১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলার হয়ে ওঠা

বাংলার হয়ে ওঠা - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাভূমির প্রাচীন অধিবাসীরা ছিল অস্ট্রিক। তারা কথা বলত অস্ট্রিক ভাষায়। প্র্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা দাবি করে, এখানে প্র্রাপ্ত পুরনো নরকঙ্কালের প্রাচীনত্ব খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ শতক। অর্থাৎ এখানে মানুষের বসবাস ছিল হরপ্পা সভ্যতার সমকালে। যদিও কেউ কেউ হরপ্পা সভ্যতার কালকে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৫০০ শতক বলে দাবি করেছেন। এখানে মনুষ্য সমাজ খ্রিষ্টপূর্ব সাড়ে চার হাজার বছর আগেও ছিল, এমন দাবিও উচ্চারিত হয়েছে জোরেশোরে! কত জাতি এখানে বসতি গড়েছে। নেগ্রিটো, অস্ট্রিক, নিষাদ, দ্রাবিড়, মঙ্গোলীয়...

অস্ট্রিক জাতি থেকে গড়ে ওঠে বাঙালির মূল অংশ। কেউ কেউ যাদেরকে নিষাদ বলে আখ্যা দেন। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে ইন্দো-চীন থেকে আসাম হয়ে অস্ট্রিকরা আসে বাংলায়। এর আগে ছিল নেগ্রিটোরা। দক্ষিণ ভারতের আদি অধিবাসী দ্রাবিড়রা কাছাকাছি সময়ে এখানে প্রবেশ করে। দ্রাবিড়দের গায়ের রঙ কালো, গড় উচ্চতা মাঝারি। নিগ্রোদের মতো এদের ঠোঁট মোটা নয়। মাথা গোলাকার, চুল ঢেউ খেলানো বা মোটামুটি সপাট। তবে মঙ্গোলীয়দের মতো সটান নয়। নাকের উচ্চতা মাঝারি। চোখ বড়, চোখের মণি কালো বা ঘোলাটে কালো হয়। তারা এখানকার স্থানীয়দের সাথে মিশে যায়। ফলে তারা আর বিশুদ্ধ দ্রাবিড় থাকেনি। ক্রমে ক্রমে তারা সভ্যতা-সংস্কৃতি দিয়ে গ্রাস করে নেয় অস্ট্রিকদের। তাদের হাতে এখানে তৈরি হয় বিবিধ রাজ্য ও জনপদ।

প্রাচীন বাংলা বিভক্ত ছিল নানা রাজ্যে, বিভিন্ন পরিচয়ে। বঙ্গ, রাঢ়, পুণ্ড্র, হরিকেল, বরেন্দ্র, সমতট ইত্যাদি জনগোষ্ঠী এখানে বসবাস করত। তারা যেসব এলাকায় থাকত, সেসব এলাকা পরিচিত হয় তাদের নামে। এভাবে প্রায় ১৬টি অঞ্চলে বিভক্ত ছিল এই বাংলা।

পুণ্ড্র জনগোষ্ঠীকে ঘিরে জনপদ গড়ে ওঠে উত্তরবঙ্গের বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী ও দিনাজপুর অঞ্চলে। পুণ্ড্র রাজ্যের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রনগর। এর অবস্থান ছিল বগুড়ার মহাস্থানগড়ে, ১৭৮৯ সালে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে সেটি প্রমাণ করেছেন আলেকজান্ডার কানিংহাম (১৮১৪-১৮৯৩)। ২০১৬ সালে একে সার্ক-এর সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

রাঢ় জনগোষ্ঠী বসবাস করত ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীরে। গঙ্গার দক্ষিণ ও পশ্চিম অংশে ছিল তাদের রাজ্য। এ রাজ্য বিভক্ত ছিল দুই ভাগে- উত্তর ও প্রশ্চিম। নদী ছিল দুই রাঢ়ের সীমারেখা। সম্ভবত বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি বড় অংশ এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর মধ্যে ছিল পশ্চিবঙ্গের আধুনিক হাওড়া, হুগলি ও বর্ধমান জেলার বড় এলাকা। ভট্টভব দেবের ভুবনেশ্বর লিপিতে উল্লেখ আছে, রাঢ় ছিল একটি জলশূন্য শুষ্ক ও জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল। প্রাচীন জৈন গ্রন্থ দিপ্রবংশ ও মহাবংশে একে বলা হয়েছে লাঢ়।

খ্রিষ্টপূর্ব ছয় শতকে জৈন ধর্মপ্রবর্তক মহাবীর এসেছিলেন লাঢ় দেশে, যেখানে ছিল না পথ, এলাকা ছিল দুর্গম, জনজীবনে ছিল নৈরাজ্য। এখানকার অধিবাসীরা মহাবীরের সাথে করেছিল অশোভন আচরণ। এর বিবরণ রয়েছে জৈন ধর্মীয়গ্রন্থ আচারঙ্গসূত্রে।

হরিকেল প্রাচীন পূর্ববঙ্গের এক জনপ্রদ। খ্রিষ্টীয় নবম শতকের রাজা কান্তিদেব ছিলেন হরিকেলের রাজা। তার একটি অসম্পূর্ণ তাম্রলিপি পাওয়া গেছে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ অঞ্চলের পুরনো এক মন্দিরে। যাতে লেখা আছে, কান্তিদেব ছিলেন হরিকেলের শাসক। হরিকেল সম্পর্কে এ হচ্ছে সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য দলিল।

হরিকেলের অবস্থান নিয়ে রয়েছে নানারকম মন্তব্য। চীনা পর্যটক ইতসিংয়ের বিবরণ থেকে জানা যায়, হরিকেল ছিল পূর্বভারতের পূর্ব সীমান্তে। বারো শতকের অভিধান রচয়িতা হেমচন্দ্র তার অভিধান চিন্তামণিতে হরিকেলকে বঙ্গের সমার্থকরূপে বর্ণনা করেন। কিন্তু মঞ্জুশ্রী মূলকল্পে এ বক্তব্যকে অস্বীকার করা হয়েছে। এতে হরিকেল, বঙ্গ এবং সমতটকে স্বতন্ত্র সত্তারূপে দেখানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষিত দু’টি প্রাচীন পাণ্ডুলিপিতে হরিকেলকে উল্লেখ করা হয়েছে সিলেটের সাথে একার্থক বলে। বস্তুত সিলেট থেকে চট্টগ্রামের অংশ বিশেষ অবধি হরিকেল জনপদ বিস্তৃত ছিল। যদিও মধ্যখানে সমতট রাজ্যের অবস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় বঙ্গ অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠে সমতট। গুপ্তবংশের রাজা সমুদ্রগুপ্তের বিজয় কাহিনীতে রয়েছে সমতটের উল্লেখ। এলাহাবাদ প্রশস্তিতে সমতটকে উল্লেখ করা হয়েছে পূর্ব সীমান্তের প্রত্যন্ত রাষ্ট্র হিসেবে। চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং সমতট ভ্রমণ করেন এবং একটি বিশ্বস্ত বিবরণ রেখে যান। সাত শতকের দ্বিতীয়ার্ধে চৈনিক শ্রমণ শেং চি এ অঞ্চল পরিভ্রমণ করেন। তখন রাজভট্ট ছিলেন সমতটের শাসক। এ ছিল প্রাচীন বঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-পূর্বের এক অংশ। সপ্তম শতকে কুমিল্লা জেলার বড় কামতা ছিল এ রাজ্যের কেন্দ্রস্থল। রাজ্যটি মূলত গঠিত হয় কুমিল্লা ও নোয়াখালী নিয়ে। ত্রিপুরা এ রাজ্যের অংশ ছিল সাত থেকে বারো শতক অবধি।

বরেন্দ্র ছিল প্রাচীন বাংলার অন্যতম এক জনপদ। এ ছিল পুণ্ড্র রাজ্যের অংশবিশেষ। বগুড়া, দিনাজপুর ও রাজশাহী জেলার অনেকটা অঞ্চল এবং সম্ভবত পাবনা জেলাজুড়ে বরেন্দ্র অঞ্চল বিস্তৃত ছিল। এখনো রাজশাহীর বিশেষ অঞ্চল, বিশেষত নবাবগঞ্জ বরেন্দ্র নামে পরিচিত। পাল আমলে বরেন্দ্র উপনীত হয় গৌরবের চূড়ায়। সন্ধ্যাকর নন্দীর ‘রামচরিত-কাব্য’-এ গঙ্গা ও করতোয়া নদীর মধ্যভাগকে বরেন্দ্র নামে অভিহিত করা হয়েছে।

গৌড় ছিল বাংলা জনপদের অতিপ্রাচীন এক অঞ্চল। পাণিনির গ্রন্থে সর্বপ্রথম এর উল্লেখ পাওয়া যায়। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে রয়েছে এর উল্লেখ। তৃতীয় ও চতুর্থ শতকে রচিত বাৎসায়নের গ্রন্থে রয়েছে গৌড়ের নাগরিকদের বিলাসিতার বিবরণ। পুরাণে গৌড়কে দেখানো হয়েছে পূর্বদেশের জনপদ হিসেবে। বস্তুত মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্র করে গৌড় জনপদটি পশ্চিম ভাগীরথীর নিকটে গড়ে উঠেছিল। সাত শতকের আদিপর্বে গৌড়ের প্রথম স্বাধীন সম্রাট শশাঙ্কের রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে গৌড়ের রাজনৈতিক সীমা অর্থাৎ দক্ষিণে উপকূলীয় উড়িষ্যা ও উত্তরে পুণ্ড্রবর্ধন পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছিল।

সপ্তম শতকে রাজা শশাংকের অধীনে গৌড় রাজ্য বিস্তৃত হয় বিহার-উড়িষ্যা অবধি। মুর্শিদাবাদের নিকটবর্তী কর্ণসুবর্ণ তখন গৌড়ের রাজধানী। খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতকের কুশান রাজা বাসুদেবের একটি স্বর্ণমুদ্রা থেকে জানা যায়, গৌড় ছিল একটি বাণিজ্য কেন্দ্র। অনেকের মতে, গৌড় নগরীর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আদিসুর বল্লাল সেন।
পশ্চিম বঙ্গের মালদহে গৌড়নগর ও পাণ্ডুনগর ছিল গৌড় রাজ্যের রাজধানী। পাল রাজাদের আমলে, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতকে বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়। গৌড়ের অপর নাম ছিল লক্ষণাবতী। বখতিয়ার খিলজি গৌড় জয় করেন ১২০৫ সালে। লক্ষণাবতীর নাম দেয়া হয় লাখনৌতি। তিনি একেই করে রাখেন বাংলার রাজধানী।

বাংলাদেশের পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে গড়ে ওঠে বঙ্গ জনপদ, যার অন্তর্ভুক্ত ছিল বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর ঢাকা, ফরিদপুর, যশোহর, বরিশালসহ দক্ষিণবঙ্গ। জেমস হাইট্্ম্যান ও রবার্ট এলের মতে, বঙ্গ শব্দটি বং অথবা বাং নামক একটি দ্রাবিড়ীয় ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী থেকে জন্ম নিয়েছে। বং জাতিগোষ্ঠী ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বের দিকে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিল। বৌধায়ন ধর্মসূত্রে একটি জনগোষ্ঠী হিসেবে বঙ্গ নামের উল্লেখ রয়েছে, যারা আর্য ছিল না। এদের অবস্থান ছিল আর্যসভ্যতার বাইরে। পুরাণে এদের উল্লেখ রয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সাথে। রামায়নে রয়েছে অযোধ্যার সাথে বঙ্গের মৈত্রীবন্ধনের বিবরণ। মহাভারতের যুগে বঙ্গ ছিল একটি শক্তিশালী ও ক্রমবর্ধমান রাজ্য। এর রাজা ও সেনারা ছিলেন প্রবল সাহসী। অংশগ্রহণ করেছিলেন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে। বহুকাল ধরে এ রাজ্য স্বাধীনতা ধরে রেখেছিল। বঙ্গ ছিল এক পরাক্রমশীল জাতি, তাদের শক্তিশালী নৌবাহিনী ও হস্তিবাহিনী ছিল। আলেকজান্ডারের সৈন্যরা এই দেশের সামরিক শক্তির কথা শুনে গঙ্গা পেরিয়ে পূর্ব দিকে বঙ্গদেশ আক্রমণ করতে অস্বীকার করে। বঙ্গের নৌবাহিনীর খ্যাতির জন্যই পূর্বসাগরের নাম হয় বঙ্গোপসাগর। ১৮০০ শতাব্দীর তাঞ্জোর শিলালিপিতে ‘বঙ্গলম্’ শব্দের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেন, ‘বঙ্গ’ নামটির উৎপত্তি সাঁওতাল দেবতা ‘বঙ্গা’ থেকে।

ঐতিহাসিক আবুল ফজল আল্লামি (১৫৫১-১৬০২) তার বিখ্যাত ‘আইন-ই আকবরি’ এ দেখান, কিভাবে জন্ম নিয়েছে এই নাম। তিনি এ নামকরণের কারণ খুঁজেছেন নদীমাতৃক বাংলার ভূপ্রাকৃতিক বাস্তবতায়। জানিয়েছেন, ‘প্রাচীনকালে এদেশের রাজারা ১০ গজ উঁচু ও বিশ গজ চওড়া বিশাল আল বা বাঁধ তৈরি করতেন। বঙ্গ এর সাথে আল যুক্ত হয়ে নাম দাঁড়িয়েছে বাঙ্গাল বা বাংগালা।

ঐতিহাসিক মিনহাজ উস সিরাজ তার ‘তবাকৎ-ই-নাসিরি’তে বাংলাজনপদ বুঝাতে লিখেছেন ‘দিয়েরে বংগ’। বঙ্গের লোকরা উচ্চারণ করত বাঙ্গালা; সেখান থেকে পর্তুগিজরা উচ্চারণ করল ‘বেঙ্গালা’। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, নীহাররঞ্জন রায়সহ অনেকে ‘বাঙ্গালা’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। ইংরেজরা সুবা বাঙ্গালাহ্ জয় করে ‘বাঙ্গালা’রই ব্যবহার করে সরকারি নথিপত্রে। উত্তর প্রদেশের লোকেরা উচ্চারণ করে বঙ্গাল। সেখান থেকে ইংরেজ সরকার বেঙ্গল কথাটি নেয়। এখনো হিন্দিতে ভারত সরকার বঙ্গাল শব্দটি ব্যবহার করে।

ব্রতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গ-বাঙ্গালা ও ভারত’ গ্রন্থে দেখা যাচ্ছে, মা হুয়ান নামে একজন চীনা লেখক তার ‘ইয়িং-য়াই-শেন-লান’ গ্রন্থে বঙ্গদেশে আসার কথা বলছেন। খ্রিষ্টীয় চতুর্দশ শতকের মাঝামাঝি (১৩৫২ খ্রিষ্টাব্দে) ‘পঞ্চগৌড়’ নামে একক দেশ হিসেবে মুসলিম শাসকেরা ‘বাঙলা’ নামটির প্রচলন ঘটান।’ ভাষাতাত্ত্বিক ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতো ছিল, ফার্সি ভাষাভাষী মুসলিমরা এই অঞ্চলের ভাষাকে ‘বঙ্গালহ্’ নামে অভিহিত করেছিলেন। সেখান থেকে এসেছে বাংলা।

এই যে নানা দেশে, নানা অংশে বিভক্ত বাংলা, শতাব্দীর পর শতাব্দী এসব রাষ্ট্র নিজ নিজ বিচ্ছিন্ন পরিচয় নিয়ে বিদ্যমান থেকেছে। বাঙালির তখন একক কোনো রাষ্ট্র ছিল না। নিজস্ব মানচিত্র ছিল না। স্বকীয় পতাকা ছিল না। একক সত্তানুভূতি ছিল না। সেটি প্রথমবার নিশ্চিত করল মুসলিম শাসন। সুভাষ মুখোপাধ্যায়-এর ভাষায় ‘গৌড় নামে বাংলার সমস্ত জনপদকে ঐক্যবদ্ধ করার যে চেষ্টা শশাঙ্ক, পাল ও সেন রাজারা করেছিলেন, তাতে কাজ হলো না। যে বঙ্গ ছিল আর্য সভ্যতা ও সংস্কৃতির দিক থেকে ঘৃণিত ও অবজ্ঞাত, যা ছিল পাল ও সেনদের আমলে কম গৌরবের ও আদরের- সেই বঙ্গ নামে শেষ পর্যন্ত তথাকথিত পাঠান আমলে বাংলার সমস্ত জনপদ ঐক্যবদ্ধ হলো। আকবরের আমলে গোটা বাংলাদেশ সুবা বাংলা বলে পরিচিত হলো। ইংরেজের আমলে বাংলা তার পূর্ণতর পরিচয় ও প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।’

লেখক : কবি, গবেষক


আরো সংবাদ



premium cement