সময় লাগে।’

অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে ডিজাস্টার ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট করে। অনেকে কিশোরগঞ্জের ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়কটি এ অঞ্চলের জনমানুষের লাইফ লাইন মনে করেন। অথচ এ রোডটিকে বন্যার জন্য দায়ী করা হয়। কিন্তু মিঠামইন থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে যেখান পর্যন্ত সুরমা-কুশিয়ারা মিলিত ধারা মেঘনা নদী হয়েছে- এই দূরত্বে অন্তত ৩২টি চর আছে যার কারণে নদীর নাব্য অনেক হ্রাস পেয়েছে। এ জন্য সবচেয়ে উত্তম হলো হাওর-বাঁওড়ের উন্নয়নকালে উড়াল সেতু নির্মাণ করা। এ জন্যই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে হাওরে সরাসরি রাস্তা না হয়ে যোগাযোগের জন্য উড়াল সেতু হবে।

তৃতীয়ত, সিলেটে ছোট-বড় ৩৬টি নদী আছে, যার প্রায় সবই ড্রেজিং না করায় নাব্যহীন। নাব্যতা নষ্ট হওয়া বন্যার আরেকটি বড় কারণ।

তিস্তা বা পদ্মার অববাহিকায় বন্যা হলে আমরা ভারতকে দোষ দিতে পারি, সিলেটের বেলায় তেমন পারছি না। তবে এবারকার সিলেটের বন্যার দায়ভার কিছুটা প্রাকৃতিক, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানবসৃষ্ট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাওর-বাঁওড় সংস্কার ও নদী খনন বন্যার প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে ভূমিকা রাখতে পারে। উজানে বড় ধরনের জলাধার নির্মাণ করতে পারলে পানি ধরে রেখে তা কাজে লাগানো যেত, বন্যার হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যেত।

পঞ্চমত, সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় শহর রক্ষা বাঁধ না থাকাও এখানকার বন্যার আরেকটি কারণ। তেমন কোনো আশ্রয়কেন্দ্রও নেই।

ষষ্ঠত, মাটিতে পানির ধারণক্ষমতা কমে যাওয়া। নদী বিশেষজ্ঞ ড. আহমদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘মাটিতে পানির ধারণক্ষমতা কম থাকায় পানি নিচের দিকে না গিয়ে জমিনে প্রবাহিত হয়’। মাটির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রচুর গাছপালা লাগাতে হবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটে ভয়াবহ বন্যার জন্য প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও তিনটি প্রধান মানবসৃষ্ট কারণকে দায়ী করেছে। প্রথমত, নদী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অনিয়ম; দ্বিতীয়ত, পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টিকারী অবকাঠামো নির্মাণ এবং তৃতীয়ত, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন ও আন্তঃদেশীয় সমস্যা।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি, শেরবাংলা নগর, ঢাকা।


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১ খাবারের সন্ধানে বসতবাড়িতে হরিণ, মহামায়ায় অবমুক্ত সিঙ্গাপুর প্রবাসী ফিরোজ মাহমুদের লাশ দেশে ফিরেছে ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃত্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব ধর্মের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে: ড. সুকোমল বড়ুয়া

সকল