২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পতনের পথ ও বিজয়ের পথ

পতনের পথ ও বিজয়ের পথ - ফাইল ছবি

কিভাবে পতন শুরু হলো?
মুসলিমদের অধঃপতনের পথে যাত্রা বহু বছর আগে শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি। পতনমুখী এ জাতির উত্থান নিয়ে যারা চিন্তিত তাদের সামনে এখন একটিই প্রশ্ন, উত্থানের কাজ কোত্থেকে শুরু করতে হবে? এ নিয়ে নানা জনের নানা মত। তবে এ বিষয়ে নির্ভুল নির্দেশনা হতে পারে মহান আল্লাহ তায়ালার বাণী ও নবীজির সা: সুন্নত। সেটি বৈষয়িক উন্নতি দিয়ে নয় বরং হতে হবে অজ্ঞতার দূরীকরণ ও জ্ঞানের উন্নয়ন দিয়ে। আর সে জ্ঞান হলো কুরআনের জ্ঞান। পবিত্র কুরআন হলো ব্যক্তি ও জাতির উন্নয়নে নির্ভুল রোডম্যাপ। সে রোডম্যাপের যে স্থান থেকে মহান নবীজি সা: তারা যাত্রা শুরু করেছিলেন আমাদেরও জাতি গঠনের কাজ সেখান থেকেই শুরু করতে হবে। আর সে নির্দেশনা হলো ‘ইকরা’ তথা ‘পড়’। ‘ইকরা’ একটি প্রতীকী শব্দ। পড়া বা অধ্যয়ন যেহেতু জ্ঞানার্জনের চাবি, পবিত্র কুরআনের প্রথম শব্দরূপে এ শব্দটি তাই বুঝিয়েছে জ্ঞানার্জনের অপরিসীম গুরুত্ব। জ্ঞান দেয় মনের আলো। সে আলো দেয় নানা পথের ভিড়ে সত্য পথ চেনার সামর্থ্য। এ ভাবেই মানুষ পায় হেদায়াত। অন্ধকার যেমন রাতের পৃথিবীকে আচ্ছন্ন করে, অজ্ঞতাও তেমনি আচ্ছন্ন করে মনের ভুবন। ব্যক্তির জীবনে আনে সত্যপথ থেকে বিচ্যুতি।

অন্ধকার শুধু হিংস্র পশুদেরই শিকারের সুযোগ করে দেয় এমন নয়, মনুষ্যরূপী শয়তানদেরও সুযোগ করে দেয়। শিকারি পশুর মতো শয়তানও অন্ধকারের অপেক্ষায় থাকে। তারা ওঁৎ পেতে থাকে রাজনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও অর্থনীতির মতো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রজুড়ে। শয়তানের ফাঁদগুলো চিনে জীবন বাঁচানোর জন্য চাই যেমন জ্ঞান, তেমনি জ্ঞান চাই ন্যায়-অন্যায়, সত্য-অসত্যের পার্থক্য বুঝবার জন্যও। পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারায় তাই বলা হয়েছে, ‘আল্লাহু ওয়ালীউল্লাযীনা আমানু ইয়ুখরিজুহুম মিনায্যুলুমাতি ইলান্নুর।’ অর্থ : ‘আল্লাহ ঈমানদারের বন্ধু। তিনি তাকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোতে নিয়ে আসেন।’ যে আলোর কথা এখানে বলা হয়েছে সেটি সেই মনের আলো তথা জ্ঞান। এ জ্ঞান থেকেই মেলে হেদায়াত বা সত্য পথপ্রাপ্তি। মহান আল্লাহতায়ালার ওপর ঈমান আনার প্রতিদানে এটিই হলো বান্দাহর প্রতি মহান আল্লাহর সর্বোত্তম পুরস্কার। ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি বা চেহারা-সুরত নয়। অন্য দিকে অবিশ্বাসীদের বন্ধু হলো শয়তান। শয়তান তাদের আলো থেকে অন্ধকারে নিয়ে যায়। যে পথে সে জাহান্নামে নেয়। অজ্ঞতা তাই শয়তানের বড় হাতিয়ার। ফলে যেখানে জাহিলিয়াত বা অজ্ঞতা বেড়েছে সেখানেই বেড়েছে ইসলামবিরোধী শয়তানদের আধিপত্যও। এই অজ্ঞতার কারণেই মুসলিমরা বিশ্বজুড়ে পর্যুদস্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে শরিয়ত গুরুত্ব হারিয়েছে। বিজয়ী শক্তি হিসেবে দেখা দিয়েছে সেকুলার মতাদর্শ।

পবিত্র কুরআনের জ্ঞানে জ্ঞানবান হওয়া তাই মহান আল্লাহর নিয়ামত প্রাপ্তির বড় আলামত। সে নিয়ামতের কারণেই অন্যায়, অসত্য ও অসুন্দরকে মরুর নিরক্ষর মুসলিমরা আজ থেকে ১৪ শত বছর আগে শনাক্ত করতে পেরেছিলেন। ফলে শয়তানের বিছানো ফাঁদ থেকে নিজেদের বাঁচাতে পেরেছিলেন। সেটিই ছিল তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা। অথচ আজ সে সফলতা মুসলিম নামধারী পণ্ডিতজনদের জুটছে না। জুটছে না পাশ্চাত্যের এমনকি নোবেলজয়ী জ্ঞানীদেরও। ফলে মুসলিম নামধারী শিক্ষিতরা বাংলাদেশের মতো মুসলিম দেশকে দুর্নীতিতে যেমন শীর্ষে নিয়ে গেছে, তেমনি পাশ্চাত্যের শিক্ষিতরাও নানা ধরনের আদিম পাপাচারকেও সভ্য আচাররূপে প্রতিষ্ঠা করেছে। এই মুহূর্তে তাই কুরআনের জ্ঞানার্জন অতীব জরুরি।

ইবাদতের দায়িত্ব ব্যক্তির নিজস্ব, কাউকে দিয়ে এ দায়িত্ব পালন হওয়ার নয়। তাই ইসলামের খলিফাকেও সাধারণ একজন মুসলমানের মতো নামাজ, রোজা ও অন্য ইবাদত করতে হয়েছে। আর অজ্ঞতা নিয়ে ইবাদত হয় না, ইবাদতের সামর্থ্য অর্জনে জ্ঞানার্জন তাই অপরিহার্য। জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে ইসলাম মানুষের মনের অন্ধকার দূর করতে চায়। তাই জ্ঞানার্জন ইসলামে নিজেই কোনো লক্ষ্য নয়, বরং এটি লক্ষ্যে পৌঁছবার মাধ্যম মাত্র। আর লক্ষ্যটি হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। এটিই একজন মুসলিমের জীবন লক্ষ্য। গাড়িচালক যেমন আগে পথের নিশানা জেনে নেয় তেমনি আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্যে পৌঁছবার যাত্রাপথে একজন মুসলিমকেও সঠিক রোডম্যাপ জানতে হয়। সে রোডম্যাপ যথাযথভাবে বুঝে নেয়াই একজন মুসলিমের জ্ঞানার্জনের মূল উদ্দেশ্য।

জ্ঞানের ইসলামী সংজ্ঞা
ইসলামে জ্ঞানের নিজস্ব সংজ্ঞা রয়েছে। ইসলামে জ্ঞানের মোদ্দা কথা হলো সত্য ও মিথ্যাকে চিনে নেয়া এবং অন্তরে খোদাভীরুতা (তাক্বওয়া) সৃষ্টি করা। অনেক পশুপাখি বা জীবজন্তুরও এমন কিছু দক্ষতা থাকে যা মানুষের নেই। কুকুর যেভাবে লুকানো মাদকদ্রব্য বা অপরাধীকে শনাক্ত করে তা মানুষ বা মানুষের তৈরি আধুনিক যন্ত্রের নেই। কিন্তু এর জন্য কুকুরকে জ্ঞানী বলা হয় না। আল্লাহ তায়ালা কুরআন মজিদে বলেছেন, একমাত্র জ্ঞানীরাই আমাকে ভয় করে। এ থেকে বুঝা যায় আল্লাহ পাক জ্ঞান বলতে কি বুঝাতে চান। যার মধ্যে খোদাভীতি নেই তার মধ্যে ইলমও নেই। ইসলামের দৃষ্টিতে জ্ঞানী তিনিই, যার রয়েছে বিশ্বচরাচরে ছড়ানো ছিটানো আল্লাহর নিদর্শন থেকে শিক্ষা নেয়ার সামর্থ্য। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘জ্ঞানী আর অজ্ঞ ব্যক্তি কখনই এক নয়।’ (সূরা যুমার, আয়াত ৯) অন্যত্র বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা যে ব্যক্তির কল্যাণ চান তার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দেন।’- (সূরা মুযাদিলা, আয়াত ১১) অর্থাৎ মানুষের জন্য জ্ঞানের চেয়ে কল্যাণকর কিছু নেই। জ্ঞানার্জন এতই গুরুত্বপূর্ণ যে মহান আল্লাহ তায়ালা তার অনুগত বান্দাদের দোয়ার ভাষাও শিখিয়ে দিয়েছেন। যেমন : ‘হে রব, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও।’ (সূরা ত্বা হা, আয়াত ১১৪)

নবী করিম সা: এই জন্যই বলেছেন, আফসোস সে ব্যক্তির জন্য যার জীবনে একটি দিন অতিবাহিত হলো অথচ তার ইলমে বৃদ্ধি ঘটল না। বলেছেন, ‘উতলুবুল ইলম মিনাল মাহদে ইলাল লাহাদ।’ অর্থ : কবর থেকে দোলনা পর্যন্ত জ্ঞান লাভ করো। অর্থাৎ জ্ঞানার্জন শিশুর জন্য যেরূপ জরুরি তেমন জরুরি বৃদ্ধের জন্যও। হজরত আলী রা: বলেছেন, ‘সম্পদ মানুষকে পাহারাদার বানায় কিন্তু জ্ঞান মানুষকে পাহারা দেয়।’ ফলে বিচ্যুতি, বিপদ তথা জাহান্নামের রাস্তা থেকে বেঁচে থাকার জন্য জ্ঞানহীনদের কোনো পাহারাদার থাকে না। ফলে বিভ্রান্তি বিচ্যুতি তাদের নিত্যসহচর হয়। হজরত আলী রা: আরো বলেছেন, সম্পদ চুরি হয়, কিন্তু জ্ঞান চুরি হয় না। এটি বিতরণ করলে কমে না, বরং বাড়ে। ইসলামই একমাত্র ধর্ম যা এভাবে আজ থেকে ১৪ শত বছর আগে বিদ্যাশিক্ষাকে সার্বজনীন ও ধর্মীয়ভাবে বাধ্যতামূলক করেছিল। ফলে মাত্র কয়েক শতাব্দীতে তারা জ্ঞানবিজ্ঞানে অভূতপূর্ব বিপ্লব আনে।

বিজয়ের একমাত্র পথ
ইসলামের গৌরবকালে মুসলিমদের বিস্ময়কর সফলতার মূল কারণ তার কুরআনী জ্ঞান। মানুষের সামর্থ্য অতি সামান্য। যতবড় জ্ঞানী বা বিজ্ঞানীই হোক না কেন সে নিজেই জানে না আগামীকাল বাঁচবে কি বাঁচবে না। তার দৃষ্টি কাগজের দেয়ালও ভেদ করতে পারে না। অন্য দিকে কুরআন এসেছে সেই মহাজ্ঞানী আল্লাহতায়ালার কাছ থেকে যার কাছে আসমান জমিনের কোনো কিছুই অজানা নয়। সেই মহাজ্ঞানী মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের বোধশক্তির উপযোগী করে পাঠিয়েছেন পবিত্র আল কুরআন। এটি মানুষের সামর্থ্য বাড়াতে পারে বিস্ময়কর ভাবে।

আল্লাহ তায়ালার জ্ঞান ভুলে গিয়ে মানুষ যখনই কিছু করতে চেষ্টা করেছে তখন শুধু ব্যর্থতাই বাড়িয়েছে। কারণ তারা ন্যায়-অন্যায়, শ্লীল-অশ্লীলের তারতম্যও নির্ণয় করতে পারেনি। এরূপ অজ্ঞতার প্রমাণ মানবসৃষ্ট নানা মতবাদের মধ্যেও। কম্যুনিজম, জাতীয়তাবাদ, পুঁজিবাদ ও ফ্যাসিবাদের মতো ভ্রান্ত মতবাদের পিছে প্রাণনাশ হয়েছে কোটি কোটি মানুষের। মানবজাতির এ এক করুণ ব্যর্থতা।

ফলে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে বিপদমুক্তি ঘটেনি মানুষের। বরং এককালে যে হিংস্রতা নিয়ে বনের হিংস্র পশুগুলো হামলা করত তার চেয়েও অধিক হিংস্রতা নিয়ে হামলা করছে মনুষ্যরূপী পশুরা। ফিলিস্তিন, বসনিয়া, চেচনিয়া, কসোভো, কাশ্মির, আফগানিস্তান এবং ইরাকে মানুষরূপী যে দানবেরা হিংস্রতা দেখাচ্ছে বা দেখিয়েছে তা কি পশুর চেয়ে কম? আর এ ব্যর্থতার মূল কারণ, শান্তির লক্ষ্যে মানুষের মগজের উপযোগী যে সফটওয়ার অর্থাৎ আল কুরআন আল্লাহ তায়ালা দিয়েছিলেন মানুষ সেটিকে কাজে লাগায়নি। ফলে বেড়েছে অশান্তি।

বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে শিক্ষার নামে যা হয়েছে তাতে কুশিক্ষাই বেড়েছে। ফলে দেশে স্কুল বাড়ছে, বাড়ছে কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ও, কিন্তু আলোকিত মানুষ বাড়ছে না। অথচ ইসলাম জ্ঞানার্জনকে পরিপূর্ণ মানুষ তৈরির হাতিয়ার বানাতে চায়। ইসলামী পরিভাষায় এরূপ পরিপূর্ণ মানুষই হলো ইনসানে কামেল। তাই ইনসানে কামেলের অর্থ খানকার দরবেশ যেমন নন, তেমনি পীর সাহেবও নন।

ফিরতে হবে কুরআনের প্রেসক্রিপশনে
একজন বিজ্ঞানীর জ্ঞান একটি বিশেষ বিষয়ে বিস্ময়কর হলেও ধর্ম বিষয়ে তার অজ্ঞতা হাজার বছর আগের আদিম মানুষের চেয়ে কম নয়। অপর দিকে মাদরাসার ছাত্র বেড়ে উঠছে বিজ্ঞানের বহু মৌল বিষয়েও সীমাহীন অজ্ঞতা নিয়ে। জ্ঞানার্জনের এ পদ্ধতি মানুষকে অপূর্ণাঙ্গ করে গড়ে তুলছে। আজকের আলেমদের মতো পূর্বকালে আলেমগণ এতটা অপূর্ণাঙ্গ ছিলেন না। তারা যেমন শ্রেষ্ঠ আলেম ছিলেন, তেমনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা, জেনারেল এবং রাজনীতিবিদ। তাদের জীবনে সমন্বয় ঘটেছিল বহুমুখী জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার। মসজিদের নামাজে যেমন আওয়াল-ওয়াক্তে হাজির হতেন, যুদ্ধের ময়দানেও তেমনি ফ্রন্ট লাইনে থাকতেন। অথচ আজকের আলেমদের ক’জন শত্রুর বিরুদ্ধে একটি ঢিল ছুড়েছেন? বুদ্ধিবৃত্তির ময়দানে ইসলামকে বিজয়ী করতে ক’জন ভূমিকা রেখেছেন? তাদের এ ব্যর্থতার কারণ ইলমের ক্ষেত্রে অপূর্ণাঙ্গতা। তাদের ইলম তাদের জীবনে ইঞ্জিনের কাজ করেনি। মুসলিম বিজ্ঞানীরা সেকালে গ্রিক ভাষা শিখেছিলেন। এরিস্টোটল, প্লেটোসহ বহু গ্রিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিকের গ্রন্থ তারা অনুবাদ করেছিলেন। অনেকে ভারতের ভাষা শিখে হিন্দু বিজ্ঞানীদের বহু বইপুস্তক তরজমা করেছিলেন। অথচ আজ তেমনটি হচ্ছে না। কারণ যে জ্ঞান জাতিকে সামনে টেনে নেয় সেটির চর্চাই লোপ পেয়েছে। ক’জন আলেম আজ জ্ঞানার্জনে সচেষ্ট?

জ্ঞানার্জনের একটি মাত্র মাধ্যম হলো পড়ে শেখা। এ ছাড়া আরো মাধ্যম রয়েছে। যেমন দেখে শেখা, শুনে শেখা, তেমনি নিজ হাতে কাজ করতে করতে শেখা। তবে জ্ঞানার্জনের অতি কার্যকর মাধ্যম হলো ছাত্রদের ভাবতে বা চিন্তায় অভ্যস্ত করা। মুসলিম দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের চিন্তার সামর্থ্য বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেনি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজই হলো ছাত্রের মনে জ্ঞানের নেশা ধরিয়ে দেয়া যা তাকে আজীবন জ্ঞানপিপাসু করবে। এই ব্যর্থতার কারণে বাড়েনি জ্ঞানের প্রতি সত্যিকার আগ্রহ। এমন জ্ঞানবিমুখীতাই জাতির পতন ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট নয় কি? ধর্মবিবর্জিত যে শিক্ষার কারণে পাশ্চাত্য-সমাজ আজ বিপর্যয়ের মুখে, সজ্ঞানে ও স্বেচ্ছায় আমরা সে দিকেই ধাবিত হচ্ছি। ফলে বিপর্যয় আমাদেরও ধাওয়া করছে। ফলে বাড়ছে পতনের পথে গতি। ধ্বংসমুখী এ মুসলিম উম্মাহর উত্থানে আমাদের সামনে এখন একটিই পথ। আর সেটি হলো- ফিরে যেতে হবে ১৪ শত বছর আগের সেই প্রেসক্রিপশনে। এটা জরুরি শুধু মুসলমান হয়ে বেঁচে থাকার জন্য নয়, ধ্বংসমুখী পতন-যাত্রা থেকে বাঁচতেও। বিজয়ের একমাত্র পথ হলো এটি।


আরো সংবাদ



premium cement