২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

তালেবান বনাম পাশ্চাত্য মিডিয়া

- প্রতীকী ছবি

তালেবানের কাবুল জয়ের পর থেকে উদ্বেগ ছিল যে, তারা মেয়েদের শিক্ষার অধিকার রুদ্ধ করে দেয় কি না। কিন্তু না, তারা পর্দাসাপেক্ষে মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা বহাল রাখার নীতি নিয়েছে। তারা সহশিক্ষা অনুমোদন করেনি; ছেলে ও মেয়েদের আলাদা প্রতিষ্ঠানে পড়ার নির্দেশ জারি করেছে। বলেছে, মেয়েদের উচ্চশিক্ষা অর্জনে তাদের কোনো আপত্তি নেই। এর আগে কাবুলে একটি সংবাদ সম্মেলনেও তারা বলেছিল, শরিয়াহ মোতাবেক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন খাতে নারীরা অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। নারীদের ব্যাপারে তালেবানের বর্তমান অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবমুখী বলে মনে হচ্ছে।

২০১০ সালে ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্র নেদারল্যান্ডস আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নিলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোট হোঁচট খায়। এর ফলে ন্যাটোভুক্ত অন্যান্য রাষ্ট্রও নেদারল্যান্ডসকে অনুসরণ করতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সিআইএ ফেমিনিজম তত্ত¡ ব্যবহার করার উদ্যোগ নেয়। উদ্দেশ্য হলো আফগানিস্তানের মেয়েরা অরক্ষিত এবং তালেবান ক্ষমতায় এলে তারা আবারো নির্যাতনের শিকার হবে- এমন মানবিক আবেদন ন্যাটোর অন্যান্য রাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরা, যাতে তাদের আর কেউ আফগান যুদ্ধ থেকে সরে না পড়ে। উইকিলিক্সে ফাঁস হওয়া সিআইএর ক্লাসিফায়েড নথি থেকে সংস্থাটির এ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানা যায়। এ বিষয়ে জার্মানির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে-
A leaked CIA document suggests recruiting Afghan women to help drum up support for the war in Afghanistan. The intelligence agency is concerned about waning enthusiasm for the NATO effort, especially in Europe. (27 March 2010).
প্রধানত নারী ইস্যুতে পাশ্চাত্য মিডিয়া যারপরনাই প্রপাগান্ডা চালিয়ে তালেবানকে অমানবিক ও নিন্দনীয় হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে গেছে। সেই নিরবচ্ছিন্ন প্রপাগান্ডায় অনেকেই প্রভাবিত। কিন্তু তালেবান তাদের বিগত শাসনামলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া এবং ঘর থেকে বেরোনোর ক্ষেত্রে কেন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, সেটি অনেকেই খতিয়ে চিন্তা করেনি; বরং পাশ্চাত্য মিডিয়া যেভাবে প্রচার করেছে, অনেকেই সেভাবে সোজাসাপ্টা গ্রহণ করেছে।

দখলদার সোভিয়েতরা পরাজিত হয়ে ভেগে যাওয়ার পর আফগানিস্তানে শুরু হয় ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ। তালেবান দেশের ৮৫ শতাংশ ভ‚মির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং সেখানে ইসলামিক আমিরাত গঠন করে। আর বাকি অংশের নিয়ন্ত্রণ থাকে তালেবানের প্রতিপক্ষ নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের হাতে। নর্দার্ন অ্যালায়েন্স তালেবানের বিরুদ্ধে তখন সশস্ত্র যুদ্ধ করছিল। এরকম অস্থির গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে মেয়েদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাদের স্কুলে যাওয়া ও ঘর থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তালেবানের ইসলামিক আমিরাত। অথচ পাশ্চাত্য মিডিয়া এটিকে পুঁজি করে অব্যাহত প্রচারণার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে তালেবানকে বর্বররূপে উপস্থাপন করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক আগ্রাসনকে জায়েজ করতে থাকল।

আমেরিকা তালেবানকে ‘নারীবিদ্বেষী’ হিসেবে তুলে ধরার শত চেষ্টা করলেও নারীর প্রতি খোদ আমেরিকার আচরণ কেমন, তা অবশ্যই দেখার বিষয়। কারণ আমেরিকার হাতে বন্দী একজন মুসলিম নারী স্নায়ুবিজ্ঞানী ড. আফিয়া সিদ্দিকী জেলে মার্কিন সেনাদের হাতে শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে (১৯ জুন ২০১৮, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন)। অথচ ইভান রিডলে নামে এক নারী ব্রিটিশ সাংবাদিক তালেবানের হাতে বন্দী অবস্থায় কেমন আচরণ পেয়েছিলেন, তা আমরা জানি। শত্রুর পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক হওয়ার পরও তালেবানের সম্মানজনক সদাচারে মুগ্ধ হয়ে তিনি পরে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেন। তার নতুন নাম মরিয়ম রিডলে। মুক্তির পর বন্দিদশা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘They (the Taliban) treated me with respect and courtesy’ (8 Oct. 2001, CNN)। এ ছাড়া মুক্তির পর তাকে বিধ্বস্ত নয়, বরং বেশ খোশমেজাজেই দেখা গিয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যমে জানা যায়। তবুও পাশ্চাত্য মিডিয়ার প্রচারণায় তাড়িত হয়ে অবলীলায় তালেবানকে সাব-হিউম্যান বা হাফ-হিউম্যান বলে অবজ্ঞা করতে অনেকের দ্বিধা হয় না। তর্কের খাতিরে একটি প্রশ্ন নিশ্চয়ই অযৌক্তি হবে না যে, আফগান ভ‚মিতে সামরিক আগ্রাসনের দুই দশক ধরে নৃশংস হত্যালীলা চালানো আমেরিকানদের চেয়েও কি তালেবান বেশি বর্বর?

আফগান যুদ্ধে ‘জঙ্গি’ নির্মূলের নামে আমেরিকা যে নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে এবং ওই যুদ্ধের ফলে আফগানিস্তানে কর্মরত অসংখ্য আমেরিকান সেনা ও বিশেষজ্ঞ যে মানসিক পীড়ার কারণে আত্মহত্যা করেছে, সেসব বিষয়ে তো পাশ্চাত্য মিডিয়ায় এখন কোনো উচ্চবাচ্য হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে জানা যায়, আফগান যুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা মোট দুই লাখ ৪১ হাজার, যার মধ্যে নিহত বেসামরিক নাগরিকদের সংখ্যা ৭১ হাজার (চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত)। এ ছাড়া নাইন-ইলেভেন পরবর্তী মার্কিন যুদ্ধগুলোতে অংশগ্রহণকারী আমেরিকান সেনা ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে শুধু মানসিক পীড়াজনিত কারণে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি। অথচ বর্তমানে পাশ্চাত্য মিডিয়ায় এসব একেবারেই আলোচনায় আনা হচ্ছে না; কারণ সেসব নিহতরা অ্যাডওয়ার্ড হারম্যান ও নোয়াম চমস্কির ভাষায় ‘মূল্যহীন ভিকটিম’ যারা আমেরিকার রাষ্ট্রীয় স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

অন্য দিকে পাশ্চাত্যের কাছে আফগান মেয়েরা হলো মূল্যবান ভিকটিম। কারণ সাধারণত যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশে বা সমাজে প্রধানত মেয়েরা নানা দিক থেকে বঞ্চনার শিকার হয়। আফগানিস্তানের ক্ষেত্রেও এটি সত্য। তাই তালেবানকে ডেমোনাইজ করার আমেরিকার রাষ্ট্রীয় স্বার্থচরিতার্থ করতে ‘মূল্যবান ভিকটিম’ হিসেবে আফগান মেয়েদের বঞ্চনাগুলোকে পশ্চিমা মিডিয়ায় অতিরিক্ত সংবেদনশীলভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। আর এটি তালেবানের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রপাগান্ডা ক্যাম্পেইনে রূপ নিয়েছে। চমস্কি ও হারম্যান প্রপাগান্ডা ক্যাম্পেইনকে ‘রাষ্ট্র ও মিডিয়ার যৌথ প্রযোজিত’ বলে উল্লেখ করে লিখেছেন ‘Some propaganda campaigns are jointly initiated by government and media; all of them require the collaboration of the mass media. ...A propaganda approach to media coverage suggests a systematic and highly political dichotomization in news coverage based on serviceability to important domestic power interests. Such dichotomization in the mass media is massive and systematic: not only are choices for publicity and suppression comprehensible in terms of system advantage, but the modes of handling favored and inconvenient materials (placement, tone, context, fullness of treatment) differ in ways that serve political ends.’ (Page: 34-35, Section: 1.6, Manufacturing Consent: The Political Economy of the Mass Media).

সুতরাং নারী ইস্যুতে তালেবানের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ক্যাম্পেইন পরিচালনার ক্ষেত্রে মার্কিন গণমাধ্যমগুলোই যে একা ভ‚মিকা পালন করছে তা নয়, মার্কিন রাষ্ট্রও এতে সম্পৃক্ত। চমস্কি ও হারম্যানের মতে, মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে প্রধানত সংবাদ পরিবেশন করা হয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার স্বার্থোপযোগী একটি কাঠামোগত রাজনৈতিক বৈপরীত্যের ভিত্তিতে; অর্থাৎ কোনো সংবাদ আমেরিকার রাষ্ট্রীয় স্বার্থের পক্ষে গেলে ব্যাপক প্রচার করা আর বিপক্ষে গেলে চেপে রাখা বা কম গুরুত্ব দেয়ার নীতি। এ ছাড়া উইলিয়াম আর্কিন নামে ইউএস আর্মির একজন সাবেক ইন্টেলিজেন্স বিশেষজ্ঞ একটি প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘আমেরিকা ও অন্যান্য পাশ্চাত্য মিডিয়া যুদ্ধক্ষেত্রের তথ্যের জন্য মিলিটারির ওপর নির্ভর করে থাকে; কারণ রিপোর্টাররা যুদ্ধক্ষেত্রে ভ্রমণ করতে পারে না বলে তারা মিলিটারি থেকে যেমন সংবাদ পায়, তেমনটাই তারা রিপোর্ট করে। আর যখন মিলিটারি অফিসাররা মিডিয়ার মাধ্যমে পাবলিককে এমন তথ্য দেয় যেটা প্রপাগান্ডা উৎপাদন করে এবং প্রতারণা, ধোঁকা ও প্রত্যাখ্যানকে উচ্চমূল্য দেয়; তখন আসলে সর্বাগ্রে সত্যের মৃত্যু ঘটে’ (১৩ নভেম্বর ২০০২, লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস)।

যা হোক, তালেবান বাহিনী সুদীর্ঘ দুই দশক যুদ্ধ করে দেশ দখলমুক্ত করার পর এখন পর্যন্ত আমেরিকার একটি দালালকেও হেনস্তা করেনি; বরং সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। কাউকে শাস্তির কোনো হুমকিও দেয়নি। কাবুলের কোনো সাধারণ নাগরিকের ঘরবাড়িতেও হানা দেয়নি। জ্বালাও-পোড়াও করেনি। তবুও কাবুলের একশ্রেণীর নাগরিকের আফগানিস্তান ত্যাগ করতে চাওয়ার কারণ মূলত দু’টি- এ সুযোগে আমেরিকায় পাড়ি জমানোর লোভ আর নয়তো অতীত কৃতকর্মের শাস্তির ভয়।

ইতিহাসে দেখা যায়, বিজয়ীরা কিভাবে পরাজিতের ওপর নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালিয়ে প্রতিশোধ নেয়। ফরাসি বিপ্লবের পর বিজয়ী বিপ্লবীরা তাদের প্রতিপক্ষের ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ড চালায়। গিলোটিনের কোপে বিরোধীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতো বিনা বিচারে। এই নির্মম সময়কে ইতিহাসে সন্ত্রাসের রাজত্ব বা রেন অব টেরর বলে অভিহিত করা হয়। তার পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ সময়ে জার্মানির বার্লিন দখল করার পর সোভিয়েত, আমেরিকান, ব্রিটিশ, ফরাসি ও পোলিশ সেনারা ২০ লাখ থেকে২৫ লাখ জার্মান নারীকে গণধর্ষণ করে। এমন অনেক ইতিহাস আছে। অথচ এখন পর্যন্ত মুসলিম শাসকদের যুদ্ধজয়ের ইতিহাসে এ ধরনের কোনো কলঙ্ক নেই। এমনকি সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ বিজয়পূর্বক ইস্তাম্বুলে প্রবেশ করার পর যখন পরাজিত ভ‚মির অধিবাসী খ্রিষ্টানরা ভয়ে থরথর করে কাঁপছিল, ছোটাছুটি করছিল ও দিগ্বিদিক পালাচ্ছিল, তখন তিনি তাদের সবার প্রতি ক্ষমা, সহানুভ‚তি ও নিরাপত্তা প্রদান করেন। নিজ সেনাদের তিনি কোনো লুটপাট ও অরাজকতা করা থেকে বিরত থাকার কঠোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ঠিক একইভাবে তালেবানের কাবুল দখলে নেয়ার পর আমেরিকার দোসররা আতঙ্কিত হয়ে দিগি¦দিক পালাতে থাকলে তালেবান তাদের মুজাহিদিনদের নির্দেশ দিয়েছে বিনা অনুমতিতে কারো ঘরে প্রবেশ না করতে এবং নাগরিকদের সম্মান ও সহায়-সম্পত্তি রক্ষা করতে। তারা সবার প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে এবং সবার জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তালেবান তো শুধু রুক্ষ পাহাড়ি যোদ্ধামাত্র নয়, তারা একই সাথে তালেবুল ইলমও। ইলমের চর্চার মধ্য দিয়ে তারা রাসূল সা:-এর মহানুভবতা ও ক্ষমাশীলতার শিক্ষা লাভ করেছে। ফলে তাদের কাছ থেকে এমন মহানুভবতা পাওয়াটাই স্বাভাবিক। মিডিয়ায় তালেবানকে ভয়েসলেস করে রাখায় এত বছর তালেবানের বিরুদ্ধে বিনা বাদ-প্রতিবাদে একচেটিয়া প্রপাগান্ডা চালানো সম্ভব হয়েছে। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তালেবানকে মিডিয়ায় স্পেস দেয়া হচ্ছে। তাই তাদের বক্তব্য আমরা এখন শুনতে পারছি। টানা দুই দশকের প্রপাগান্ডার বিপরীতে তারা তাদের অবস্থান তুলে ধরার প্রয়াস পাচ্ছে। বস্তুতপক্ষে মানবিক তালেবানের কাছে পাশ্চাত্য মিডিয়াও আজ হেরে গেছে।

এরই মধ্যে তালেবানকে যথেষ্ট মানবিক বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। তারা পাশ্চাত্যের মতো মানবতার ভেকধারী নয়। পাশ্চাত্য বিশেষত ইউরোপের প্রায় ডজনখানেক দেশে সেক্যুলার মূল্যবোধ রক্ষার স্বার্থে বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধ করে আইন প্রবর্তিত আছে, তা নিয়ে মাথাব্যথা না থাকলে, আফগান ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার্থে তালেবান আইন করে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করলে তাতে এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কী আছে! এখন সম্ভবত তালেবানের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাব পাল্টে ফেলার সময় এসেছে।

লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
tareqislampt@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement