১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিক্ষা ও মানবসম্পদ : বাংলাদেশ ও বিশ্ব প্রেক্ষিত

শিক্ষা ও মানবসম্পদ : বাংলাদেশ ও বিশ্ব প্রেক্ষিত - ছবি : প্রতীকী

বর্তমান বিশ্বে যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত। শিক্ষা বলতে আমরা বুঝি, কোনো বিষয় জানা এবং বোঝা। আসলে মানুষ জন্মের পর থেকেই চার পাশের পরিবেশ থেকে নানান কিছু শিখতে থাকে। এ জন্যই কবি বলেছেন, ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র’। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেই আমরা শিক্ষা হিসেবে বুঝি। শিক্ষাই মানুষকে তার মনুষ্যত্ব অর্জনে সাহায্যে করে। তাই বলা হয় শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা মানুষকে জ্ঞান দিয়ে পারস্পরিক সম্প্রীতি বাড়ায়, কুসংস্কার দূর করে সমাজকে আলোকিত করে। আধুনা শিক্ষাকে দুটো শ্রেণীতে ভাগ করা হচ্ছে, সাধারণ শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক বা কারিগরি শিক্ষা। বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষার অগ্রযাত্রার ফলেই পৃথিবী দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে চলছে। তাই কর্মমুখী শিক্ষা উন্নতি ও উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।

আমাদের শিক্ষার উপযোগিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি বিআইডিএসের এক জরিপে দেখা গেছে, উচ্চশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর এক-তৃতীয়াংশ বেকার থাকছে। কোনো কাজ পাচ্ছে না। অর্থাৎ, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তি তৈরি করতে পারছে না। এ অবস্থায় মানবসম্পদের কাক্সিক্ষত উন্নয়ন আশা করা যায় না। সে ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়ন কৌশল বদলাতে হবে। যেই উন্নয়ন ধনীকে আরো ধনী করে এবং গরিবের অবস্থান আরো দুর্বল করে, সেই উন্নয়ন প্রত্যাশিত নয়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের গৃহীত সব সরকারি কর্মসূচির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে দরিদ্র মানুষের হক নিয়ে কেউ নয়-ছয় করতে না পারে। একই সাথে শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজাতে হবে, যাতে প্রত্যেক শিক্ষিত মানুষ কাজ পায়। উন্নয়নের রোল মডেলের দাবিদার দেশে এক-তৃতীয়াংশ বেকারের শিক্ষা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।

আধুনিক বিশ্বে শিক্ষা মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত বিষয়। এটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের একটি পরিকল্পিত প্রক্রিয়া। যদিও শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ভর করে সমাজের বহুমাত্রিক ভাবাদর্শের ওপর। শিক্ষার উদ্দেশ্য কেবল অর্থ উপার্জন নাকি ব্যক্তির চরিত্রের বিকাশ, তা এখনও অনেকের বিতর্কের বিষয়। এটাই স্বাভাবিক, সমাজে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও মতাদর্শের মানুষ থাকার কারণে শিক্ষার অর্থ এবং সংজ্ঞায় থাকবে নানা বৈচিত্র্য। চলমান এই বিতর্কের সহজে অবসান না হলেও, এটা নানাভাবে প্রমাণিত যে, শিক্ষা এবং উন্নয়নের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য ও অঙ্গাঙ্গি। পৃথিবীর যেসব দেশকে আমরা সভ্য, গণতান্ত্রিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ উদাহরণ হিসেবে গণ্য করি, সেসব দেশ আজকের মতো এমন উন্নত ছিল না; তাদেরও নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে আজকের এই পর্যায়ে আসতে হয়েছে। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রধানত যে বিষয়গুলোর প্রয়োজন হয় সেগুলো হচ্ছে: ১. মানবসম্পদ ২. প্রাকৃতিক সম্পদ ৩. শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।

আধুনিক অর্থনীতির উন্নয়নের এই ধারণা ও তত্ত্বকে প্রয়োগ করে বিভিন্ন দেশ বিভিন্নভাবে উন্নত হয়েছে। এই তত্ত্বের ভিত্তিতে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করতে পারি। প্রথমত, মানবসম্পদের এই তত্ত্বকে ব্যবহার করে যেসব রাষ্ট্র উন্নত হয়েছে তার মধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, হংকং, সিঙ্গাপুর, চীন, মালয়েশিয়া শ্রেণীভুক্ত। এক সময় এসব দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ছিল সীমিত। দ্বিতীয়ত, প্রাকৃতিক সম্পদের এই তত্ত্বকে ব্যবহার করে যেসব রাষ্ট্র উন্নত হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে সৌদি আরব, ইরান, কাতার, লিবিয়াসহ তেল সমৃদ্ধ দেশগুলো। এদের জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ ছিল সীমিত। তৃতীয়ত, জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ও প্রাকৃতিক সম্পদ এই তত্ত্বকে ব্যবহার করে যেসব রাষ্ট্র উন্নত হয়েছে তাদের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি; এদের মানবসম্পদ ছিল খুব সীমিত। উন্নয়ন মডেলের এই তিনটি ধারার প্রথমটি বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য; কারণ আমাদের আছে মানবসম্পদের প্রাচুর্য আর তাকে ব্যবহার করেই আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে অগ্রসর হতে হবে। আর মানবসম্পদ ব্যবহারের সাথে সম্পর্ক উপযুক্ত শিক্ষার; যে শিক্ষার সাথে দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোর একটি পরিকল্পিত সংযোগ থাকবে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ খুবই সীমিত। সুতরাং বাংলাদেশের উন্নয়ন নির্ভর করছে মূলত দক্ষ জনশক্তির ওপর। বিশ্বব্যাংক (২০০০), ইউএনডিপি (২০০০), ইউনেস্কো (১৯৯৯) সালে তাদের সবার রিপোর্টই বলেছে, মানবসম্পদের উন্নয়ন ও ব্যবহার ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়নের আর কোনো পথ খোলা নেই। সব রিপোর্টেই বলা হয়েছে, দেশের এই অধিক জনগোষ্ঠীকে অতি জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষার মাধ্যমে বিশাল শ্রমবাজারের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার কথা।

মানবসম্পদ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আবশ্যকীয় মৌলিক উপাদান। অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই (Sustainable) ও দীর্ঘমেয়াদি করার জন্য মানবসম্পদের ভূমিকা অপরিহার্য। প্রচুর অর্থসম্পদ ও ভৌতসম্পদ থাকা সত্ত্বেও যদি মানবসম্পদের দুষ্প্রাপ্যতা থাকে তাহলে উন্নয়নের প্রক্রিয়া ও গতি স্তিমিত হয়ে পড়ে। আর মানবসম্পদ উন্নয়নের মুখ্য উপকরণ হলো শিক্ষা এবং শিক্ষার ভিত্তি হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা তথা শিক্ষাবিষয়ে দার্শনিক প্লেটো বলেন, শিক্ষা শিক্ষার্থীর দেহ ও মনে সকল সুন্দর ও অন্তর্নিহিত শক্তিকে বিকশিত করে তোলে। দার্শনিক রাসেলের মতে, শিক্ষা হচ্ছে শিশুর স্বতঃস্ফূর্ত আত্মবিকাশ। আমেরিকান দার্শনিক ওড, শিক্ষাবিদ জন ডিউই বলেছেন, শিক্ষা বলতে ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশকে বুঝায়। মহাত্মা গান্ধীর মতে শিক্ষা হচ্ছে শিশুর দেহ, মন ও আত্মার শ্রেষ্ঠ গুণাবলির পরিপূর্ণ বিকাশ। সুতরাং প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন ছাড়া মানবসম্পদ উন্নয়ন তথা একটি দেশের উন্নয়ন কোনোমতেই সম্ভব নয়। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ তাদের নিজ নিজ দৃষ্টিকোণ থেকে মানবসম্পদের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পল জে মায়ার বলেছেন, ‘The greatest natural resource of our country is its people’. আধুনিক অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, অন্যান্য সম্পদের মতো মানুষও জাতীয় সম্পদ। বিভিন্ন অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও বিশ্লেষণ থেকে দেখা গেছে, কোনো দেশের জাতীয় আয় যেমন তার প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে সম্পর্কযুক্ত। অর্থাৎ সমাজে বসবাসকারী মানুষের উন্নয়ন ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতির উন্নয়ন কোনো ক্রমেই সম্ভব নয়।

দেশকে দ্রুত উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে নিতে হলে বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক শিক্ষার প্রসার জরুরি। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরবর্তী সরকারগুলোর মধ্যে অধিকাংশ সময় যারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন তারা আধুনিক শিক্ষার অধিকতর গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারে চিন্তা ও চেষ্টা করা সত্ত্বেও কোথায় যেন আটকে পড়ে গিয়েছিলেন। তাই প্রকৃতপক্ষে দেশের মানসম্মত, আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করা এখন সময়ে দাবি। এ দিক থেকে বিচার করলে অবশ্যই বলতে হবে যে, প্রত্যেক সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার মানোন্নয়নে অনেক কথা বলা হলেও শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য বা দর্শন এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। বাস্তব অবস্থা হচ্ছে জাতীয়ভাবে আমাদের এখনো কোনো শিক্ষার মডেল বা আদর্শ নেই। পশ্চিমা ধাঁচের যে শিক্ষা ধারাটি এখনো প্রধানভাবে চলছে বলে ধরা হয় তাকেও বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আধুনিক কোনো ব্যবস্থা বলে বলা যায় না। মূলত বহু দিন আগে ব্রিটিশ প্রবর্তিত এই শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং দেশের প্রয়োজন মেটাতেও সেভাবে সক্ষম নয়। স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রথম সরকার অবশ্য বিজ্ঞানী কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে একটি কমিশন নিয়োগ করেছিলেন। সে কমিশন যথানিয়মে রিপোর্টও দিয়েছিল এবং সে রিপোর্টের ভিত্তিতে কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু ১৯৭৫ এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের দরুন ওই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী কাজ কর্ম করার পথেও বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী নতুন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর শিক্ষাদর্শন ছিল পূর্বতনদের চেয়েও ভিন্নতর। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সব চেতনা ও নীতি একে একে মুছে দেয়ার সর্বাত্মক নীলনকশা শুরু করা হয়। এই অবস্থায় সশস্ত্র স্বাধীনতাযুদ্ধে জয়লাভের আশু চেতনার পরিবেশে রচিত শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রণীত শিক্ষাব্যবস্থাকে আর এগিয়ে নেয়ার কোনো সুযোগ থাকল না। পরিপূর্ণভাবে না হলেও ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকা সত্ত্বেও খুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন কর্তৃক সুপারিশকৃত শিক্ষাব্যবস্থার ধরন ছিল কম বেশি ধর্মনিরপেক্ষ। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা বিস্তার ও মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারক মহলকে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। সেগুলোকে যথাযথ অগ্রাধিকার প্রদান করে সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার সাথে জাতীয় ঐক্যের চেতনাবোধ দ্বারা সমস্যার জটিল আবর্ত থেকে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব।

সর্বস্তরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম। নারী শিক্ষা এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত উপবৃত্তির ব্যবস্থা। বর্তমান ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে জাতীয়করণ করেছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি সরকারীকরণ করা হয়েছে। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর শতকরা হার ছিল ৬১, বর্তমানে তা উন্নীত হয়েছে শতকরা ৯৭.৭ ভাগে। শিক্ষার সুবিধাবঞ্চিত গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২’ প্রণয়ন করা হয়েছে, গঠন করা হয়েছে ‘শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট’।

কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও শিক্ষার সার্বজনীনতা আসছে না। শিক্ষার দৈন্য কাটছে না। শিক্ষায় আসছে না পরিবর্তনের হাওয়া। কাজেই যুগোপযোগী ও পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং একটি গণমুখী ও কর্মমুখী শিক্ষানীতিকে প্রাধান্য দিতে হবে, যার বাস্তবায়ন না হলে বাঙালির কোনো কালেই অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটবে না। একটি সুষ্ঠু শিক্ষানীতি ও তার সফল বাস্তবায়নে বাঙালি কর্মদক্ষ জনশক্তিতে পরিণত হবে এবং যথার্থ মানবসম্পদের উন্নয়নও ঘটবে। শিক্ষা ও মানবসম্পদের উন্নয়ন ব্যতিরেকে আমাদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে। উন্নয়ন শুধু কাগজের ফিরিস্তি হয়েই ভেসে বেড়াবে। কাজেই প্রকৃত উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে মানবসম্পদ উন্নয়নবান্ধব পরিবেশ ও যথাযথ বিনিয়োগ এবং নীতিমালা সংযোজনের বিকল্প অন্য কিছুতে কোনো সমাধান আসবে বলে আমরা মনে করতে পারি না। আসুন একটি সুন্দর শিক্ষা নীতিমালা প্রস্তুত করে এবং দক্ষ মানবসম্পদের বিকাশ ঘটিয়ে আমাদের জাতীয় মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠা করি। 

লেখক : কলামিস্ট ও গবেষক


আরো সংবাদ



premium cement