২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পরিবেশের উন্নয়ন না হলে আমাদের জনস্বাস্থ্য ভেঙে পড়বে

-

বাংলাদেশের অন্যতম সমস্যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা। একটি দেশের জনগণের স্বাস্থ্য, গড় আয়ুসহ অনেক কিছুই নির্ভর করে সে দেশের পরিবেশের ওপর। বর্তমানে দেশে পরিবেশের যে অবস্থা তা শুধু চিন্তিত হওয়ারই নয়, বরং উদ্বিগ্নেরও বিষয়। পরিবেশ সুরক্ষায় সর্বপ্রথম দেশের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতনতাই পারে পরিবেশকে সুন্দর ও নির্মল রাখতে।

ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে সবাইকে। নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে, যতই গাছ কাটা বৃদ্ধি পাবে, পরিবেশ ততই হুমকির মুখে পড়বে। জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন তখনই সম্ভব হবে, যখন আমরা আমাদের পরিবেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারব। তাই সচেতনতা বৃদ্ধি করে পরিবেশ সুরক্ষায় সবার উচিত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের সুরক্ষার জন্য সবাইকে কিছু না কিছু কাজ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে যেমন তৎপর থাকতে হবে, তেমনি জনগণকেও সচেতন হতে হবে। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি বায়ুদূষণ, পানিদূষণ ও শব্দদূষণ। বৃক্ষ যেমন পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে সহায়তা করে, তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও রক্ষা পেতে সহায়তা করে। কিন্তু আমরা নির্বিচারে গাছ কেটে বন উজাড় করে ফেলছি। নিষিদ্ধ পলিথিনজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার, অপরিশোধিত শিল্পবর্জ্যসহ বিভিন্ন কারণে ক্রমেই আমাদের চার পাশের মাটি বিনষ্ট ও দূষিত হচ্ছে। শহরের কলকারখানার বর্জ্য, গ্রামাঞ্চলের ময়লা-আবর্জনা, কাঁচা পায়খানা, মলমূত্র যাতে খাল-বিল বা নদীর পানিতে না মেশে সে দিকে জনসাধারণকে খেয়াল রাখতে হবে। বাহ্যিকভাবে শব্দদূষণ তেমন কোনো ক্ষতিকারক মনে না হলেও তা মানুষের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর। এসব সমস্যার সমাধান ছাড়াও জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ এবং সব জনসাধারণের সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।

সভ্যতার ক্রমবিকাশ থেকেই মানুষ ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছে তার পরিবেশ। মানুষের রচিত পরিবেশ তারই সভ্যতার বিবর্তনের ফসল। পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবনের বিকাশ ঘটে। তাই পরিবেশ ও মানুষের মধ্যে রয়েছে এক নিবিড় যোগসূত্র। কিন্তু দিন দিন বিশ্বজুড়ে ঘনিয়ে আসছে পরিবেশ সঙ্কট। মানুষের সৃষ্ট যন্ত্রসভ্যতার গোড়াপত্তন থেকেই চলছে পরিবেশের ওপর মানুষের নির্মম কুঠারাঘাত। ফলে নষ্ট হচ্ছে প্রকৃতির ভারসাম্য। পরিবেশ দূষণের মাত্রা প্রকট হওয়ার কারণে মানব সভ্যতা আজ হুমকির সম্মুখীন। এ থেকে মুক্তির উপায় নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। এ লক্ষ্যে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য জাতিসঙ্ঘ ৫ জুনকে ঘোষণা করেছে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে। এবারের পরিবেশ দিবসে আমাদের জাতীয় জীবনের মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আর বিস্ফোরণে এরই মধ্যে ৪৯ জনের প্রাণহানি ও তিন শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। কেউ কেউ গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। জানা গেছে, ডিপোটির মালিক সরকারদলীয় এবং এ ধরনের ডিপো আবাসিক এলাকার পাশে স্থাপনের কোনো সুযোগ নেই বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা অনুসারে। অর্থাৎ এই আইন-বিধিমালাকে ভঙ্গ করে ডিপোটি স্থাপন করা হয়েছিল। এমনকি ডিপো কর্তৃপক্ষের কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ মজুদ রাখার কোনো লাইসেন্স ছিল না।

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূষণ ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। বাংলাদেশে প্রতি বছর যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার ২৮ শতাংশ মারা যায় পরিবেশ দূষণজনিত বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে। কিন্তু সারা বিশ্বে এ ধরনের মৃত্যুর গড় মাত্র ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে এই দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। পরিবেশ দূষণের কারণে ২০১৫ সালে দেশটির বিভিন্ন শহরে ৮০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি (ইপিএ) গত বছর বিশ্বের ১৮০টি দেশে সরকারের পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকা নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করে, তাতে দেখা যায়, ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪০ ধাপ পিছিয়ে ১৭৯তম অবস্থানে পৌঁছেছে। আর এ সূচকের ১৮০তম অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ বুরুন্ডি। বনভূমি ধ্বংস, বায়ু, পানি ও প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণের শীর্ষে থাকা ১০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থানের যে ধারাবাহিকভাবে অবনতি ঘটছে, তা সাধারণ মানুষের জন্য বিরাট উদ্বেগ ও আতঙ্কের বিষয়; কারণ পরিবেশ দূষণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি ও ক্ষতির শিকার হন নারী, শিশু ও স্বল্প আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।

আমরা যত শিক্ষিত ও সভ্য হচ্ছি, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় যেন তত অসচেতন হয়ে পড়ছি। নির্বিচারে গাছ কাটছি। বন উজাড় করছি। মাদক, শব্দদূষণ ও গাড়ির বিষাক্ত ধোঁয়া নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। ময়লা-আবর্জনা ফেলছি যত্রতত্র। জীবন বাঁচাতে এসব ক্ষেত্রে কঠোর সচেতনতা দরকার। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় আমরা সচেতন নই। যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। এসব ময়লা-আবর্জনা পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের লোকজন দেখেও দেখে না; যথাসময়ে পরিষ্কার করে না। পরিবেশ সুরক্ষায় এলাকাবাসীকেও জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। স্থানীয় সরকারের কর্তাব্যক্তিদের সক্রিয় হতে হবে। মানুষের অসচেতনতার কারণ বাড়িয়ে দিচ্ছে পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের হুমকি। ব্যবহার করার পর অবশিষ্ট ওষুধ ফেলে দিচ্ছে যেখানে-সেখানে। এতে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে ও অ্যান্টিবায়োটিকগুলো জীবাণু অপ্রতিরোধী হয়ে উঠছে। পলিথিনের ব্যবহার বেড়েছে, পলিথিনসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট নিয়ে ফেলছে বাড়ির পাশের কোনো ড্রেনে। মশা জন্ম নিচ্ছে, ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু অথবা ম্যালেরিয়া। ওয়াসার পানির কারণেও ছড়াচ্ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। ফ্যাক্টরিগুলো ইটিপি ব্যবহার করে না, ফলে পানি দূষিত হচ্ছে এবং নদীর পানি ব্যবহার না করে করছে ভূগর্ভের পানি। এতে দূষণের মাত্রা আরো বাড়ছে। সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা ও আইনের কঠোর প্রয়োগ।

ক্রমাগতভাবে পরিবেশের দূষণ বাড়ছেই। আমাদের বেশ কিছু সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উন্নয়ন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নেই। অথচ জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। পরিবেশ দূষিত হলে অবধারিতভাবে তার প্রভাব পড়ে জনস্বাস্থ্যে। আবার বিপর্যস্ত বন, ভূমি ও নদী-খাল প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ। সরকার পরিবেশ সুরক্ষার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন নয়, পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষার দাবিনামা অগ্রাহ্য করার প্রবণতাও রয়েছে। ফলে খাল-বিল-জলাশয় এবং বন দখলে উমত্ত লোকজনকে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। জনগণের মধ্যেও সচেতনতার অভাব রয়েছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জনসচেতনতা ও সরকারের সক্রিয়তা দরকার। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক সামগ্রীর কারণেও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। যানবাহন ও কলকারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া ও ময়লা-আবর্জনা পরিবেশ দূষিত করছে। মোবাইল ফোন, মোবাইল ফোন টাওয়ার, ইন্টারনেটের জন্য ব্যবহৃত রাউটার, যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা ছড়াচ্ছে, তাতে মানুষ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাষ্ট্রকেই প্রধান ভূমিকা নিতে হবে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা অনেক কিছুর ওপর নির্ভরশীল। যেমন- ধূমপান, পানীয় ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য উচ্চ কর ও জরিমানার ব্যবস্থা রাখা দরকার। পলিথিন, শব্দদূষণ ইত্যাদি রোধ করতে হবে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। ইটভাটার চিমনি সঠিক উচ্চতায় স্থাপন করতে হবে, মোবাইল টাওয়ার জনবহুল স্থান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে, আবর্জনা রিসাইক্লিং পদ্ধতিকে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘ দিন ব্যবহৃত পুরনো যানবাহন রাস্তা থেকে অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সব শিল্প ও কলকারখানার বর্জ্য পরিশোধন (ইটিপি) ব্যবস্থা চালু করতে বাধ্য করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কে জরাজীর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে, উচ্চ শব্দের ভেঁপু বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে, শহরাঞ্চলের ময়লা ও আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। প্লাস্টিক ও পলিথিন দ্রব্য যেখানে-সেখানে ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে; গ্রামাঞ্চলের ময়লা-আবর্জনা, মলমূত্র যাতে খাল-বিল বা নদীর পানিতে না মেশে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রতি বছর বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করতে হবে, বনাঞ্চল সংরক্ষণ করতে হবে। সুন্দর ও সুস্থ পরিবেশ মানবজীবনকে সুন্দর করে, তাই পরিবেশ যাতে সুন্দর থাকে, মানুষের বাস উপযোগী হয়, সে দিকে আমাদের প্রত্যেককেই লক্ষ রাখতে হবে।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সুষ্ঠু পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি। মানুষকে নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি সংগঠন, উন্নয়ন সহযোগী ও ঋণদাতা সংস্থাগুলো সারা দেশে কাজ করছে। কিন্তু নির্মম সত্য হচ্ছে, আমাদের শহরাঞ্চলের পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই বললেই চলে। ঢাকার বেশির ভাগ পয়ঃবর্জ্য বুড়িগঙ্গা বা তুরাগ নদে গিয়ে পড়ে, যার ফলে পানি ও পরিবেশ দূষিত হয়ে নানাবিধ রোগব্যাধি ছড়াচ্ছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার লক্ষ্যে ঢাকাসহ সারা দেশের টয়লেটব্যবস্থা উন্নত করার জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। ঢাকা শহরে ‘পাবলিক টয়লেট’ ব্যবহার করে শতকরা মাত্র ৪৮ জন অর্থাৎ ৪৮ শতাংশ। পাবলিক টয়লেট ব্যবহার না করার কারণ- পরিচ্ছন্নতার অভাব, কাক্সিক্ষত স্থানে টয়লেট না থাকা প্রভৃতি। মহিলাদের পাবলিক টয়লেট ব্যবহার না করার কারণ নিরাপত্তার অভাব, ‘পর্দার অভাব, পুরুষ ব্যবহারকারীর আধিক্য। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী, পাবলিক টয়লেটগুলোতে তাদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। উল্লেখযোগ্যসংখ্যক লোক যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে। শহরে পাবলিক টয়লেটগুলো অভিগমনযোগ্য ও বেশি মানুষের সমাগম হয়, এমন স্থানে নির্মাণ করা প্রয়োজন। শহর অঞ্চলে সুপরিকল্পিত পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই বললেই চলে। দেশের বেশির ভাগ পয়ঃবর্জ্য নদীতে গিয়ে পড়ে। ফলে প্রতিনিয়তই নদী ও পরিবেশ দূষিত হয়ে নানা রকম রোগব্যাধি ছড়াচ্ছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সারা দেশের পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা উন্নত করতে পরিকল্পিত ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। বিশ্বের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জনসংখ্যা যতই বাড়ছে; বন কেটে, নদী, জলাশয় ভরাট করে বসতি স্থাপনের ফলে আবাদি জমি বা ফসলি জমি কমে যাচ্ছে; আমাদের খাদ্যশস্য উৎপাদন কমে যাচ্ছে। পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বাসযোগ্য ধরিত্রীর পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করে ফেলছি।

পরিশেষে বলা যায়, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সচেতনতা একে অন্যের পরিপূরক। আমাদের জনস্বাস্থ্যে পরিবেশের প্রভাব এক তাৎপর্র্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। টেকসই উন্নয়নের জন্য আমাদের অবশ্যই পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে। পরিবেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হলে আমাদের জনস্বাস্থ্য ভেঙে পড়বে। পরিবেশের বিপর্যয় ঘটলে জনস্বাস্থ্য হুমকিতে পতিত হবে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাই আসুন, আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য সুন্দর পরিবেশ ও ধরিত্রী গড়ে তুলতে এখন থেকেই সবাই পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সচেতন হই।

লেখক : কলামিস্ট ও গবেষক, সাবেক উপমহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি


আরো সংবাদ



premium cement