২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের রফতানি বাড়াতে হবে

- প্রতীকী ছবি

দেশে সম্পদ বলতে মানবসম্পদ, প্রাকৃতিক ও খনিজসম্পদ, কৃষি ও জলজসম্পদ প্রধান। মানুষের দৈনন্দিন জীবন, জীবনের চাহিদা, খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্পের কাঁচামাল, সরবরাহসহ অর্থনীতির বড় অংশ হলো কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য। আমাদের দেশ ছোট এবং ঘনবসতিপূর্ণ হলেও স্বাধীনতা-পরবর্তী ৫০ বছরে সীমিত সাধ্য নিয়ে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে গৌরবোজ্জ্বল অগ্রগতি হয়েছে। মহামারী করোনায় যেখানে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল সেখানে বাংলাদেশ লক্ষণীয়ভাবে ভালো করার চেষ্টা করেছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের কৃষি ও কৃষিজাতপণ্য উৎপাদন, বিতরণ ও প্রয়োজনীয় সরবরাহের কারণে মানুষের খাদ্য ও খাদ্য নিরাপত্তায় বিরাট সহায়ক ভ‚মিকা পালন করেছে। বৈশ্বিক মহামারীতে যদিও আমাদের টিকা সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে, তার পরও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আমাদের কলকারখানা, ব্যবসাবাণিজ্য তাড়াতাড়ি খোলা সম্ভব হয়েছে। এর সুফল আমরা পেতে শুরু করেছি। আমাদের রফতানি বাড়তে শুরু করেছে। এ অর্থবছরে (২০২১-২২) সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের মোট রফতানি বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪.১৬ বিলিয়ন ডলার। এটি গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে ৩৮ শতাংশ বেশি। জুলাই-সেপ্টেম্বরে আমাদের পোশাক রফতানি হয়েছে ৯.০৫ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরে (২০২১-২২) কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রফতানি থেকে আয় হয়েছে প্রায় ২১ কোটি ডলার বা এক হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা গত বছর একই সময়ে যা ছিল ১৭ কোটি ৮২ লাখ ডলার।

কৃষি ছিল একসময় বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। মোট দেশজ উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি আসত কৃষি থেকে। কৃষির ওপর নির্ভরশীল ছিল ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ। শিল্পের অবদান ছিল ১২-১৩ শতাংশ। ধীরে ধীরে কৃষির অবদান কমে শিল্প ও সেবা খাতের অবদান বাড়তে শুরু করে বিশেষ করে তৈরী পোশাক শিল্পের প্রসারের কারণে। কিন্তু শিল্পের কাঁচামাল কৃষি থেকেই আসে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, দৈনন্দিন জীবন পরিচালনার স্বার্থে, খাদ্যচাহিদা পূরণে, প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগান দিতে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের বিকল্প নেই। এখনো কৃষি খাতের ওপর নির্ভরশীল শ্রমশক্তির ৩৮ শতাংশ। দেশের অভ্যন্তরে যেমন কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে তেমনি বিদেশেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইপিবির তথ্য থেকে জানা যায়, দেশের ৪৭৯টি প্রতিষ্ঠান ১৪৪টি দেশে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানি করছে। এ দেশের প্রাণ আরএফএল, স্কয়ার, বিডি ফুডের মতো অনেক প্রতিষ্ঠানের রফতানি বাজার বড়। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ বার্ষিক বাজার ৫০ হাজার কোটির বেশি। কাজ করছে এ খাতে ২০ লাখ শ্রমিক। ২০০০ সালের পর থেকে এ খাতের রফতানি শুরু হয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারত, এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতেও রফতানি দ্রুত বেড়ে চলেছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি হয় মাত্র ৫৫ কোটি ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রফতানি থেকে ১০৩ কোটি ডলার আয় এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯ শতাংশের বেশি। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের রফতানি থেকে আয় হয়েছে প্রায় ২১ কোটি ডলার। তা ছাড়া ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৬৭৮ মিলিয়ন ডলার মূল্যের কৃষিপণ্য রফতানি করেছে। আমাদের দেশে উৎপাদিত কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক টেকসই ও সমৃদ্ধ। উৎপাদনের দিক থেকেও বিশ্বের সেরা দশের মধ্যে আমাদের অনেক কৃষিপণ্য রয়েছে। জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে পাঁচ কোটি ২৬ লাখ টন ধান উৎপন্ন হয়। আলু উৎপাদনে ষষ্ঠ, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম ও পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়।

ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশী পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এসব দেশে মুড়ি, চানাচুর, বিস্কুটও রফতানি হচ্ছে। রফতানি হচ্ছে জ্যামজেলি, সস-সহ নানা রকম মসলা এবং জুস, সরিষার তেল, আচার , সুগন্ধি চালসহ আরো অনেক পণ্য।

ফল উৎপাদনেও বাংলাদেশ অতীতের তুলনায় অনেক ভালো করছে। একসময় বিদেশী ফল হিসেবে আপেল, নাশপাতি, আঙ্গুর, কমলা, খেজুর, স্ট্রবেরি, ড্রাগন ফল সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে ছিল। এখন এসব ফল দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। দেশে অনেক দুর্লভ, সুস্বাদু, নানা জাতের ফল উৎপাদিত হচ্ছে এবং বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। এখন মানুষ বাড়ির ছাদে, আঙিনায়, অনাবাদি জমিতেও ফলের চাষ করছে। দেশের পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক সুস্বাদু ফল উৎপাদিত হচ্ছে। এসব ফল সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করলে, সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে বিদেশে রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের সুযোগ রয়েছে। দেশে এখন প্রচুর পরিমাণে লিচু ও তরমুজের উৎপাদন হচ্ছে।

একসময় দেশে ফলের ৭১ শতাংশ আমদানি করা হতো। এখন ফল আমদানি অনেক কমেছে। আমাদের দেশে কমলা, আঙ্গুর ও মাল্টার চাষ হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাতক্ষীরায় বিদেশী মাল্টা উৎপাদিত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কৃষকরা অনেক পরিশ্রম করে কৃষি ফসল উৎপাদন করলেও সঠিক দাম পায় না। উৎপাদিত ফসল ভোক্তার কাছে সরাসরি যেতে না পারার কারণে মধ্যস্বত্বভোগীরা অর্থ হাতিয়ে নেয়। বিদেশী বাজার সৃষ্টিতেও আমাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। যেকোনো পণ্যের বাজার ধরতে হলে উৎপাদনের গুণগত মান, সংরক্ষণ ব্যবস্থা, উৎপাদন খরচ ও ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ। দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশে রফতানির যে অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে তা কাজে লাগানোর জন্য পরিকল্পিত চাষাবাদ, কৃষকদের বিশেষভাবে ভালো ফলনের ক্ষেত্রে সহায়তা ও প্রয়োজনীয় প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। বাংলাদেশের কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকারী সংগঠনের (বাপা) মতে, প্রতিবেশী দেশগুলোতে অশুল্ক বাধা দূর হলে এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা পাওয়া গেলে আগামী তিন বছরের মধ্যে ৩০০ কোটি ডলার বা ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি রফতানি আয় করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আয় বাড়াতে ব্র্যান্ড এবং গুণগত মান উন্নয়নে জোর দিতে হবে। বাংলাদেশের দূতাবাসগুলো কৃষি ও কৃষিপ্রক্রিয়াজাত পণ্যসহ আমাদের রফতানিমুখী পণ্যের রফতানি বাড়ানোর জন্য ভ‚মিকা পালন করতে পারে। সঠিক ভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত না করার কারণে কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল ৩০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য আমাদেরকে প্রযুক্তির উৎকর্ষের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

করোনা মহামারীতে যখন বিশ্ব স্তব্ধ তখনো মানুষের খাবার জোটানোর কাজটি করেছে আমাদের ক্ষুদ্র কৃষকরাই। সরকার কৃষি উৎপাদনকে অব্যাহত রাখার জন্য যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে তা পেতে কৃষকদের হয়রানি হয়। সহজে কৃষিঋণ ও প্রণোদনা পাওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। বর্তমানে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা কৃষি উৎপাদন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার, বাজারজাত সহজীকরণ, কৃষিপণ্য সরবরাহের পরিবহন খরচ হ্রাস, শুল্ক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে নতুন নতুন আরো উদ্যোক্তা তৈরি করা উচিত। মানসম্মত উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কীটনাশক, সার, উন্নত বীজ প্রভৃতি সরবরাহ সহজ করা উচিত। রফতানিমুখী কৃষিপণ্য মানসম্মতভাবে সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বাজারজাতকরণে জেলাভিত্তিক সুনির্দিষ্ট তদারকি এবং প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে এ খাতের টেকসই উন্নয়ন ঘটানো যেতে পারে। ৫০ বছরে দেশে খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা অর্জনে অকল্পনীয় ও অভাবনীয় অবদানে এ দেশের কৃষক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে এ দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান বেড়ে চলেছে। ফলে মানুষের খাদ্যাভ্যাসও পরিবর্তন হচ্ছে। মানুষ প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, কৃষিজাত খাদ্যসামগ্রীর প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন ও রফতানি বাড়াতে পারলে দেশের বাজারও সম্প্রসারিত হবে, কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবেন, উৎপাদনও বাড়বে, বৈদেশিক মুদ্রাও আহরিত হবে। এ ক্ষেত্রে রফতানি বাড়াতে প্রশিক্ষিত জনবলের প্রয়োজন।

সবজি রফতানিতেও বেশ আয় করছে বাংলাদেশ। প্রতি বছর বাড়ছে এ খাতের রফতানি। গত অর্থবছরে (২০২০-২১) ১১ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার ডলারের বেশি বিদেশী মুদ্রা এসেছে শুধু শাকসবজি রফতানি থেকে। এ বছর ১২ কোটি ডলার অর্জনের লক্ষ্য রয়েছে।

চলতি বাজেটে কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হয়েছে। ফলে রফতানি আরো বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। ১০ বছর আগে অর্থাৎ ২০১০-১১ সালে কৃষিপণ্য রফতানি থেকে আয় হয়েছিল ৪০ কোটি ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বেড়ে ১০২ কোটি ৮১ লাখ ডলারে পৌঁছে। আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি দিন দিন উন্নত হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে আরো বেগবান করতে হলে গ্রামের কৃষি ও কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামোগত দুর্বলতা দূর করে উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ বাজারব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। আমাদের জনশক্তির প্রায় অর্ধেক নারী। আর গ্রামের নারীরা কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং কুটির শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত। মৎস্য চাষ, ফল চাষ, ফুল চাষ, পাট চাষ, পান চাষ, পশুপালন, দুগ্ধ উৎপাদন, চা ও কাগজ শিল্পের উন্নয়ন অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারে। গ্রামের শিক্ষিত যুবাদেরকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রয়োজনীয় সহায়তার মাধ্যমে কৃষি ও কৃষিপণ্য উৎপাদনসহ গ্রামীণ অর্থনীতির টেকসই উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। অর্থনীতিতে নারীর অবদান অনন্য ও চিরন্তন। প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারীকরণে নারী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র, কুটির শিল্প, হস্তশিল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যগুলো দেশীয় ও বিদেশী বাজারে সরবরাহ এবং রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। বাঁশ, বেতের তৈরি জিনিসপত্র, ঘর সাজানোর সরঞ্জামাদিরও বিদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধি পেলে কৃষকরা যেমনি উপকৃত হবে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জিত হবে। রফতানিমুখী কৃষিজ খাদ্যসামগ্রীর বৈদেশিক বাজার নিশ্চিতকরণে বিএসটিআই-কে খাদ্যপণ্যের মান রক্ষায় কার্যকর ভ‚মিকা পালন করতে হবে। রফতানিতে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সরকার ও ব্যবসায়ীর সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। বন্দরে পণ্য পাঠানো সহজ করা এবং বিশ্বমানের ল্যাবরেটরি স্থাপনের মাধ্যমে পণ্যের গুণগত মান উন্নত করার মাধ্যমে রফতানি যাতে টেকসই হয় সে জন্য ব্যবসায়ী ও সরকার আরো যত্নবান হওয়া উচিত।

বাংলাদেশের রফতানির প্রধান খাত তৈরী পোশাক। রফতানি আয়ের ৮৬ শতাংশই এ খাত থেকে। তৈরী পোশাক খাতের রফতানি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে রফতানিতে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থনীতির বহুমুখীকরণে কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যসহ চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশলী, পর্যটন, ওষুধ শিল্পের রফতানির গতি বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দেয়া যেতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতির জন্য আর রফতানিকে টেকসই করতে হলে তৈরী পোশাক খাতের পর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় রফতানি খাত কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, খাদ্যপণ্য উৎপাদনের প্রতি গুরুত্ব দেয়া উচিত। রফতানিকৃত পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন কৃষিপণ্য রফতানির পথ সুগম করতে ও ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসা উচিত।
লেখক : অর্থনীতিবিদ
ই-মেইল : main706@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement