২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এসি চলছে, ঠাণ্ডা বের হচ্ছে না

- ছবি : সংগৃহীত

রাসূল সা: বলেছেন, ‘তোমরা ঈর্ষা-বিদ্বেষ থেকে দূরে থেকো। কেননা ঈর্ষা-বিদ্বেষ মানুষের নেক আমলকে এমনভাবে ধ্বংস করে, যেমনভাবে আগুন লাকড়িকে জ্বালিয়ে দেয়’ (আবু দাউদ)।
ঈর্ষা-বিদ্বেষ মানবমনে ঘুণপোকার মতো, যা সমাজ, সংসার, আদর্শ, অর্জন ও আমলকে অন্তঃসারশূন্য করে দেয়। মানবমনের ঈর্ষা-বিদ্বেষের ছায়া পড়ে আমাদের ধর্মীয় কার্যাবলির প্রাণকেন্দ্রেও। কিছু মানুষ দলাদলি ও বিভাজনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ধর্মীয় কাজের প্রাণকেন্দ্রকে। যেমন- মসজিদ নিয়ে সংঘর্ষ নারীসহ আহত ১০। যশোরের চৌগাছায় মসজিদের ইমাম নিয়ে বিরোধের একপর্যায়ে কাছেই আরো একটি নতুন একটি মসজিদ নির্মিত হয়। মাগরিবের নামাজ আদায়কালে লোহার রড, শাবল, হাতুড়ি নিয়ে নতুন মসজিদের মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানো হয় (২৭ সেপ্টেম্বর দৈনিক দেশ রূপান্তর)।

গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত খবর থেকে জানা যায়, মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে মাগুরায় আহত ১০ জন, সিলেটে আহত চারজন, সাতক্ষীরায় একজন, আহত পাঁচজন, লক্ষীপুরে আহত পাঁচজন, আড়াইহাজারে আহত আটজন, শেরপুরে আহত চারজন, চাটগাঁর চন্দনাইশে হাইকোর্টে রিটসহ সংঘর্ষ ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পুলিশ পাহারায় নামাজ আদায়। সিলেট নগরীর নয়া সড়ক জামেয়া মসজিদের কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। দু’পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে জামেয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদরাসার ভেতর কমিটি গঠন করার সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কয়েক দিন আগে বিয়ের দাওয়াত খেতে গিয়েছিলাম কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার বড় সাপমারা গ্রামে। ওই গ্রামে তিন যুগ আগেও একবার গিয়েছিলাম। তখন হাঁটা ও নৌকা ছাড়া চলাচলের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এখন আলাদা উপজেলা হওয়ার পর রাজধানী থেকে গাড়ি হাঁকিয়ে বাড়ি যাওয়া যায়। তিন যুগ আগে গাঁয়ের উত্তরপ্রান্তের একটি জুমার ঘরে (কাঁচা মসজিদ) নামাজ আদায় করেছিলাম। এখন ‘জুমার ঘর’ নেই। তদস্থলে প্রকাণ্ড নির্মাণাধীন একটি মসজিদ। নির্মাণাধীন মসজিদের পাশেই এক ছাপড়া ঘরে অস্থায়ীভাবে নামাজ আদায় করেন এ মসজিদের মুসল্লিরা। প্রায় পাশেই উত্তর দিকে সুরম্য ও এসিযুক্ত আরো একটি নতুন পাকা মসজিদ। স্বল্প জনবসতির গ্রাম, পাশাপাশি দু’টি মসজিদ দেখে মনে খটকা লাগে। পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর ফজর নামাজ আদায় করতে সুরম্য মসজিদে যাই। নিজেসহ মোট মুসল্লির সংখ্যা আটজন। মসজিদ প্রায় সবটাই খালি। মসজিদ থেকে বের হয়ে পাশের ছাপড়া ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়াই। ছাপড়া থেকে ১৭ জন মুসল্লি বের হয়ে আসতে দেখি। দুপুরে জুমা নামাজ আদায় করতে এসিযুক্ত মসজিদে যাই। নামাজ শুরুর আগে মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার হিসাবের খাতা হাতে মুসল্লিদের উদ্দেশে সখেদে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান; কারণ হিসেবে বলেন, ‘মহল্লা থেকে মাসের উত্তোলিত টাকার পরিমাণ ২৩ শ’ থেকে ২৪ শ’। ইমাম সাহেবকে দিতে হয়েছে তিন হাজার টাকা করে। প্রতি মাসে পাঁচ শ’-সাত শ’ টাকা পকেট থেকে ভর্তুকি দিয়ে ক্যাশিয়ার থাকা সম্ভব নয়।’

পাড়ার লোকসংখ্যা কম, তাই যেখানে ইমাম সাহেবের বেতন ওঠানোই কঠিন, সেখানে এসিসহ সুরম্য মসজিদ হলো কী করে? তা ছাড়া স্বল্প লোকসংখ্যার মধ্যে পাশাপাশি দু’টি মসজিদ-ই-বা কেন? কারণ খুঁজতে গিয়ে জানতে পারি, শত বছরের পুরনো ‘মুন্সিবাড়ির মসজিদ’ নামের পুরনো জুমার ঘরে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় সম্প্রসারণ আবশ্যক হয়ে পড়ে। সম্প্রসারিত মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে শুরু হয় মতভেদ। এটি থেকে বিভাজন। কাছেই আট শরিকের ৪ শতাংশ ভূমি। সামান্য পরিমাণ সম্পত্তি দিয়ে আট শরিকের কেউই কিছু করতে পারবেন না; তাই মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দিয়ে আসেন।

নতুন মসজিদ এলাকার কোনো এক ব্যক্তি এলজিআরডি অফিসে কর্মরত। তার চেষ্টায় বাড়ির সামনের রাস্তার জন্য এক কোটি ও মসজিদ গোরস্তানের জন্য ২৮ লাখ টাকা অনুদান পেয়ে। সে টাকা দিয়ে ৪ শতাংশের ওপর সুরম্য মসজিদ নির্মাণ করায় অবিভক্ত সমাজটি ‘মুন্সিবাড়ি মসজিদ’ ও ‘উত্তরপাড়া মসজিদ’ নামে ‘দুই’ সমাজে বিভক্ত হয়ে পড়ে।

বছর তিনেক আগে কলকাতা জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি দেখতে গিয়ে দেখেছিলাম; কলকাতার নাখোদা মসজিদও। নাখোদা মসজিদের গম্বুজসহ সুউচ্চ মিনার দূর থেকেই দৃষ্টিগোচর হয়। কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ সুপ্রাচীন মসজিদ এটি। অবাঙালি মেনন সম্প্রদায় ১৮২০ সালে কলকাতা এসে জাহাজ ও চিনির ব্যবসা শুরু করে। কাছাকাছি মেনন সম্প্রদায়ের দু’টি মসজিদ ছিল। একই সম্প্রদায়ের দু’টি মসজিদ মতবিরোধের সমূহ সম্ভাবনা। তাই কাচ্ছেন মেনন দু’টি মসজিদ এক করে ১৯২৬ সালে মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু করে শেষ করেন ১৯৪২ সালে। স্থাপত্যের দিক থেকে নাখোদা মসজিদ এক ‘বিস্ময়’! অত্র এলাকায় এই মসজিদের অনেক প্রভাব। এখনো রোজার শেষে চাঁদ দেখা নিয়ে এই মসজিদের ঘোষণাই শেষ কথা (‘ভারতে চিকিৎসা সফর’ পৃষ্ঠা ৪৩)। আর আমরা, অবিভক্ত সমাজকে বিভক্ত করতে প্রথমেই ব্যবহার করছি মসজিদ।
লন্ডনবাসী সোনারগাঁওয়ের লোক ‘আবদুস সামাদ বাংলাদেশ’। ইস্ট লন্ডনে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ নামে এক ডাকে সবাই চেনেন। তিনি ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পরপর দু’বার খড়হফড়হ ইড়ৎড়ঁময ড়ভ ডধষঃযধস ঋড়ৎবৎং মিউনিসিপাল এলাকা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাউথ-ইস্ট লন্ডন থেকে তিনিই প্রথম বাঙালি কাউন্সিলর। গত ২৬ ডিসেম্বর ২০০৩ সালে যখন তার রেডব্রিজ এলাকার বাসায় বেড়াতে যাই, তখন তিনি রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ মুসলিম সম্প্রদায়ের ঈর্ষা-বিদ্বেষ ও মতভেদ নিয়ে সখেদে অনেক কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘১৯৬৩ সালে এ দেশে লেখাপড়া করতে আসি। লেখাপড়া শেষ করে এ দেশেই ব্যবসা শুরু করি। এ দেশে এশিয়ানদের একটি কমিউনিটি আছে। এশিয়ান কমিউনিটির কাছে আমাদের কোনো পরিচয় ছিল না। হিন্দিভাষীরা ছিল ‘ভারতীয়’ আর উর্দুভাষীদের বলা হতো ‘পাকিস্তানি’। আমরা বাংলা ভাষীরা না পাকিস্তানি না ভারতীয় কোনো টায়-ই ছিলাম না। তারা আমাদের পাকিস্তানি হিসেবে মানত না। তাদের যুক্তি তোমরা প্রথমে দিল্লির, পরে ব্রিটিশের, সর্বশেষ পাকিস্তানের উপনিবেশের স্থায়ী বাসিন্দা। তোমাদের নিজের কোনো দেশ নেই। এ কারণে সবার কাছে ছোট হয়ে থাকতাম। সবাই অবহেলা করত। নিজেদের বড় করার জন্য অনেক চেষ্টা ও অর্থের বিনিময়ে স্বদেশী বন্ধু-বান্ধবদের সহায়তায় জমি কিনে লেটন এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলাম। মসজিদের প্রথম চেয়ারপারসন ছিলাম নিজে। এশিয়া আফ্রিকার কিছু ভিন্নমতাবলম্বী মুসলমান মসজিদে আসা-যাওয়াসহ জোটবদ্ধ হয়ে মসজিদের ভেতর পীরপূজা শুরু করে। এসব অনৈসলামিক কাজে আমরা বাধা দিই। এক দিন তারা লাঠি-সড়কি নিয়ে আমাদের মসজিদ থেকে তাড়া করে। এ নিয়ে হাইকোর্ট পর্যন্ত মামলা গড়ায়। মামলায় আমরা হেরে যাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘নিজেদের অসার মনে করে একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখতাম। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ দেশের বাঙালি কমিউনিটি রাতদিন পরিশ্রম করে লাখ লাখ টাকা মুক্তিযুদ্ধের সাহায্যার্থে দেশে পাঠিয়েছি। যে দিন দেশ স্বাধীন হলো সে দিন কি যে ভালো লেগেছিল- মনে হলো পুনর্জন্ম হয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই বুক ফুলিয়ে স্বাধীন দেশের মাটিতে পা ফেলতে কেমন লাগে সে অনুভূতির জন্য আমরা দু’জনই (স্বামী-স্ত্রী) ছুটে যাই বাংলাদেশে। বিমানবন্দর নেমে বুক ভরে বাতাস নিই, স্বাধীন দেশের বাতাস, একান্ত নিজস্ব। ঠিক করি আর বিদেশ নয়, ব্যবসায় বাণিজ্য গুটিয়ে দেশে চলে আসব। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস স্বাধীন দেশের মাটিতেই ত্যাগ করতে চাই। স্বাধীন দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ দু’জনই নোটারি পাবলিকের গিয়ে হলফনামার মাধ্যমে আমাদের নাম পরিবর্তন করে রেখেছি, ‘আবদুস সামাদ বাংলাদেশ’ ও ‘হোসনে আরা বাংলাদেশ’ (‘বিলেতের পথে পথে’ পৃষ্ঠা ১২১-২৩)।

এ দেশে কোনো নবী-রাসূলের জন্ম হয়নি- এমনকি কোনো নবী-রাসূল ইসলামের সুমহান বাণী নিয়ে এ দেশে আগমন করেছেন বলেও জানা যায় না। এগারো শতকের মধ্যভাগ থেকে আরব, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, খোরাসান, মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত থেকে পীর, ফকির, দরবেশ, ওলি-আউলিয়া ও সুফি-সাধক এ দেশে আসতে শুরু করেন। ইসলামের আধ্যাত্মিক-তাপসদের মরমিবাদ প্রচারে মানুষ আকৃষ্ট হন। মরমিবাদ মানুষের অভ্যন্তরীণ ঈর্ষা-বিদ্বেষ দূর করে মনকে পরিশুদ্ধ করে। সুফি-সাধকদের লোভ-লালসাহীন চারিত্রিক আদর্শে মুগ্ধ হয়ে দলে দলে মানুষ মুসলমান হয়েছিলেন।

ঈর্ষা-বিদ্বেষ নামক মনের ঘুণপোকা দূর করতে গিয়ে কেউ কেউ নিজেই আক্রান্ত ঘুণপোকার জালে। প্রাচ্যের দেশ থেকে আগত পীরদের বৈশিষ্ট্যের সাথে বাড়ছে দূরত্ব।

আগের সুফি-সাধক ও পীর-মুরশিদরা এ দেশে প্রতিক‚ল পরিবেশে অমুসলমানদের মুসলমান করতেন। বর্তমান পীর-মুরশিদরা অনুক‚ল পরিবেশে তরিকাহীন মুসলমানদের তরিকার পথে আনেন।

আগের সুফি-সাধকরা খুবই গরিব ছিলেন। কেউ কেউ রাজসিংহাসন ছেড়ে (ইব্রাহিম আদহাম রহ:) স্বেচ্ছায় কপর্দকহীন অবস্থা বরণ করে নিয়েছেন। বর্তমান পীর-মুরশিদদের অনেকেই খুবই ধনী। এ পথে কেউ কেউ কপর্দকহীন অবস্থা থেকে কোটিপতি হয়েছেন।

আগের সুফিদের বেশির ভাগই নারীবিমুখ ছিলেন। কেউ কেউ ছিলেন চিরকুমারও। আল্লাহপ্রীতির পথে নারীপ্রীতি মনোযোগ বিঘ্নিত হয় মর্মে তারা যুক্তিও প্রদর্শন করে গেছেন। আগের সুফিদের ঈর্ষা-বিদ্বেষ ও প্রলোভন স্পর্শ করতে পারেনি। এসব বিষয়ে বর্তমান সুফিদের কেউ কেউ প্রশ্নবিদ্ধ। ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০০ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা পাতা ভর্তি ছিল দুই পীরের আধিপত্য, ক্ষমতা ও মতভেদের লড়াইয়ের কাহিনী। সেই লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন নিহত হওয়াসহ আহত হয়েছিল কয়েক শ’ মানুষ (‘দিল্লি-আগ্রা ও আজমির’ পৃষ্ঠা ১৪৩ ও ১৪৪)।

রূপায়ণ টাউন মসজিদের খতিব মুফতি মো: জামাল উদ্দিন একজন সুলেখক ও সুবক্তা। তিনি জুমার বয়ানে বলেছিলেন, যেভাবে মসজিদ-মাদরাসা বাড়ছে, সেভাবে আমাদের চরিত্রের উৎকর্ষ বাড়ছে না; অর্থাৎ এসি চলছে, কিন্তু ঠাণ্ডা বের হচ্ছে না। কারণ কম্প্রেসার ময়লা জমে জ্যাম হয়ে রয়েছে। ‘মন’ নামক কম্প্রেসারের ময়লা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত মসজিদ-মাদরাসা বাড়ালেও চরিত্রের উৎকর্ষ বাড়বে না।

অমুসলিম গুণীজনের মতে, ‘হজরত মুহাম্মদ সা: সর্বশেষ নবী এবং ইসলাম সর্বশেষ ধর্ম। তাই অন্যান্য ধর্মে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, সেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি ইসলাম ধর্মে নেই। ইসলামী জীবনব্যবস্থা বিজ্ঞানসম্মত। শুধু তা-ই নয়, ইসলাম ধর্মের প্রবর্তকের বিদায় হজের ভাষণে যে মানবতাবাদ রয়েছে, সে মানবতাবাদের আলোকে বক্তব্য দিয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মার্টিন লুথার কিং; বিদায় হজের ভাষণের ছায়ায় রচিত হয়েছে বিশ্বের বেশির ভাগ উন্নত দেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকার।’ এমন একটি ধর্মকে কেউ ব্যবসা, কেউ রাজনীতি, কেউ ব্যবহার করছে ঈর্ষা-বিদ্বেষের হাতিয়ার হিসেবে। ফলে নিজেরা ধ্বংসের মুখে পতিত হওয়াসহ বিশ্বের বুকে বিতর্কিত করছে শান্তির ধর্ম ইসলামকেও।

লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক
advzainulabedin@gmail


আরো সংবাদ



premium cement