১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চেক ডিসঅনার মামলায় অন্যায্য দাবির ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের সাম্প্রতিক রায় অন্যতম রক্ষাকবচ

চেক ডিসঅনার মামলায় অন্যায্য দাবির ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের সাম্প্রতিক রায় অন্যতম রক্ষাকবচ - ছবি : সংগৃহীত

অতীতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হতো। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ অনেক দেশেই ঋণ দায়গ্রস্তদের অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দেয়া হতো। ঋণের দায়ে দণ্ডিতদের জন্য আলাদা জেলখানা ছিল। ১৪ শ' শতক থেকে ১৯ শ' শতক পর্যন্ত বর্তমান লন্ডন শহরে দেনাদার বন্দীদের জন্য দি মার্শালসি নামে একটি জেলখানা ছিল। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের বাবাকে ঋণের দায়ে জেলে পাঠানো হয়। বর্তমানে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না; বরং দেওয়ানি প্রতিকার হিসাবে গণ্য হয়। ১৮৮১ সালের আগ পর্যন্ত ব্রিটিশ Negotiable Instruments Act এই ভারতবর্ষে প্রযোজ্য ছিল। ১৮৬৬ সালে তৃতীয় ভারতীয় আইন কমিশন সর্বপ্রথম Negotiable Instruments Act খসড়া প্রস্তুত করে। প্রমিসরি নোট, বিল অফ এক্সচেঞ্জ এবং চেক সম্পর্কিত লেনদেনের সংজ্ঞা প্রদান ও বিধি-বিধান করা ছিল আইনের উদ্দেশ্য। ১৮৭৭ সালে ব্যবসায়ী মহলের আপত্তির প্রেক্ষিতে আইনটি পুনঃপ্রস্তুত করা হয়। স্থানীয় সরকার, হাইকোর্ট এবং চেম্বার অব কমার্সের সমালোচনার প্রেক্ষিতে সিলেক্ট কমিটি প্রস্তুতকৃত খসড়া পরিমার্জন করলেও, বিলটি চূড়ান্ত করা যায় নি। ১৮৮০ সালে বিলটি পুনঃ প্রস্তুত করা হয়। এভাবে চতুর্থবারের মত প্রস্তুতকৃত খসড়া ১৮৮১ সালের ৯ ডিসেম্বর আইনে পরিণত হয়। ১৮৮২ সালের মার্চ মাসের ১ তারিখ থেকে আইনটি কার্যকর হয়। ১৮৮১ সালের এই আইন ব্যবসায়িক লেনদেনে স্বচ্ছতা নিয়ে আসে। এই আইনে চেক ডিসঅনার সম্পর্কিত আলাদা কোন বিধান ছিল না। স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত আইনটিতে মোট ৫ টি সংশোধনী আনা হয়। ভারতে ১৯৮৮ সালে ৬৬ নং আইনের মাধ্যমে চেক ডিসঅনারের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়।

বাংলাদেশে ১৯৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তারিখে ১৯ নং আইনের মাধ্যমে ১৮৮১ সালের আইনে সংশোধনী আনা হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে অধ্যায় ১৭-তে ১৩৮, ১৩৯, ১৪০, ১৪১ –মোট ৪ টি ধারা সন্নিবেশ করা হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে অপর্যাপ্ত ফান্ডের কারণে চেক ডিসঅনারের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়। ২০০০ সালের জুলাই মাসের ৬ তারিখে ১৭ নং আইনের মাধ্যমে ধারা ১৩৮-এর অংশ “for the discharge in whole or in part, of any debt or other liability” বাদ দেওয়া হয় এবং ধারা ১৩৯ বাতিল করা হয়। ২০০৬ সালের ৩ নং আইনের মাধ্যমে ধারা ১৩৮এ সন্নিবেশ করা হয়। এ ধারার মাধ্যমে আপিলের সময় বিবাদিকে চেক এমাউন্টের ৫০ ভাগ জমা দেয়ার বিধান করা হয়। চেক ডিসঅনারের এই ধারাসমূহ মূল আইনে সন্নিবেশিত হওয়ার সাথে সাথে ১৩৮ ধারায় ফৌজদারি মামলা দায়েরের সংখ্যা গাণিতিক হারে বাড়তে থাকে। এই আইনের অপপ্রয়োগ ও হয়রানির মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।

১৩৮ ধারার মামলায় বাদিকে চেক ডিসঅনার, নোটিশ প্রেরণ, মামলা দায়ের- সংক্রান্তে আইনে উল্লেখিত সময়সীমা প্রমাণ করতে হয়। অপরাধ প্রমাণের ক্ষেত্রে চেক হস্তান্তরে বিবাদীর সাক্ষ্যের তেমন কোনো মূল্য নেই। বাদির চেক ডিসঅনার হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করাই ছিল মূখ্য। ঘটনার সাক্ষ্যের উপর জোর দেয়া হয় না। পরে শফিকুল ইসলাম এবং অন্যান্য বনাম বাংলাদেশ এবং অন্যান্য মামলায়, 2 SCOB (2015) HCD 1,২০০০ সালের সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। আদালত ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করেন। তবে আদালত রায়ে বলেন, Since we found that section 138 of the Negotiable Instruments Act is not an isolated enactment and since the same does not contain “non obstante” clause, as such, the same is to be read along with other provisions of the said Act. In that view of the matter when the trial commences, the said Act entitles the accused person to take any defence in the light of sections 4, 6,8,9,43,58 and 118 of the said Act. আদালত রায়ে সকল অধস্তন আদালতকে Negotiable Instruments Act,1881-এর ৪, ৬, ৯, ৪৩, ৫৮ এবং ১১৮ ধারাগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে বিবাদিকে সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করার কার্যকর এবং যথেষ্ট সুযোগ প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন এবং সে অনুযায়ী মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

আপিল বিভাগ আলাউদ্দিন বনাম রাষ্ট্র, ২৪ বিএলসি(এডি) ১৩৯, মামলায় (Blank Cheque এবং Post Dated Cheque মামলা নামে সমধিক পরিচিত) অভিমত দেন, the disputed question of fact as to the issuance of the cheque as ‘security’ or ‘advance’ or ‘post dated’ can only be decided upon recording evidence. আদালত মন্তব্য করেন, Question of fraud can only be determined by recording and considering evidence by the trial Court after holding trial.

২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মোঃ আবুল কাহের শাহীন বনাম এমরান রশিদ এবং অন্যান্য (ফৌজদারি আপিল নং ৬৩-৬৬/২০১৭) মামলায় প্রদত্ত রায়ে বিবাদীর ঘটনার সাক্ষ্যের বিষয়টি আবার উঠে আসে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ, মামলার বাদি বিবাদিকে একটি চুক্তির প্রেক্ষাপটে ৪টি চেক প্রদান করে। চেকের মূল্যমান ৪.৫ কোটি। চেক ব্যাংকে প্রদান করলে, ব্যাংক চেকগুলো ডিসঅনার করে। কারণ হিসেবে “Payment stopped by drawer” দেখানো হয়। পরে বাদি মোঃ আবুল কাহের শাহীন বিবাদি এমরান রশিদকে নোটিশ দেয়। বিবাদি টাকা দিতে ব্যর্থ হলে বাদি ১৩৮ ধারায় ৪টি মামলা করে। বিচারিক আদালত ৪টি মামলায় আসামিকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং সর্বমোট ৯ কোটি টাকা জরিমানা করে। দণ্ডিত আসামি হাইকোর্টে ৪ মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে ৪টি আপিল দায়ের করে। হাইকোর্ট ৪টি আপিল এক সঙ্গে শুনানি করেন এবং ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট তারিখে ৪টি মামলায় আসামিকে খালাস প্রদান করেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বাদি আপিল বিভাগে ৪টি আপিল দায়ের করেন। আপিল বিভাগ ৪টি আপিল একসাথে শুনানি করেন। আপিল বিভাগে মূল প্রশ্ন উঠে- ১৩৮ ধারার মামলার বিচারে কি বিবাদির সাক্ষ্য পরীক্ষা করা যায়; আদালত কি শুধু চেকের সত্যতা পরীক্ষা করবে নাকি বাদির দাবির সত্যতা এবং নথিতে সামিল বিবাদির যুক্তি সংবলিত বিষয়বস্তু নিরূপণ ও বিবেচনা করবে? আপিলকারী-বাদি (Complainant-Appellant) পক্ষের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন করেন, যেহেতু ২০০০ সালে সংশোধনের মাধ্যমে “for the discharge in whole or in part, of any debt or other liability” বাদ দেয়া হয়েছে, সেহেতু আদালত শুধু চেকের উপাদান (Contents of Cheque) বিবেচনা করবে; আদালত চেকটি কোনো ঋণ বা দায়বদ্ধতার পরিপ্রেক্ষিতে ইস্যূ করা হয়েছে কিনা নিরূপণ করতে পারে না।

অন্যদিকে মোকাবেলা-বিবাদি (Accused-Respondent) পক্ষের আইনজীবী আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন, “for the discharge in whole or in part, of any debt or other liability” বাদ দেয়া হলেও আদালত বিবাদির যুক্তি এবং বাদির দাবির সত্যতা নিরূপণ করতে পারেন; ১৩৮ বিচ্ছিন্ন কোনো ধারা নয়। এই ধারা কোনো non-obstante clause দিয়ে শুরু হয়নি; বরঞ্চ এই ধারায় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে- “without prejudice to any other provisions of the Act”। সুতরাং হাইকোর্ট ডিভিশন সাক্ষ্য এবং সংশ্লিষ্ট আইন যথাযথ মূল্যায়ন করে বাদির দাবি অবিশ্বাস করেছেন।

তিনি আরো বলেন, ১৮৮১ সালে আইনের ধারা ৪, ৬, ৮, ৯, ৪৩, ৫৮, ১১৮ এবং ১৩৮ ধারা একসাথে পড়তে হবে এবং বিবেচনা করতে হবে; আইনপ্রণয়নের সত্যিকার উদ্দেশ্য (True intent) খুঁজে বের করতে হবে। আদালত উল্লেখ করেন, জেরা থেকে দেখা যায়, যে চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে বাদিকে চেকগুলো ইস্যু করা হয়, ওই চুক্তির শর্ত বাদি পূরণ করেনি। এ কারণে বিবাদি পেমেন্ট বন্ধ করে দেয়। চেকের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা এবং চেকের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ১৯৯৪ সালে সংশোধনী আনা হয়। এই প্রেক্ষাপটে আদালত ডালমিয়া সিমেন্ট (ভারত) লিঃ বনাম গ্যালাক্সি ট্রেডার্স এন্ড এজেন্সিস লিঃ, এআইআর ২০০১ এসসি ৬৭৬ মামলায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের মতামত তুলে ধরেন।

আদালত আরো অভিমত দেন, negotiable instruments সম্পর্কিত আইন ব্যবসায়িক লেনদেনের সুবিধা সৃষ্টি করেছে। ঋণের দলিলকে টাকায় রূপান্তর এবং সহজ বিনিময়ের সুযোগ করে দিয়েছে।

আদালত মন্তব্য করেন, এই আইনের সংশ্লিষ্ট সকল কিছুই আইনের উদ্দেশ্যের আলোকে ব্যাখা করতে হবে। আদালত আলাউদ্দিন বনাম রাষ্ট্র (পূর্বোক্ত) মামলায় প্রদত্ত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন : The offence punishable under section138 of the Act is not a natural crime like hurt or murder. It is an offence created by a legal fiction in the statute. It is a civil liability, transformed into criminal liability under restricted conditions by way of amendment of the Act”.

আদালত মন্তব্য করেন, আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য বাদির পাওনা আদায়, বিবাদিকে জেলে পাঠানো নয়। আদালত বিবাদির আইনজীবীর যুক্তি সমর্থন করে বলেন, “without prejudice to any other provisions of the Act” শব্দগুলো থেকে বুঝা যায়, ১৩৮ ধারায় দায়েরকৃত মামলায় ১৮৮১ সালের অন্যান্য ধারাসমূহ প্রয়োগ করতে কোন নিষেধাজ্ঞা (embargo) দেয়া হয়নি। আদালত এই প্রেক্ষাপটে রাজা গাউল রাজাসিমা রাউ বনাম স্টেট অফ এপি, এআইআর ১৯৭৩ এপি ২৩৬, মামলায় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের মতামত তুলে ধরেন : When general provisions are followed by certain particular provisions and when it is stated that the particular provisions are without prejudice to the general provision the particular provisions do not cut down the generality of the meaning of the preceding general provisions.

আপিল বিভাগের রায়ে এটি প্রতীয়মান হয়, ১) বিবাদি যদি প্রাথমিকভাবে দেখায় তর্কিত চেকের লেনদেনের কোন কনসিডারেশন নেই, তাহলে কনসিডারেশন ছিল তা প্রমাণ করার দায়িত্ব বাদীর। যে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হবে, সে হারবে। ২) চেকে প্রদত্ত টাকা কোনো শর্তাধীন হলে, ওই শর্ত যদি পূরণ না হয়, তাহলে কোনো দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয় না। আদালত উপসংহারে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন এবং অভিমত দেন, where the amount promised shall depend on some other complementary facts or fulfillment of another promise and if any cheque is issued on that basis, but that promise is not fulfilled it will not create any obligation on the part of the drawer of the cheque or any right which can be claimed by the holder of the cheque.

চেক ডিজনার সম্পর্কিত মামলার এ রায় যুগান্তকারী। এ রায়ের মাধ্যমে বিবাদির সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে অন্যায্য দাবি মোকাবেলা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অতীতে বিচারিক আদালত শুধু চেকের বিবরণ এবং বাদির দাবির উপরই নির্ভর করতেন। চেক ডিসঅনার সম্পর্কিত মামলা নিয়ে বহুমুখী সমালোচনা আছে। এই আইনেই তিনগুণ জরিমানার বিধান আছে। শাস্তি হিসেবে এক বছর কারাদণ্ডের বিধান আছে। যদিও দেওয়ানি প্রকৃতির এই মামলার কারাদণ্ড কোনোভাবেই ছয় মাসের বেশি হওয়া উচিত নয়। শাস্তি এক বছর হলেও বিচারিক ক্ষমতা দায়রা জজ আদালতের। এটি স্বাভাবিক ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ভারতে এই অপরাধের বিচারিক ক্ষমতা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের। ১৩৮ ধারার অপরাধ আপসযোগ্যও নয়। বিভিন্ন ফোরামে মামলার সুযোগ থাকায় পাওনাদার একই বিষয়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করে। বিবাদির উপর এক তরফা ভোগান্তি বাড়ে। মহামান্য আপিল বিভাগও দুই ফোরামে যুগপৎ মামলা পরিচালনাকে বৈধতা দিয়েছে। আপিল বিভাগ ইস্টার্ন ব্যংক বনাম মোঃ সিরাজদ্দৌলা, ৭২ ডিএলআর (এডি) ৭৯) অভিমত দেন,
The pendency of a civil suit will not hinder proceeding of a criminal case and vice versa.

অনেক সময় ব্ল্যাঙ্ক চেকে ইচ্ছেমতো পরিমাণ বসিয়ে বিবাদির উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। এরকম কার্য ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪৬৪ ধারায় শাস্তিযোগ্য করা হয়েছে। তবুও ১৩৮ ধারার অপব্যবহার থেমে নেই। এ সকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ আইন কমিশন Negotiable Instruments Act,1881 ধারা ১৩৮ এবং ১৪১ সংশোধনের সুপারিশ করেছে। আইন কমিশনের ৩১/১২/২০১৭ তারিখের ১৪৬ নং রিপোর্টে-১) কারাদণ্ড ছয় মাস, জরিমানা দ্বিগুণ, ২) ঋণের বিপরীতে চেক গ্রহণ বন্ধ, ৩) মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে আপসের ব্যবস্থা এবং ৪) প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার-এইসব সংশোধনী নিয়ে আসার সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন করা হলে, চেক ডিসঅনার সম্পর্কিত মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা আসবে এবং মামলাজট হ্রাস পাবে বলে আমরা মনে করি।

সূত্র :
১। আইন কমিশনের ১৪৬নং রিপোর্ট;
২। বাংলাদেশ এবং ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের উল্লেখিত রায়;
৩। চেক ডিসঅনার এবং এ সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট আইনসমূহ
৪। ল অব ডিসঅনার অফ চেকস(ইউনিভার্সাল-লেক্সিস নেক্সিস প্রকাশন) ও অন্যান্য বই।

লেখক : অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল