২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নবাব সিরাজউদ্দৌলার চরিত্রে কলঙ্ক লেপন

নবাব সিরাজউদ্দৌলার চরিত্রে কলঙ্ক লেপন - ফাইল ছবি

এক.
বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার মহান নবাব সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসনে বসেন ৯ এপ্রিল, ১৭৫৬ সাল। নানা আলিবর্দী খানের মৃত্যু হয় ওই দিন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ সময় বাংলা ছিল নানা ষড়যন্ত্রে ক্ষতবিক্ষত। কুচক্রী মীর জাফর, রাজবল্লভ, রায়দুর্লভসহ প্রায় সব অমাত্যবর্গের হিংস্র রাজনীতি, ইংরেজ বেনিয়াদের গোপন কূটকৌশল এমনকি আপন খালা ঘসেটি বেগম ও খালাতো ভাই শওকত জংয়ের হিংস্র তৎপরতায় সিরাজ ছিলেন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।

মীর মদন, মোহন লাল, বদ্রেআলী ও সাকের মতো অল্প ক’জন ছোট সেনাপতিই ছিলেন সিরাজের বিপদের বন্ধু। যা দেশ বা রাজ্য রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট নয়। মাত্র ২৩ বছর বয়সের একটি কিশোর এতবড় একটা রাজ্য কী করে শাসন করবেন, নানামুখী ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলা করে? আরেকটি ব্যাপার ছিল। নবাবের সরলতা। অমাত্যবর্গের প্রত্যেকটি ষড়যন্ত্রের ঘটনা নবাবের কানে এলেও তিনি তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন বারবার শাস্তি না দিয়ে। মাত্র কয়েকজন সেনাপতি ও অমাত্যবর্গ বা ইংরেজ ষড়যন্ত্রকারীদের যদি তিনি বিচার করে ফাঁসি দিতেন তা হলে বাংলার ইতিহাসের ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত হতো।

শুধু সিরাজ কেন আলিবর্দী খানও সিপাহসালার নির্বাচনে ভুল করেছিলেন। মীর জাফর তার আত্মীয় মনে করে তাকে রেখেছিলেন সিরাজের পথপ্রদর্শক হিসেবে যেভাবে সম্রাট হুমায়ুন আকবরের দেখাশোনার জন্য বৈরাম খাঁকে রেখেছিলেন। সিরাজের চেয়ে কম বয়স হয়েও আকবর বিশাল হিন্দুস্তান শাসন করে গেছেন।

দুঃখজনক ঘটনা হলো, প্রায়ই কিছু নাট্যকার ও ইতিহাস লেখক নবাব সিরাজের চরিত্রে কলুষতা লেপন করে আনন্দ পান। তারা তাদের লেখায় ইনিয়ে বিনিয়ে মালমশলা মিশিয়ে সিরাজকে কলুষিত করার চেষ্টা করেন। এসব লেখক লিখেছেন : সিরাজউদ্দৌলা লম্পট ও নারীলিপ্সু ছিলেন। তিনি হিন্দু যুবতী নারীদের এনে ভোগ করে তাদের হত্যা করেছেন। লেখা হয়েছে, নাটোরের রানী ভবানীর বিধবা মেয়ের সঙ্গে নবাবের অবৈধ সম্পর্ক ছিল।

এসব কথা যে সবটুকু মিথ্যা তা ইতিহাস উদঘাটন করে জানা যায়। নাটোরের রানী ভবানীর পরিবারের সঙ্গে নবাবের দেখাই হয়নি। তবে স্বাধীনচেতা রানী পলাশীর যুদ্ধে সিরাজের পক্ষে সমর্থন দিয়ে নিজস্ব সৈন্য পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যোগাযোগের অভাবে তা করতে পারেননি।

দুই.
সিরাজদ্দৌলাহর নানা নবাব আলিবর্দী খান অত্যন্ত চরিত্রবান ধার্মিক লোক ছিলেন। তার রাজত্বকালে কোনোরূপ হেরেমখানা গড়ে ওঠেনি। তিনি একমাত্র স্ত্রীকে নিয়ে সুখী ছিলেন। অল্প বয়সেই তিনি সিরাজকে বিয়ে দেন লুৎফুন্নেসা নামের একটি সাধারণ ঘরের মেয়ের সঙ্গে। অন্য নাতি শওকত জংকে তিনি পছন্দ করতেন না নারী ও মাদকাসক্ত বলে। তিনি জীবিত থাকতেই তাই সিরাজকে সিংহাসনের উত্তরাধিকার নির্ধারণ করে যান সিরাজের চরিত্র পৌরুষত্ব ও বীরত্বে মুগ্ধ হয়েই।

বাংলা বিহার উড়িষ্যা রাজ্যের সিংহাসনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন সিরাজ ১৭৫৬ সালের ৯ এপ্রিল। আর তার ক্ষমতাকালীন সময় মাত্র চৌদ্দ মাস ১৪ দিন, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।

ইংরেজ বেনিয়া ডা: হলওয়েল ১৭৫৬ সালের ১৬ জুন সিরাজদ্দৌলাহর কলকাতা আগমনের ঘটনা নিয়ে এক মিথ্যা গল্প বানিয়ে অন্ধকূপ হত্যা বলে তার গ্রন্থে প্রচার করেন। যা সেকালে ও পরবর্তীতে বানোয়াট কাহিনী বলে অনেক ঐতিহাসিক তাদের রচনায় বিশদ বর্ণনা করেছেন।

সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট কাহিনী হলওয়েলের মতো অনেক ইংরেজ ও হিন্দু লেখক প্রচার করতে চেষ্টা করেছেন ইতিহাস ও নাটকের মাধ্যমে। আমরা ছেলেবেলায় শুনেছি নাট্যকার শচীন সেনগুপ্তের ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নামক নাটক বা যাত্রায়।

লেখকের আন্তরিকতা থাকলেও সিরাজের চরিত্র তিনিও কলুষিত করেছেন এখানে। নাটকে এক দৃশ্যে আলেয়াকে দেখে নবাব বলছেন, ‘নারী। জীবনে নারী অনেক পেয়েছি ও ভোগ করেছি। বুঝতে পেরেছি নারী ছলনাময়ী।’

এ উক্তিতে স্বভাবতই নবাবের প্রতি দর্শকের বা সাধারণ মানুষের ভক্তি কমে যাবে। নারীর প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ যে কম এটা প্রকাশ পেয়েছে।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, নবীন চন্দ্র সেন প্রমুখ লেখক তাদের লেখায় সিরাজউদ্দৌলার প্রতি অবজ্ঞা বিদ্রুপ তুলে ধরেছেন। তাদের চোখে নবাবের মহানুভবতা, উদারতা ধরা পড়েনি। ক্ষমতা গ্রহণের পর চৌদ্দ মাসে সম্ভবত একটি রাতও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেননি, সেখানে লাম্পট্য করবেন কোন সময়? এ সময় তাকে একের পর এক ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হয়েছে।

১৭৫৬ সালের ২০ জুন কলকাতা দুর্গ ইংরেজদের কাছ থেকে পুনর্দখল করেন নবাব। ১৬ অক্টোবর পূর্ণিয়ার নবাবগঞ্জে শওকত জংয়ের বিদ্রোহ দমন করেন নবাব। শকওত জং পরাজিত ও নিহত হন। সিপাহসালার মীর জাফরসহ অমাত্যবর্গ ও আপন খালা পর্যন্ত নবাবের বিরুদ্ধে ইংরেজদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তাকে গদিচ্যুত করার সঙ্কল্প করে। পরিণামে নেমে আসে জীবনপণ যুদ্ধ। ইংরেজ পক্ষে ছিল যেখানে মাত্র তিন হাজার সৈন্য, আর নবাবের পক্ষে ছিল সব মিলিয়ে ৫৩ হাজার। অথচ নবাবের পতন ঘটে এ যুদ্ধে।

তিন.
পলাশীর আমবাগানে ২৩ জুন ১৭৫৭ সালের এই যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর ও রায়দুর্লভের চক্রান্তে বিশাল সৈন্যবাহিনী যুদ্ধ থেকে বিরত থাকে। বীর সেনাপতি মীর মদন ও মোহন লাল তাদের অধীনস্থ অল্পসংখ্যক সৈন্য নিয়ে প্রাণপণ যুদ্ধ করেন। মাত্র ২৪ বছর বয়সী নবাবকে প্রাণ দিতে হয় এই সব বেঈমানের বিশ্বাসঘাতকতায়।

প্রখ্যাত ঐতিহাসিক শ্রী অক্ষয় কুমার মৈত্র তার মীর কাশিম গ্রন্থে লিখেছেন: মুসলমানেরা অনেক কালের নবাব। ইংরেজ, কী বাঙালি সকলেই নবাব দরবারে জানুপাতিয়া উপবেশন করিতেন। সিরাজউদ্দৌলার পদভারে মেদিনি কম্পিত হইয়া উঠিত। ইংরেজদের কথা বিশেষভাবে আলোচনা করা নিষ্প্রয়োজন। বিদেশে বাণিজ্য করিতে আসিয়া যাহারা প্রাসাদে এমন স্বর্ণ সিংহাসন কুড়াইয়া পাইয়াছেন তাহার কথা ইংরেজগণ কোন লজ্জায় এত অল্প দিনে বিস্মিত হইবেন?

ঐতিহাসিক ড. মোহর আলী তার History of the Muslims of Bengal গ্রন্থে লিখেছেন: ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা তাঁর স্বল্পকালীন রাজ্যশাসনে দুর্বলচিত্ততা দেখাননি। তাকে বরং যথার্থ রাষ্ট্রনায়কসুলভ দক্ষতা ও দৃঢ়তার অধিকারী শাসক বলেই মনে হয়।’

১৯৯১ সালের ১৮ মে কলাকাতায় সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকায় ‘পলাশী কার চক্রান্ত?’ শিরোনামে এক প্রবন্ধে শ্রী সুনীল চৌধুরী লিখেছেন, ‘বিশ্বাসঘাতকতার দায় শুধু মীর জাফরের নয়। জগৎশেঠদের দায় মীর জাফরের চেয়ে বেশি বৈ কম নয়।’ আসলে ইতিহাস পরিক্রমায় একটু পিছিয়ে গেলেই দেখা যায় যে, অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলার সবক’টা রাজনৈতিক পালাবদলে জগৎশেঠরাই মুখ্য অংশ নিয়েছে। এ সময়কার রাজনীতিতে পটপরিবর্তনের চাবিকাঠি ছিল জগৎশেঠদের হাতে। ক্লাইভের লেখা চিঠিপত্র দেখার পর সন্দেহের অবকাশ থাকে না যে, পলাশী চক্রান্তের পেছনে ইংরেজরা সবচেয়ে বেশি মদদ পেয়েছিল জগৎশেঠদের কাছ থেকে।

কেন এই পলাশীর চক্রান্ত? এ প্রসঙ্গে শ্রী সুশীল চৌধুরী বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের শাসকগোষ্ঠীর একটি অংশ এবং ইংরেজরা সিরাজউদ্দৌলার অবসায়ন চেয়েছিল বলে পলাশী চক্রান্তের উদ্ভব। উভয়ের কায়েমি স্বার্থের পক্ষে সিরাজ ছিল প্রধান বাধা।’

নবাব হয়েই সিরাজউদ্দৌলা সামরিক ও বেসামরিক উভয় শাসনব্যবস্থা নতুন করে ঢেলে সাজাতে শুরু করেন। মোহন লাল, মীর মদন ও খাজা আব্দুল হাদি খানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ এই নতুন ব্যবস্থার ইঙ্গিত বহন করে।’

শাসক শ্রেণীর একটি গোষ্ঠী ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে। আগের নবাবদের আমলে এই বিশেষ গোষ্ঠীই সম্পদ পুঞ্জীভূত করতে লিপ্ত ছিল। এখন তাদের ত্রাসের কারণ সিরাজউদ্দৌলা হয়তো সম্পদ পুঞ্জীভূতকরণের পথগুলো বন্ধ করে দেবেন।

চার.
ঐতিহাসিক তপন মোহন চট্টোপাধ্যায় ‘পলাশীর যুদ্ধ’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘ষড়যন্ত্রটা আসলে হিন্দুদের ষড়যন্ত্র’...। হিন্দুদের চক্রান্ত হলেও বড় গোছের মুসলমান তো অন্তত একজন চাই। নইলে সিরাজউদ্দৌলার জায়গায় বাংলার নবাব হবেন কে? ক্লাইভ তো নিজে হতে পারেন না। হিন্দু গভর্নরও কেউ পছন্দ করবেন কিনা সন্দেহ? জগৎশেঠরা তাদেরই আশ্রিত ইয়ার লুৎফ খাঁকে সিরাজউদ্দৌলার জায়গায় মসনদে বসাতে মনস্থ করেছিলেন। উমিচাঁদেরও এতে সায় ছিল। কিন্তু ক্লাইভ ঠিক করলেন অন্য রকম। তিনি এমন লোককে নবাব করতে চান যিনি ইংরেজদেরই তাঁবেদার থেকে তাদেরই কথা শুনে নবাবী করবেন। ক্লাইভ মনে মনে মীর জাফরকেই বাংলার ভাবী নবাব পদের জন্য মনোনীত করে রেখেছিলেন।

পলাশী যুদ্ধ নিয়ে ঐতিহাসিক ম্যালিসন বলেন, যুদ্ধ হিসেবে আমার মতে এটি গৌরব করার মতো কিছু নয়। প্রথমত এটি ছিল না কোনো নির্দোষ যুদ্ধ। কে সন্দেহ করবে সিরাজদ্দৌলাহর তিন প্রধান জেনারেল যদি তাদের মনিবের প্রতি বিশ্বস্ত থাকত, তাহলে পলাশীর বিজয় হতে পারত না? মীর মদন (মর্দান) খানের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ইংরেজরা কোনো অগ্রগতি লাভ করতে পারেনি (তখন পর্যন্ত) পশ্চাৎপসরণে তাদের বাধ্য করা হয়েছিল।
... না তারও অধিক ৯ ফেব্রæয়ারি থেকে ২৩ জুনের মধ্যবর্তী সময়ে সঙ্ঘটিত ঘটনাবলির বিচারে বসে নিরপেক্ষ কোনো ইংরেজই অস্বীকার করতে পারবেন না যে, সম্মানের স্কেলে সিরাজউদ্দৌলার নাম ক্লাইভের অনেক উপরে অবস্থিত। সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন ওই বিয়োগান্ত নাটকের প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে একক চরিত্র যিনি প্রতারণা করতে চেষ্টা করেননি। লর্ড ম্যাকলে উল্লেখ করেছেন, মুসলমান রাজন্যদের স্বেচ্ছাচারিতা আর মারাঠাদের লুণ্ঠনের পরেও বাংলা ছিল প্রাচ্যের স্বর্গ।

ইংরেজ বণিকদের সম্পর্কে শায়েস্তা খান মন্তব্য করেছেন, এরা ছিল নীচ ঝগড়াটে এবং অসৎ, প্রাচ্যের স্বর্গ বাংলায় ভাগ্যলাভের আশায় এসেছিল কোম্পানির কর্মচারীরা।

জান্নাতুল বালাদ রজত কান্নার দেশ বাংলা বিহার উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পুরো নাম মনসুর উল মূলক সিরাজউদ্দৌলা শাহকুলী খাঁ মীর্জা মুহম্মদ হায়বৎ জঙ্গ বাহাদুর। মাত্র দেড় বছরের মতো ক্ষমতা পরিচালনার মধ্য দিয়ে যিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে উপনীত হয়েছিলেন আজও তা বাংলার ঘরে ঘরে মানুষের আলোচনার বিষয়। এই রূপকথার রাজপুত্র আমাদের গর্ব আমাদের বিস্ময়।


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল