১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করাচি থেকে প্রথম ঢাকা

করাচি থেকে প্রথম ঢাকা - ফাইল ছবি

১৯৬৯ সাল। প্রায় দেড় বছর হয়ে গেল ঢাকা থেকে করাচি এসেছি। এর মধ্যে একাকিত্বের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। এক রোববারে পিআইডিইতে আমার অনুজ স্টাফ ইকোনমিস্ট আসাদুজ্জামন আমার বাসায় এলো। সাথে তার সহপাঠী, আমার খালাত ভাই আবু। সে সম্ভবত লাহোর বা ইসলামাবাদ থেকে ঘুরে করাচি এসেছে। পরদিন সোমবার বেশ ভোরে ঘুম ভাঙল। অবসন্নভাবে উঠে বিছানায় হাঁটু অল্প ভাঁজ করে তুলে বসে পুবের খোলা জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই পুবেই আমার দেশ। এই পুবেই ঢাকা যেখানে শৈশব কৈশোর যৌবন কেটেছে। গোলাকৃতির অতিকায় থালার মতো সকালের লাল সূর্য দিগন্তরেখা ছেড়ে পূর্ণাবয়বে কেবল উঠেছে। এখনো এর আলোক রশ্মি বিচ্ছুরিত হয়নি। হঠাৎ মনে হলো, ঢাকায় এখন নিশ্চয়ই সূর্য বেশ খানিকটা উপরে উঠে গেছে। রোদ। করাচির মেঘমুক্ত পরিচ্ছন্ন পুব দিগন্তরেখার ওপরে সদ্য সূর্যোদয়ের এ মনোরম দৃশ্য ঢাকার কথা মনে এনে আমার হৃদয় মথিত করে এক অত্যাশ্চর্য শিহরণে দু’ঠোঁটে অস্ফুট কম্পন জাগাল- ‘আমার দেশে সূর্য উঠেছে। আমি ঢাকা যাবো’। তাড়াতাড়ি বিছানা ছেড়ে উঠে স্বগতোক্তি করলাম- ‘ঢাকা যাবো, নিজ খরচেই’। দু’বছর পূর্ণ না হলে ইনিস্টিটিউট খরচ দেবে না। ঢাকা আসার জন্য এক মাসের ছুটি চেয়ে দরখাস্ত করলাম।

সকাল ৯টায় আমার ঢাকার ফ্লাইট। একটি অটোরিকশা (বেবিট্যাক্সি) নিয়ে সকাল ৭টার দিকে এমপ্রেস মার্কেটে রওনা হলাম। একটি বড় ঝুড়িতে বেশ কিছু আনার, নাশপাতি, আপেল, আঙ্গুর, বেদানা, কমলা, মনাক্কা ও মুসম্বি নিলাম। দোকানিকে বললাম, এসব প্লেনে ঢাকা যাবে। সে যেন তা সেভাবেই বেঁধে দেয়। ফলের ঝুড়িটি বেশ বড় হলো। ড্রাইভার এটি রিকশায় টেনে তুলে আমাকে নিয়ে বাসায় ফিরল। বাসায় পৌঁছে দেখি, হাতে অল্প সময় আছে। এ রিকশা ছেড়ে দিলে সময়মতো যদি আরেকটি না পাই, প্লেন মিস করব। তাকে আধঘণ্টা অপেক্ষা করতে বললাম। আমি গোসল সেরে তাকে নিয়ে এয়ারপোর্ট যাবো। এ অপেক্ষা বাবদ এয়ারপোর্টে গিয়ে মিটারে যা রিডিং হবে, তার চেয়ে তাকে পাঁচ টাকা বেশি দেবো। সে বলল, ‘হাম আধা ঘণ্টা মে আপকো এয়ারপোর্ট লে যানে কে লিয়ে চলা আয়গা। আপকো পাঁচ রুপায়া বরবাদ করনে কা কোই জরুরত নেহি’।

আমি গোঁ ধরলাম, তাকে অপেক্ষাই করতে হবে। সে আমার চাপাচাপিতে অপেক্ষা করল। আধঘণ্টার মধ্যে আমি তৈরি হয়ে এসে রিকশায় বসতে যাবো, এমন সময় সে আক্ষেপ করে বলল, ‘সাব, আপনে খামোখা পাঁচ রুপায়া বরবাদ কিয়া। হাম পাঠান কা বাচ্চা হ্যায়। জান যা সেকতা লেকিন বাত ঝুটা নেই বোলতা। আধা ঘণ্টা মে হাম জরুর আপকো এয়ারপোর্ট লেনে আতা। আপনে একিন নেহি কিয়া’। আমি বললাম, ‘তোমহারা ওপর মেরা একিন থা। লেকিন অ্যাক্সিডেন্ট কা বাত তো কই আগে সে কভি নেহি বোল সেকতা’। এই বলে বলিষ্ঠ উঁচা লম্বা স্বাস্থ্যবান জওয়ান পাঠান ছেলেটির বুকে হাত রাখলাম। সে তার সিটে বসে অটোরিকশা স্টার্ট করল। আসলে কোনো রিস্ক নিতে চাইনি। বুঝলাম. আমার অতি সতর্কতার কারণে ছেলেটির পাঠানি সততায় যে আঘাত দিলাম, তার কাছে এই পাঁচ টাকা কিছুই না। টাকা দিয়ে সব কেনা যায় না। তবে এ পাঁচ টাকা আমাকে আধঘণ্টার টেনশন থেকে বাঁচিয়েছে। যদি প্লেন মিস হতো!

আড়াই ঘণ্টার পথ। সাড়ে ১১টায় ঢাকা পৌঁছার কথা। এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় আসতে আধঘণ্টা। ১২টার মধ্যে বাসায় পৌঁছব। সেভাবে চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু করাচি বিমানবন্দরে এসে জানা গেল, ঢাকা ফ্লাইটের প্লেন বিকল। সারতে চার ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। ঢাকাগামী যাত্রীদের পিআইএর বাসে করে বিমানবন্দরের কাছেই ‘মিডওয়ে হাউস’-এ নিয়ে এলো। প্লেন সারার মধ্যবর্তী সময়টা এখানে অপেক্ষা করতে হবে।

‘মিডওয়ে হাউস’-এর গেটে নেমে ভেতরে ঢুকে দোতলায় উঠার সিঁড়ির গোড়ায় দেখলাম, এক মধ্য বয়সী বিদেশী মহিলা তার উন্মুক্ত এক ঊরুর উপর আরেক উন্মুক্ত ঊরু রেখে চেয়ারে নির্বিকার বসে আছেন। তার পরনে স্কার্টটি ‘সংক্ষিপ্ত’। তাকে বাঁয়ে রেখে উপরে এলাম। উত্তরে দক্ষিণে লম্বা প্রশস্ত বিরাট হল। পূর্বদিকের অর্ধেকটায় উঁচু প্লাটফর্ম। প্লাটফর্মের উপর অতিকায় লম্বা টেবিলে থরে থরে রকমারি খাবার সাজানো। সামনে প্লেট-পিরিচ-চামচ, কাঁটা চামচ আর চেয়ার-টেবিল। যার যেমন যা এবং যত ইচ্ছা নিয়ে খাবে। দাঁড়িয়ে কিংবা বসে, যেমন খুশি।

দেখলাম, সামনে প্লাটফর্মের নিচে এক বিদেশী যাত্রীকে নিয়ে লেগে পড়েছে জনাচারেক সেবক। জানালার দিকে মুখ করে চেয়ারে বসা এই যাত্রী। ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান। তাকে যথেচ্ছ বিয়ার খাওয়ানো হচ্ছে। এক ক্যান শেষ হতেই সেবকরা আরেক ক্যান এগিয়ে দিচ্ছে। অপেক্ষমাণ সেবকদের হাতের ক্যান শেষ হয়ে গেলে দৌড়ে গিয়ে আরো ক্যান নিয়ে আসছে। প্লাটফর্মের চেয়ারে বসে এ তামাশা বেশ কিছুক্ষণ দেখলাম। পাশের একজন মন্তব্য করল- ‘বিদেশীদের কী সমাদর। আমাদের দিকে দেখার কেউ নেই।’ আরেকজন যুক্তিসঙ্গত মন্তব্য করলেন, ‘এটা পিআইএর বিদেশী যাত্রী আকর্ষণের কৌশল।’

দুপুর ১২টার দিকে ভাবলাম, কিছু খেয়ে নেই। একটা প্লেট, চামচ আর ছুরি নিয়ে টেবিলের দিকে এগিয়ে গেলাম। টেবিলে সাজানো পোলাও। চামচ দিয়ে কিছুটা নিলাম। বিরাট লম্বা মোটা এক গোশতপিণ্ড থেকে ছুরি দিয়ে কেটে গোশত নিয়ে সালাদের দিকে এগোই। অনেক যাত্রী। খাবার টেবিলের সামনে মোটামুটি ভিড় জমে গেছে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েই খেলাম। পরে চেয়ারে বসি। একবারে যা নিয়েছিলাম, তাই খেলাম। খাবার শেষে অলস বোধ করছি। কিছুক্ষণ এদিক সেদিক পায়চারি করে কাটালাম। বসলাম। প্রতীক্ষা বড় কঠিন জিনিস।

অবশেষে খবর এলো, প্লেন রেডি। আমাদের এবার পিআইএর বাসে চড়তে হবে। নিচে নেমে এলাম। সেই অর্ধ উলঙ্গ মহিলা বসেই আছেন। মনে হলো এটাই তার চাকরি। বাসে উঠতে হাতের ডান দিকে দেখলাম কংক্রিটের তৈরি কয়েকটি ছোট ছোট কটেজ। একটির ভেতর থেকে এক মেয়ে খিরকি পথে বাইরের দিকে উঁকি দিয়ে আছে। পিআইএর এই মিডওয়ে হাউস কেবল ঢাকা-করাচি রুটের যাত্রীদের জন্য নয়। সব রুটের সব যাত্রীদের জন্যই। কটেজগুলো দেখে বুঝা গেল, শুধু বিয়ার কিংবা ওয়াইন নয়; যাত্রীদের অন্য চাহিদা পূরণের ব্যবস্থাও আছে। আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতার জন্য ‘আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা’ রাখতেই হয়।

বিকেল ৪টার আগেই প্লেনের চাকা ঢাকা বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করল। বেরিয়ে এসে লাউঞ্জে লাগেজের অপেক্ষায় আছি। একটি কালো স্যুটকেস প্রথম করাচি গিয়েছিলাম সেটি আর ফলের ঝুড়ি। বন্দরভবন (পুরনো বিমানবন্দর) থেকে বেরিয়ে রাস্তায় এসেই চমকে উঠলাম। এটাই ঢাকা শহর! সরু সরু কেঁচোর মতো রাস্তা। ফুটপাথে চলাচল করছে শীর্ণ রুগ্ন লোকজন। করাচি লাহোর ইসলামাবাদ রাওয়ালপিন্ডির সুপ্রশস্ত রাজপথ আর পথে চলমান বিশাল বপুর মানুষ দেখে অভ্যস্ত চোখে এতদিন পরে হঠাৎ দেখা গাছগাছালিতে আচ্ছাদিত ঢাকাকে আমার কাছে অনাহারক্লিষ্ট জটাল রমণীর মতো মনে হলো। তাও অনেক গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছে। এয়ারপোর্ট রোড ধরে দক্ষিণে পরিবাগের দিকে চলতে চলতে বেবিট্যাক্সির পর্দার ফাঁক দিয়ে চারদিক দেখছি। এ দেড় বছরে নতুন কিছু ফুটপাথ ও রাস্তার আইল্যান্ড নির্মাণ করা হয়েছে বটে; তবু এই শীর্ণ ঢাকার চেহারা দেখে রীতিমতো অবাক হলাম। ঢাকায় থাকতে বুঝিনি, ঢাকা এত রুগ্ন। পূর্ব পাকিস্তানের হৃদয় কত রক্তহীন।

বাসার দক্ষিণের দরজার সামনে বেবি রেখে দরজার শেকলে নাড়া দিলাম। আমার ছোট বোন হাসু এসে দরজা খুলল। রুমের ভেতরে ঢুকতেই সে আমার ডান কাঁধে মাথা রাখল। সস্নেহে তার মাথায় হাত বুলালাম। অতি আদরের ছোট বোন। কতদিন দেখিনি তাদের! বেবিওয়ালা স্যুটকেস আর ফলের ঝুড়িটা নামিয়ে ভেতরে দিয়ে গেল। তার পাওনা পরিশোধ করে ভেতরে এলাম। মা রান্নাঘরে কাজ করছিলেন। বেরিয়ে এলে সালাম করে আব্বা কোথায় জিজ্ঞেস করলাম। মা বললেন, ‘এতক্ষণ অপেক্ষা কইরা এই এনা বাইর অইল। কয় হ-অ। তে আর আইবো।’ বুঝলাম চিঠিতে উল্লিখিত সময়ে আসতে না পারায় আমি যে আসলেই আসব, সে আশা তারা ছেড়েই দিয়েছেন। প্লেন ছাড়তে যে বিলম্ব করেছে, সে কথা বললাম। মা বললেন, ‘কাছেই কোনহানে আছে। তারেকে কই? ডাক দেউক।’

ভাইটিও বাসায় ছিল না। অল্পক্ষণের মধ্যেই এলো। সে গিয়ে আব্বাকে ডেকে আনল। বারান্দার নিচে রান্নাঘরের দরজায় মায়ের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। আব্বা এসে নিঃশব্দে বারান্দায় দাঁড়ালেন। তার চোখ ছল ছল করছে। তাকে সালাম করলাম। আমাদের ঘরদোর, বাড়ির ভেতরটা আগের চেয়ে বেশ পরিচ্ছন্ন মনে হলো। আমার চোখে এক নতুন আলোর স্পর্শ অনুভব করলাম। আমার ভাইবোন, বাবা-মা আমাদের বাসা কত উজ্জ্বল। হৃদয়ে এক অনির্বচনীয় আলোর খেলা অনুভব করলাম। আমার সে চিরচেনা জীবন্ত স্নিগ্ধ সবুজ আলোকিত পরিবেশ। স্বর্গীয় স্নেহ মায়ামমতার বন্ধনে আবদ্ধ আমরা পাঁচজন। আবার একত্রিত হলাম। আল্লাহর কী অশেষ রহমত।

রাতে প্রচুর বৃষ্টি হলো। পরদিন রৌদ্রোজ্জ্বল। দুপুরের পর মতিঝিল কলোনিতে ছোট চাচার বাসায় রওনা দিলাম। রিকশা বেইলি রোড ধরে এগিয়ে চলল। গত রাতের বৃষ্টির কারণে মাটি ভেজা। বেইলি রোড ধরে রিকশায় চলতে মাটির সোঁদা গন্ধ নাকে লাগল। এত বছর ঢাকা রইলাম, এ গন্ধ আমি কোনোদিন আগে পাইনি। করাচি পৌঁছে পেয়েছিলাম কী এক ‘চেংটা’ গন্ধ আর এ কী অপরূপ এক জীবন্ত গন্ধ ঢাকার মাটির। মাটির যে সত্যিই একটা মনোহর জীবন্ত গন্ধ আছে, জীবনে এই প্রথম টের পেলাম। এক জায়গায় বহুদিন বসবাসের অভ্যস্ততা সে জায়গার নিজস্ব অনেক বৈশিষ্ট্য আমাদের ইন্দ্রিয়ানুভূতির আড়াল করে দেয়। কিছুকাল অনুপস্থিত থেকে সেখানে ফিরে এলে সে বৈশিষ্ট্যগুলো প্রস্ফুটিত হয়। মনে হয়, আরে এ তো আগে দেখিনি, শুনিনি, শুঁকিনি! বসবাসে অভ্যস্ত হলে আবার হারিয়ে যায়। এটা প্রকৃতিরই নিয়ম।

দেখতে দেখতে আমার এক মাসের ছুটি ফুরিয়ে গেল। ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে গা করছি না। ছুটি শেষ হওয়ার দু’দিন পরই ইনস্টিটিউট থেকে টেলিগ্রাম এলো ইনস্টিটিউটে ফিরে গিয়ে কাজে যোগ দিতে। ভাবলাম, যাই। না গিয়ে হবেই বা কী? এ পরিবারে আমিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বোনটি কলেজে পড়ে। ছোট ভাই স্কুলে। আব্বা অবসরপ্রাপ্ত। ঢাকায় হুট করে একটা কিছু করার মতো কাজ জোগাড় করাও সম্ভব নয়। ফিরে না যাওয়ার অর্থ, বেকার পড়ে থাকা। সে আরো ভয়ানক। আরো দুর্বিষহ জীবন। মতিঝিল পিআইএ অফিসে গিয়ে ফিরতি টিকিট নিয়ে এলাম। আজ দুপুরের ফ্লাইটে রওনা দেবো। মা খেতে দিয়েছেন ভাত-মুরগির গোশত। হঠাৎ আব্বা বলে বসলেন, ‘যাইস না, যাওনের কাম নাই’। মা বললেন, ‘না, যাউক’। মনটা খারাপ হয়ে গেল। যাওয়ার মুহূর্তে এ ধরনের বিতর্কে পড়ব, আশা করিনি। মায়ের কথাই রাখলাম।

পরদিন ইনস্টিটিউট থেকে ফেরার পথে ক্যাফে জর্জে দুপুরের খাবার সেরে বাসায় ফিরি। খুব ঘুম পেলো। ঘুমালাম। সাড়ে চার কী ৫টার দিকে ঘুম থেকে ‘মা’ বলে আর্তনাদ করে জাগলাম। এ সংসারে যেন আমার মা ছাড়া কেউ নেই। এ উপলব্ধির আকস্মিকতায় বিমূঢ় হয়ে গেলাম। উঠে হাতমুখ ধুয়ে পশ্চিমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে পশ্চিম আকাশে অস্তায়মান সূর্যের দিকে তাকিয়ে রইলাম।

লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ও ভাইস প্রিন্সিপাল,
মহিলা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।


আরো সংবাদ



premium cement