২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তৃণমূল পর্যায়ের এক রাজনীতিক

-

আজ আপনাদের তৃণমূল পর্যায়ের এক রাজনীতিকের কথা শোনাব। তিনি কুমিল্লা জেলার বর্তমান তিতাস উপজেলার রতনপুর গ্রামের সর্বজন শ্রদ্ধেয় নিঃসন্তান ব্যক্তি আমার পরমাত্মীয় বড় চাচা শামসুল হক ভূঁইয়া। তিনি বিগত প্রাণ। তার রাজনীতিক জীবনে গ্রামটি ছিল দাউদকান্দি থানার অন্তর্গত। তাকে গ্রামের ও দূরের পরিচিতজনেরা সবাই ‘চেয়ারম্যান সাহেব’ বলতেন। কারো কারো মুখে তাকে ‘কেরানি সাহেব’ বলতেও শুনেছি। কথাবার্তা যখন বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই সবাইকে এ দুইভাবে তাকে সম্বোধন করতে দেখেছি। ব্রিটিশ আমলে তিনি এ দুইপদেই ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ আমলে ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। এন্ট্রান্স পরীক্ষায় গণিতে লেটারসহ প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ‘চেয়ারম্যান সাহেব’ সম্বোধনটাই তার আজীবন টিকেছিল। এই সম্বোধনের আড়ালে তার প্রকৃত নাম ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। তার কাছে জানতে না চাইলে তিনি নিজের সম্বন্ধে কিছু বলতেন না। আমার ছোটবেলায় তিনি ঢাকা এলে তার সাথে বিভিন্ন আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে গিয়েছি। তিনি আমাকে ইসলাম ধর্মে প্রথম দীক্ষা দেন এবং পথ চলতে আমাকে অনেক দোয়া-দরুদ শিখিয়েছেন। ১৯৭০-এর দশকে যখন ঢাকার তিতুমীর কলেজে শিক্ষকতা করি সে সময়ে তিনি বেশ সুস্থ। ইচ্ছে করলে তার কাছে ওই দুই উপাধি সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করতে পারতাম। ওসব কথা কেন যেন মনেই আসেনি।

ব্রিটিশ আমলে এন্ট্রান্স পাস অনেক জমিদারের ছেলেও শখ করে কেরানির কাজ করতেন। তিনি জমিদারের ছেলে ছিলেন না বটে; তবে চাচার মুখে শুনেছি তার গ্রামের পশ্চিমে বলরামপুর ইউনিয়নে তাদের তালুকদারি ছিল, যা ১৯৫০ সালের জমিদারি দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন পাস হওয়ার পর লোপ পায়। বংশের কেউ কেউ স্কুলে মাস্টারি করতেন। তিনিও শখের বশে তার গ্রামের আড়াই মাইল পুবে মুরাদনগর থানার জাহাপুর কমলাকান্ত একাডেমিতে শৌখিন শিক্ষক ছিলেন। এ কথাটা আমার জানা ছিল না। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে যখন শিক্ষকতা করি, তখন আমাদের ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের অধিবাসী এবং জাহাপুর স্কুলের সাবেক ছাত্র ইসমাইল মিয়া নামে এক সহকর্মীর মুখে শুনেছি। কেরানি সাহেব সম্বোধনটা সেকালে খুব সম্মানজনক ছিল। ব্রিটিশ ভারতে এর চেয়ে বড় চাকরি ক’জনের ভাগ্যেইবা জুটত? পাকিস্তান হাসিলের ব্যাপারে মুসলমান কেরানিদের একটি মুখ্য ভূমিকা ছিল। তাদের শিক্ষিত ছেলেপেলে এবং শিক্ষিত আত্মীয়স্বজনের বাইরেও সর্বস্তরের মুসলমানদের মুখ্যত চাকরির সুবিধার্থে স্বাধীন পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল বলে তারা মনে করতেন। ব্রিটিশ ভারতে চাকরির ক্ষেত্রে মুসলমানরা বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন।

বড় চাচার জীবনের একটি করুণ কাহিনী- স্বাধীন পাকিস্তানে তিনি সারা জীবন চেষ্টা করে একবারের জন্যও ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারেননি। এ পদে নির্বাচিত হতে তার বড় শখ ছিল। এ পদের জন্য তার সময়ে আমাদের ভিটিকান্দি ইউনিয়নে যোগ্যতম প্রার্থী ছিলেন তিনি। তার মতো সজ্জন পরহেজগার পরোপকারী লোক সে সময়ে আমাদের এলাকায় খুব একটা ছিল না। পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে তিনি নির্বাচনের খরচ জোগাতেন। তিনি ভূঁইয়া বাড়ির সম্মানের প্রতীক ছিলেন। বংশের সম্মানের শেষ প্রদীপ। কিন্তু নিঃসন্তান। প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাকে ‘আঁটকুড়া’ বলে প্রচার করতেন। গ্রামের লোক হয়তো এ অপবাদ কানেও তুলত যে কারণে বিপুল ভোট পেয়েও তিনি কুলিয়ে উঠতে পারতেন না। তার সময়ের বহু লোকের নাম তাদের সন্তান জীবিত থাকা সত্ত্বেও তলিয়ে গেছে। কিন্তু নিঃসন্তান ‘সোনামিয়া ভূঁইয়া’র নাম আজো জীবিত। তার জীবনকালে ‘চেয়ারম্যান’ বলতে তাকেই বুঝাত। তার প্রতিদ্বন্দ্বী যারা চেয়ারম্যান হতেন পদের সাথে তাদের নাম না বললে কেউ তাদের চিনত না। ‘চেয়ারম্যান’ মানেই সোনা মিঞা ভূঁইয়া। আর সোনা মিয়া ভূঁইয়া মানেই চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান তার জীবিতকালে তিনি একাই। আর কেউ নয়।

ছোটকালে যখন গ্রামে থাকতাম দেখেছি, তিনি প্রায় প্রতি মাসেই দু-একবার করে কুমিল্লা শহরে আসতেন। আদালতে তিনি জুরির মেম্বার ছিলেন। তাদের কাজ ছিল আদালতে আসামির পক্ষে-বিপক্ষে সওয়াল জবাব শোনার পর একটি বা দু’টি শব্দের মাধ্যমে আসামি সম্বন্ধে তাদের নিজ নিজ মত প্রকাশ করতেন। এঁরষঃু বা ঘড়ঃ এঁরষঃু. তার কাছেই শুনেছি। কুমিল্লা এসে উঠতেন হোটেলে। কাজ শেষে বাড়ি ফেরাকালে কুমিল্লা থেকে আমাদের জন্য বিলাতি বিস্কিট, হরলিক্স, ওভালটিন ইত্যাদি নিয়ে যেতেন। সেকালের কুমিল্লার বিখ্যাত খড়ম ও হুক্কা তিনি কিনতেন। তামাক খাওয়ার জন্য তার বিশেষ ধরনের একাধিক পিতলের হুক্কা ছিল এবং তাতেই তাকে ধূমপান করতে অভ্যস্ত দেখেছি। একটি বিশেষ হুক্কা আর কউকে স্পর্শ করতে দেখেছি বলে মনে পড়ে না। দু’টি ব্যতিক্রম বাদে। একজন আমাদের পশ্চিম গ্রামের কদমতলীর আমজাদ আলী মাস্টার আর একজন, আমার জ্ঞাতি মাস্টার চাচা আলী আহমদ। ঘরে বড় চাচার সাথে সাক্ষাৎ করতে এলে তাদের দু’জনকে এই হুক্কাটিতে বড় চাচার সাথে তামাক সেবন করতে দেখেছি। আমজাদ আলী মাস্টার বড় চাচার প্রায় সমবয়সী। তাকে ছাড়া বাইরের আর কারো আমাদের অন্দর মহলে আসার অনুমতি ছিল না। বাকিদের সাথে বড় চাচা বৈঠকখানায় আলাপ সারতেন।

কোনো কোনো দিন লক্ষ করেছি, বড় চাচা অত্যন্ত ধ্যানমগ্ন অবস্থায় সজোরে ঘন ঘন হুক্কার নলে টান দিচ্ছেন আর ধোঁয়া ছাড়ছেন। এমনই নিবিষ্ট মনে হুঁকা টানতেন যেন এর বাইরে আর কোনো জগত নেই। কখনো দেখেছি, বাড়ির পশ্চিমের আটচালা ঘরের মাঝখানের পোক্ত গজারির খুঁটির গোড়ায় পিঁড়িতে বসে ঘর থেকে বেরোবার পুবের দরজার দিকে মুখ করে বসে, সামনের দিকে একটু ঝুঁকে তিনি একাকি হুক্কা টানছেন। ঘরের মাঝ বরাবর মিহি করে বোনা বিশেষ ধরনের বাঁশের বেড়া দিয়ে উত্তরে একটি ও দক্ষিণে একটি এই দু’টি কক্ষে পুবমুখী উত্তরে-দক্ষিণে লম্বা ঘরটিকে দু’টি কক্ষে ভাগ করা হয়েছে। উত্তরের কক্ষে তিনি যেখানে বসেছেন তার সামনের একটি খুঁটিতে একটু তফাতে ওপরের দিকে পশ্চিমমুখী একটি বড় আকারের বেলজিয়ান দর্পণ বা আয়না লাগানো। দর্পণটি সামনের দিকে সামান্য হেলানো, যেন নিচে পুব দিক সামনে ফিরে মেঝেতে দাঁড়িয়ে দর্পণে মুখ দেখা যায়।

ঘরের মেঝে মাটির; কিন্তু পুবের আর দক্ষিণের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করার এবং বাইর হওয়ার সিঁড়িগুলো পাকা। আমার আব্বা আব্দু মিয়া ভূঁইয়া কলকাতা থাকতেন বলে বড় চাচা মাঝে মধ্যে কলকাতা বেড়াতে যেতেন। তার পেছনে মাচার ওপরে চাল রাখার মটকার সারি। ছোট বড় মিলিয়ে চার-পাঁচটি মটকা। তার ডান দিকের দক্ষিণের কক্ষটি অন্দর মহল। সেখানে পুরুষদের যাওয়া বারণ। দক্ষিণের দরজা দিয়ে সে কক্ষে মেয়েরা ভেতরে আসে, বাইরে যায়। দু’কক্ষের সংযোগ রক্ষা করছে ঘরের মাঝখানের বেড়ার পশ্চিম পাশের একটি খোলা দুয়ার। একটি বিষয় লক্ষ করেছি। তাকে ভোট দেয়ার জন্য আমাদের বংশের কোনো মহিলাকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার অনুমতি দিতেন না। তার বাঁয়ে একটু সামনে উত্তরের টিনের বেড়া ঘেঁষে পুবে-পশ্চিমে পাতা কাঠের ওপর নকশা করা উঁচু খাট। খাটের চারি দিক কাঠের রেলিং দিয়ে ঘেরা। খাটে প্রবেশের জন্য দক্ষিণ দিকে খাটের মাঝ বরাবর বিশেষ ধরনের একটু খোলা। খাট লাগোয়া সামনেই দক্ষিণ পাশে একটি ভারী কাঠের চৌকি। চৌকির ওপর পাটি বিছানো। খাটের রেলিংয়ের বিশেষ ধরনের খোলা অংশ দিয়ে খাটের ভেতরে প্রবেশ করতে হলে প্রথমে এই চৌকিতে উঠতে হয়। মাঝে মধ্যে দেখতাম, বড় চাচা পশ্চিম দিকে পা রেখে চৌকির ওপর উবু হয়ে শুয়ে অখণ্ড মনোযোগের সাথে বই পড়তেন।

আমরা বাড়ি ছেড়ে ঢাকা চলে এলে দাদির মৃত্যুর পর ঘরটি প্রায় নির্জন হয়ে যায়। মাত্র দু’টি মানুষ। বড় চাচা আর বড় চাচী। কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়েছেন। কৃষিকাজ যখন করতেন ঘরে জন দুই বছর কামলা থাকত। আর আমরাও বাড়ি ছিলাম। তখনো মাঝে মধ্যে এমন চিন্তিত ও নিবিষ্ট মনে তাকে হুক্কা টানতে দেখেছি। ঢাকা থেকে বাড়ি বেড়াতে গেলেও তাকে এই অবস্থায় মাঝে মধ্যে দেখেছি। এমনই চিন্তা এবং ধ্যানমগ্ন অবস্থায় হুক্কা টানছেন। কাউকে কিছু বলতেন না। জানি না, তিনি কি ভাবতেন। কোনো দিকে দৃকপাত করতেন না। স্বাভাবিক অবস্থায়ও তাকে হুক্কা টানতে দেখেছি। সে অন্য রকম। আমাদের টানে তিনি প্রায়ই ঢাকা আসতেন। এর আগেও ব্রিটিশ আমলে ছোট চাচা আবু মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অনার্স মাস্টার্সের ছাত্র, তাকে দেখতে তিনি ঢাকা আসতেন।

আমরা যখন ছোট তখনই তার সব চুল পাকা। তিনি চুলে কলপ লাগাতেন। ছোট্ট বিশেষ ধরনের ব্রাশ। ব্রাশের সাদা পাতলা কাঠের তৈরি হ্যান্ডেল ভাঁজ করে রাখা যায়। শিশিতে কালো পাউডার। বাটিতে পানির সাথে কালো পাউডার গুলিয়ে নিজেই কলপ বানাতেন। দক্ষিণ কক্ষের পুবের দরজার সামনে আলোয় বসে বাম হাতে ছোট আয়না মুখের সামনে ধরে ডান হাতে ব্রাশ বাটির তরল কলপে চুবিয়ে চুবিয়ে মাথার চুলে ও মুখের দাড়িতে সযত্নে কলপ মাখতেন। এসব সরঞ্জাম তিনি কুমিল্লা থেকে সংগ্রহ করতেন। একবার গুজব রটেছিল, সন্তান লাভের জন্য তিনি আবার বিয়ে করবেন। গুজব গুজবই রয়ে গেল। তিনি তা করেননি। বাড়ির বৈঠকখানায় তিনি বিচার আচার করতেন।

সেকালে আমাদের গ্রামের দক্ষিণ দিকের একটি বাড়ির আবুল হোসেন নামে একলোক কুমিল্লা শহরে থাকতেন। মাঝে মধ্যে বাড়ি গেলে বড় চাচার সাথে দেখা করতে আমাদের বাড়ি যেতেন। আমরা তাকে ‘আবুল হোসেন চাচা’ বলতাম। পেশাগতভাবে তিনি সম্ভবত মুহুরি ছিলেন। বড় চাচার সমবয়সী। তার ছোট ভাই তফু সম্পন্ন কৃষক। তাদের বেশ কিছু হালের বলদ ছিল। বেশ পরিমাণ আবাদি জমিও ছিল। সেকালে গ্রামের ধনী কৃষক পরিবারগুলোর একটি তারা। আমাদের পরিচিত আর কেউ সেকালে কুমিল্লা থাকতেন বলে আমার জানা নেই। আবুল হোসেন সাহেবের ছেলেদেরও দেখেছি। আমার চেয়ে বয়সে বড়। কুমিল্লার রেসকোর্স এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকেন। নিজ গ্রামের নামে বাড়িটির নাম- রতনপুর হাউজ। ভিক্টোরিয়া কলেজের হিসাববিজ্ঞানের শিক্ষক তমিজুদ্দিন আমাকে সে ব্যাপারে বলেছেন। তাদের বাসায় আমাকে যেতে বলেছেন। যাওয়া হয়নি।

খাটের উপরে পশ্চিম পাশের রেলিং ঘেঁষে মাথার দিকে খান তিনেক স্টিলের ট্রাঙ্ক। প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র দলিলাদিসহ কাপড়চোপড় এগুলোর ভেতর। তিনি বাড়ির সবার বড়। বাড়ির জায়গা জমির দলিল ছাড়াও প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তার কাছেই থাকে। নিকট ও দূরের লোক তার কাছে টাকা-পয়সা আমানত রাখতেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তরকালে তিনি আমাকে একাধিকবার জিজ্ঞেস করেছেন, আওয়ামী লীগ ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মাফ করবে কী না। আমি কোনো প্রকার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও ইনটিউশন থেকে বলতাম, করবে।

আমাদের ইউনিয়নে কোনো তদন্ত কাজে থানার দারোগা এলে তারা প্রথমে বড় চাচার সাথে আমাদের বৈঠকখানায় আলাপ করতেন। বিলেতি বিস্কুট ও হরলিক্স বা ওভালটিন খেতেন। আমাদের গ্রামটি অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এই দুর্গম অঞ্চলে এসব খেয়ে এক পুলিশ ইন্সপেক্টর সবিস্ময়ে বলেছিলেন, এমন দুর্গম গ্রামে এ জাতীয় দ্রব্যাদি আছে তিনি জানতেন না। এমনটা হয়েছে জুরির মেম্বর হওয়ার সুবাদে নিয়মিত কুমিল্লা যেতেন বলে। তিনি কখনো ইউনিয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন না; তবে ইউনিয়ন বের্ডের মেম্বর ছিলেন।

লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ও ভাইস প্রিন্সিপাল, মহিলা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল