২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সর্বকালের সফল অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ সা:

- প্রতীকী ছবি

মানুষ মাত্রই আরাম-আয়েশের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত ও কালাতিপাত করতে চায়। তাই ‘মানবজীবনে অর্থনীতির গুরুত্ব অপরিসীম’- এ কথাটি পৃথিবীর কোনো ধর্মই অস্বীকার করতে পারেনি। এ কারণেই অতি প্রাচীনকাল থেকে প্রতিটি সভ্যতা-সংস্কৃতিই নিজের অনুসারীদের একটি অর্থনৈতিক মতাদর্শ দেয়ার চেষ্টা করেছে। তবে ইসলাম অর্থনীতির গুরুত্ব নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অন্যান্য সবার চেয়ে এগিয়ে; কারণ অন্যান্য মতাদর্শ অনেকটা একপেশে, প্রান্তিক ও চরমপন্থার নীতিসংবলিত। বর্তমান পৃথিবীর পুঁজিবাদ ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কিন্তু ইসলাম চরমপন্থার এ দু’টি মতবাদের মধ্যে মধ্যমপন্থার এক নির্ভুল সুষম অর্থনীতির উপহার দিয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে মানবজীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো অর্থনীতির ক্ষেত্রেও ইসলামের এ মধ্যমপন্থা সার্বিক শান্তি ও সমৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি। আজ থেকে পনেরো শ’ বছর আগেও ঠিক এমনিভাবে ‘মুজদাক’-এর সমাজতন্ত্রবাদ এবং তৎকালীন ইহুদিদের সুদি সমাজ ও প্রভাবশালীদের পুঁজিবাদ সমাজে এক মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করেছিল। সেই পরিস্থিতিতে একমাত্র মুহাম্মদ সা: মানুষের প্রকৃত মুক্তির জন্য সফল ও সুষম অর্থনীতির বিপ্লবী পথ দেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন। রাসূল সা:-এর কল্যাণমুখী অর্থনৈতিক বিপ্লব এবং অর্থনৈতিক মুক্তির পথ বুঝতে হলে প্রথমে আমাদেরকে রাসূল সা:-এর আগমন-পূর্ব ও তাঁর সময়কালীন ‘জাজিরাতুল আরব’ আরব উপদ্বীপ বা হিজাজ প্রদেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার ইতিহাস জানতে হবে।

জাজিরাতুল আরবের অর্থনৈতিক অবস্থা : ভ‚গোলকের ওপর নজর বুলালে আমরা দেখতে পাবো, আরব উপদ্বীপ প্রচীন বিশ্বের ঠিক কেন্দ্রস্থলে উপস্থিত। হিজাজ প্রদেশ লোহিত সাগরের উপকূল ধরে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত। হিজাজের তিনটি নগরী মক্কা, মদিনা ও তায়েফ বহু যুগ আগে থেকেই বিশ্ববাসীর কাছে অত্যন্ত সুপরিচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য পথ ছিল এ তিনটি নগরীর বুক দিয়ে। নিম্নে তিনটি নগরীর অর্থনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরা হলো

মক্কা : ভৌগোলিক অবস্থানের দরুন আদি যুগ থেকে মক্কা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে। মরু বাণিজ্যপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন বিধায় এটি ছিল ব্যবসায়-বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল। কিন্তু মক্কার আশপাশে জমি ছিল চাষাবাদের পক্ষে সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। বন-জঙ্গল ও খনিজসম্পদও না থাকায় সেখানে সবসময় কাঁচামালের অভাব লেগে থাকত। ওই একই কারণে সেখানকার শিল্প-বাণিজ্যেও উন্নতি হয়নি। মদিনার মতো মক্কাতেও সুদি কারবারের প্রচলন ছিল। সিরিয়ার দিকে বাণিজ্য কাফেলা রওনা হওয়ার সময় মক্কায় দিনারের চাহিদা বেড়ে যেত। মহাজনরা তাদেরকে সুদে ঋণ দিত। মক্কার কন্যাসন্তানদের হত্যার বিভিন্ন কারণের মধ্যে অভাব-অনটনও একটি কারণ হিসেবে গণ্য হতো। বসতি সমস্যা, জানমালের নিরাপত্তা, দাসপ্রথা, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ ইত্যাদির সাথে অর্থনৈতিক দুরবস্থার একটি সম্পর্ক ছিল। মক্কার বাইরে এখানে সেখানে ছোট ছোট যাযাবর লোকেরা বসবাস করত। তারা নিজেদের উট, ছাগল পালের চারণভ‚মির সন্ধানে ১২ মাসই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়াত। তাদের আহার্য ও পানীয় ছিল টিড্ডি বা পঙ্গপাল ও মধু। (সূত্র : মক্কার শরিফের ইতিহাস) তারা অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে নিজেদের মধ্যে হরহামেশা মারামারি-কাটাকাটিতে লিপ্ত থাকত।

মদিনা : হিজাজের অপর নগরী মদিনার ঐতিহাসিক গুরুত্বও কম নয়। মদিনা ছিল কৃষাণদের বসতি। এসব কৃষাণ সাধারণত অভাব-অনটনের মধ্যেই দিনাতিপাত করত। ইহুদি পুঁজিপতিরা মদিনায় বসবাস করত। তারা অগাধ সম্পত্তির মালিক ছিল এবং সেখানকার চাষিদের সুদি ঋণ দিত। মদিনার সুদের প্রচলন ছিল মক্কা ও তায়েফের চেয়ে আরো ব্যাপক ও মারাত্মক। ঐতিহাসিকদের ভাষ্যমতে, সেখানে একটি জঘন্য পেশার প্রচলন ছিল এবং তা হলো দাসীদের দিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন; অর্থাৎ দাসীদের দিয়ে পতিতাবৃত্তির ব্যবসায় চালানো হতো। লোকেরা তাদের যুবতী সুন্দরী দাসীদের গলিতে বসিয়ে দিত এবং তাদের উপার্জন ভক্ষণ করত। (ইবনে জরির তাবারি, তাফসিরে ইবনে কাসির) এ জন্য আল্লাহ তায়ালা এ জঘন্য প্রথা উচ্ছেদের জন্য আয়াত নাজিল করলেন- ‘বৈষয়িক স্বার্থে নিজেদের দাসীদেরকে বেশ্যাবৃত্তির জন্য বাধ্য করো না, যখন তারা নিজেরা এরূপ কাজ থেকে আত্মরক্ষা করতে চায়।’ (সূরা আন নূর-৩৩)

তায়েফ : তায়েফ মক্কা নগরী থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রায় ৭৫ মাইল দূরে অবস্থিত। তায়েফের জমি সাধারণত উর্বরা ও সুফলা। তায়েফবাসীর অর্থনৈতিক জীবনে দু’টি জিনিস ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যথা- ১. জমিদার ও কৃষকদের মধ্যে মারামারি; ২. বিত্তশালী ও বিত্তহীনদের মধ্যে মতবিরোধ। ঐতিহাসিক বালাজুরির মতে, তায়েফের লোক ছিল অতিমাত্রায় সুদখোর। তাদের এ সুদি ব্যবসায় শুধু তায়েফে সীমাবদ্ধ ছিল না, মক্কাবাসীদেরও তারা সুদি ঋণ দিত। সাকিফ সম্প্রদায়ের চার সহোদর ভ্রাতা- মাসউদ, আবদে ইয়ালিল, হাবিব ও সাকাফিরাই বনু মুগিরা সম্প্রদায়কে ঋণ দিত। এদের সুদি কারবারের একটি মুকদ্দমা এতটাই দীর্ঘায়িত ছিল যে, শেষ পর্যন্ত এটিকে উপলক্ষ করে ‘ওয়া জারু মা বাকিয়া মিনার রিবা’ আয়াত নাজিল হয়।

ইসলামের আবির্ভাবের আগে সাধারণ আরবদের অর্থনৈতিক অবস্থা অধঃপতনের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হয়েছিল। ইবনে খালদুনের মতে, ‘আরবদের দুহিতারা শুশুক, ফড়িং প্রভৃতি খেত। এমনকি ক্ষুধায় অস্থির হয়ে তারা উটের লোম রক্তের সাথে মিশিয়ে গিলে ফেলত। কুরাইশদের অবস্থাও মোটামুটি একই ধরনের ছিল।’ এমনকি রাসূল সা:-এর সমসাময়িক মুসলমানদের অবস্থাও একই ধরনের ছিল। সাহাবায়ে কেরামের অর্থনৈতিক দুরবস্থার ইতিহাস মোটামুটি আমাদের নখদর্পণেই আছে।

রাসূল সা:-এর অর্থনৈতিক বিপ্লব : কিন্তু ইসলামের আবির্ভাবের পর আরবদের অবস্থা সচ্ছল হয়ে উঠল। রাসূল সা: অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটালেন। ইসলামের এই অর্থনৈতিক বিপ্লবের মধ্যে রাজনৈতিক বিজয়ের অবদান ছিল সন্দেহ নেই, কিন্তু এটিই একমাত্র কারণ নয়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর রাসূলের মাধ্যমে আরবদের যে পথ দেখিয়েছেন, তাতে শুধু ধর্মীয় নয়, অর্থনৈতিক সাফল্যও নিহিত ছিল। আমাদের সবারই জানা আছে, অন্যান্য নবীয়ে আকরাম তাঁদের উম্মতদের মাগফিরাত ও হেদায়াত কামনা করেছেন, আর মানবতার মুক্তির দিশারি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা: এগুলোর সাথে সাথে এ দোয়াও করেছেন,‘হে পরোয়ারদিগার! এরা পায়ে হেঁটে চলে এদের সওয়ার দাও। হে পরোয়ারদিগার! এরা উলঙ্গ, এদের কাপড়ের ব্যবস্থা করো। হে প্রভু! এরা ভুখা, এদের পেটভরে খাবার দাও।’ (সুনানে আবু দাউদ)।

মহানবী সা: আরবদের চারিত্রিক অধঃপতন দেখে যতটুকু কষ্ট পেতেন, অর্থনৈতিক দুরবস্থা দেখেও ততটুক কষ্ট পেতেন। সহিহ মুসলিম শরিফে হজরত জরির বিন আবদুল্লাহ রা: বর্ণিত দীর্ঘ রেওয়াতের কিয়দংশ হলো- ‘আমরা এক দিন রাসূলুল্লাহ সা:-এর সাথে ছিলাম। হঠাৎ একটি সম্প্রদায়ের লোক কম্বল উড়িয়ে, তরবারি ঝুলিয়ে, খালি পায়ে রাসূলের খেদমতে এসে হাজির হলো, ওদের দুরবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ চেহারার রঙ বদলে গেল। তাঁর কাছে ওই অবস্থা এতই অসহনীয় ছিল যে, তিনি প্রথমে ঘরের ভেতরে চলে যান। কিন্তু সেখানে এসব দুস্থের সাহায্য করার মতো কোনো জিনিস না পেয়ে ব্যথিত অবস্থায় ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন তিনি বেলালকে ডেকে পাঠিয়ে আজান দিতে বললেন। যদিও সেটি জুমাবার ছিল না, তবু তিনি মিম্বারে আরোহণ করে কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতটি পড়লেন- ‘হে লোক সকল, তোমরা তোমাদের প্রভুকে ভয় করে চলো, যিনি তোমাদেরকে একই প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা আন নিসা-১) এভাবে তিনি আরো কয়েকটি আয়াত তিলাওয়াত করলেন। দেখতে দেখতে দানের বারি বর্ষণ শুরু হলো। রাসূলুল্লাহর চেহারার ফিকে রঙ আবার ঝলমলিয়ে উঠল।

একজন পূর্ণাঙ্গ মহামানব হিসেবে তাঁকে শুধু কোনো একটি বিশেষ দিকে নিয়ে গিয়ে মূল্যায়ন করা হলে তাঁর প্রতি, মানবতার প্রতি, সর্বোপরি ইসলামের প্রতি জুলুম করা হবে। মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদ সা: দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের দিশারি ছিলেন। তিনি সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে পৃথক করে মানুষের আত্মার উন্নয়নের চেষ্টা করেননি; বরং সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ঘিরেই মানুষের আত্মার পরিশুদ্ধির চেষ্টা করেছেন এবং সব ক্ষেত্রেই তিনি সফল হয়েছেন। ইসলামের সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক বিবেচনায় আনলে আমাদের মানসপটে যেমন একজন সফল ও পূর্ণাঙ্গ সমাজসংস্কারক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের চেহারা ভেসে আসে, তেমনি ইসলামের অর্থনৈতিক দিক পর্যালোচনা করলে আমরা একজন সফল ও কল্যাণমুখী অর্থব্যবস্থাপকের চেহারাই দেখতে পাবো। তিনি সম্পদের সুষম ও ইনসাফপূর্ণ বণ্টন ও বিকেন্দ্রীকরণের জন্য নৈতিক মানে উন্নীতকরণের সাথে সাথে কতগুলো মূলনীতি ও নৈতিক পন্থা চালু করেন। জাকাত, উশর, ফিতরা, মিরাস, খারাজ, দান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তিনি চরমপন্থার অর্থনীতি পরিহার করে মধ্যমপন্থার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করেন। এ জন্য তিনি সুদ নিষিদ্ধ করেন। ব্যবসায়-বাণিজ্যের প্রসার ঘটান। ভ‚মি মালিকানা পুনঃবণ্টন, ভিক্ষাবৃত্তির উচ্ছেদ, দারিদ্র্য বিমোচনসহ অর্থব্যবস্থার বিপ্লব সাধন করেন।

‘ধনীদের সম্পদে গরিবদের হক রয়েছে’ এ আয়াতের আলোকে তিনি মানুষের মধ্যে এই নৈতিক অবস্থার সৃষ্টি করলেন যে, মাত্র ২৩ বছরে সেখানে এমন অবস্থার সৃষ্টি হলো যে, জাকাত নিয়ে মানুষ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু জাকাত গ্রহীতা পায় না। আয়-উপার্জন মানুষের জীবনের বিশাল অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে বিধায় তিনি আয়-উপার্জনকে কখনো নিরুৎসাহিত করেনি; বরং রাসূল সা:-এর অসংখ্য বাণীতে রুজি রোজগারের ব্যাপারে উৎসাহ দানের পাশাপাশি হালাল-হারামের সীমারেখাও জানিয়ে দিয়েছেন। অর্থসম্পদের মোহ শাশ্বত। কিন্তু অতিরক্তি মোহ মানুষকে দুর্নীতির দিকে ঠেলে দেয়। তাই রাসূল সা: বলেছেন, ‘ধনী হওয়া সম্পদের প্রাচুর্যের নাম নয়, বরং প্রকৃত সম্পদশালী সেই, যার অন্তর সম্পদশালী। অবৈধভাবে আহরিত সম্পদ অপবিত্র। তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহ পবিত্র। পবিত্র জিনিস ছাড়া তিনি অন্য কিছু গ্রহণ করেন না।’ বৈধভাবে যতটুকু সম্পদ অর্জন করা হয়, ততটুকুতেই আল্লাহর অবারিত বরকত নিহিত থাকে। অবৈধ বা হারামভাবে আহরিত সম্পদে আল্লাহ বরকত দান করেন না। তিনি মানুষকে তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন এবং আল কুরআনের অঙ্কিত আখিরাতের ভয়াবহ দৃশ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ধনসম্পদের প্রতি মোহকে সীমিত করার চেষ্টা করেছেন।

মহানবীর লক্ষ্য ছিল আত্মার পবিত্রতা সাধন, মন-মানসে মলিনতা, শোষণ এবং জৈবিক ও পাশবিক পঙ্কিলতা দূর করে মানুষের নৈতিক চরিত্রকে উজ্জীবিত করা। তিনি অর্থপূজা, বৈষয়িক অর্থসম্পদের প্রতি আসক্তি ও প্রাচুর্যের অহমিকাকে এমনভাবে নিরুৎসাহিত করেছেন যে, প্রতিটি নাগরিক তাদের প্রয়োজন পূরণ ছাড়া অতিরিক্ত সম্পদের প্রতি লোভ-লালসার দুষ্ট চিন্তাকে দূরে ঠেলে দিয়েছিলেন। এমনকি অতিরিক্ত সম্পদ কোনোক্রমে এসে গেলেও রাসূল সা:-এর নৈতিক শিক্ষার প্রভাবে তাঁরা অন্য অভাবীদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। অভাবীরাও নৈতিক শিক্ষার প্রভাবে এতটুকুই সংযম ও ধৈর্য অবলম্বন করেছিলেন যে, চরম ক্ষুধার্থ অবস্থায়ও তারা তাদের অভাব প্রকাশ করতেন না। এভাবে তিনি নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের মাঝে মধ্যমপন্থার এক অর্থব্যবস্থা কায়েম করেন।


আরো সংবাদ



premium cement