২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

একজন চারণ শিক্ষকের চিরবিদায়

এমাজউদ্দীন আহমদ
অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ - ছবি : সংগৃহীত

অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ রাজশাহী কলেজে পড়াশোনা করেছেন। অনেক দিন পর সেই কলেজে আমিও লেখাপড়া করেছি। এ গর্ব আমি সবসময় হৃদয়ের মধ্যে বহন করতাম। উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সেই সময়ের প্রথিতযশা শিক্ষকবৃন্দ ও সমসাময়িক সহপাঠীদের নানা ঘটনা তার মুখ থেকে শুনেছি। এসব ঘটনা ছিল শিক্ষা, রাজনীতি, সংস্কৃতির বহুবর্ণ উপাখ্যান, যা আমি তার কাছ থেকে শুনে মুগ্ধ হতাম। ড. এমাজউদ্দীন বিস্ময়কর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, তখন থেকে শুরু করে সমগ্র জীবনের নানা মাত্রিক ঘটনাপরম্পরার সন্নিবেশ তার স্মৃতিতে যেন হুবহু সংরক্ষিত ছিল। রাজশাহী কলেজের তৎকালীন শিক্ষকবৃন্দের প্রতি ছিল তার গভীর শ্রদ্ধা। তাদের মধ্যে ছিলেন ড. আই এইচ জুবেরি (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর), ড. এ আর মল্লিক (সাবেক অর্থমন্ত্রী), ড. গোলাম মকসুদ হিলালী, প্রফেসর শামসুল হক (সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী), অধ্যাপক সাইদুর রহমান (সাংবাদিক শফিক রেহমানের বাবা), অধ্যাপক আবদুল হাই, ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ (সাবেক ভিসি-রা: বি:) প্রমুখ উল্লেখযোগ্য স্কলাররা।

বর্তমান বাংলাদেশে ছাত্রদের জীবনে অন্তঃপ্রাণ শিক্ষক পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ছাত্রজীবনে এ ধরনের কৃতবিদ্য শিক্ষকদের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। জ্ঞানদীপ্ত শিক্ষকদের সাহচর্যে সিক্ত তার জীবনের নানা স্মৃতির কথা আমাদের শোনাতেন। যেন ‘অসংখ্য আলো পড়েছে জীবনপ্রান্তে মম’- এ কথাটি তার জীবনের জন্য সত্য, কারণ তার ওপর ছিল এ কৃতী শিক্ষকদের প্রভাব। তাই শিক্ষার আলোয় এক উজ্জ্বল পরিবেশে এই খ্যাতনামা রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর বেড়ে ওঠা। অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন ছিলেন দেশে-বিদেশে সর্র্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন ও সর্বোচ্চ ডিগ্রিপ্রাপ্ত আধুনিক চিন্তাধারার বিদগ্ধ শিক্ষাবিদ। তবে আমার দৃষ্টিতে তিনি যেন এক চারণ শিক্ষকের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। নির্ধারিত পাঠকক্ষের বাইরেও তার শিক্ষাদান পরিক্রমা ছিল বিস্তৃত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চৌহদ্দির বাইরে যেখানেই দেখা হোক তার কাছে কিছু জানতে চাইলে তিনি নির্দ্বিধায় সেটি বলতেন, আর আমরা শুনতাম নিবিষ্ট মনোযোগ দিয়ে। কখনোই জাতীয় বুদ্ধিজীবীর আভিজাত্যবোধে তিনি আড়ষ্ট হননি। ‘এই ছেলে, এটা কি প্রশ্ন করার জায়গা’- এমন কথা তার মুখ থেকে কখনই শুনিনি।

প্রফেসর এমাজউদ্দীনের মতো এত বড় মাপের শিক্ষাবিদের মূল্যায়ন করার ক্ষমতা আমার নেই। রাষ্ট্রদর্শন, সমাজভাবনা, তুলনামূলক রাজনীতি, সমসাময়িক বিশ্বরাজনীতির মূল্যায়ন, চিরায়ত গণতন্ত্র, সাহিত্য, স্বাধীন মতপ্রকাশসহ তার চিন্তার জগৎ ছিল বিশাল ও বিচরণ ক্ষেত্র ছিল সুবিস্তৃত। শুধু মতপ্রকাশ নয়, প্রসারিত অর্থে স্বাধীনতা বলতে তিনি মানুষের পরিপূর্ণ স্বাধীনতাকে বোঝাতেন। আশির দশকের শেষে ছাত্র রাজনীতির সুবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্র রাজনীতিতে আমার আগমন ঘটে। তখন থেকেই শুরু হয় স্যারের সাথে অল্পবিস্তর যোগাযোগ এবং ক্রমেই তা পিতা-পুত্রের মতো নির্মল নৈকট্যে উপনীত হয়।

শিক্ষক-ছাত্রের সম্পর্কটি অন্যান্য সামাজিক সম্পর্ক থেকে ভিন্নতর। এমনকি আবহমানকালের গুরু-শিষ্যের চেয়েও আলাদা। সম্পর্কটি আত্মিক ও স্বর্গীয়। এই সম্পর্ক কোনো রাজনৈতিক আদর্শের কাঠামোতে নির্ণীত হয় না। জ্ঞানের মহিমায় প্রকৃত শিক্ষকের অন্তর্লোকে অধিষ্ঠান করে মায়া, মমতা ও স্নেহ। ড. এমাজউদ্দীন আহমদ যেন সেই অন্তর্লোকেরই ধারক। প্রকৃত শিক্ষক ছাত্রদের কাছে পিতারই প্রতিচ্ছবি। সব শিক্ষক কিংবা পিতা আবার অভিভাবক হতে পারেন না। ড. এমাজউদ্দীন ছিলেন একজন প্রকৃত শিক্ষক ও প্রকৃত অভিভাবক, যা শুধু নিজের পরিবারের জন্য নয়, নয় তার ঘনিষ্ঠজনদেরও; এই শিক্ষাব্রতী জ্ঞানতাপসের অভিভাবকত্ব স্বল্পপরিসরে সীমিত নয়, বরং করণীয় ও নির্ভুল উপদেশের দ্বারা জাতির অভিভাবক হিসেবেও দেখিয়েছেন গন্তব্যপথ, দেখিয়েছেন জাতির আশা-আকাক্সক্ষার নতুন প্রবাহ।

ছাত্রের অভিযোগ, অনুনয়, অভিমান, দুঃখ-বেদনা, সব কিছু ধারণ করতে পারতেন এই অভিভাবকতুল্য সর্বংসহ শিক্ষক ড. এমাজউদ্দীন। আলোক দিশারী এই শিক্ষক যেন এক অনির্বাণ শিখার মতো দেদীপ্যমান ছিলেন শিক্ষার্থীদের মনে। তার খানিকটা সান্নিধ্যেই যেন শিক্ষার্র্থীদের মন ভরে উঠত আলোকের দীপ্তিতে। ঘন অন্ধকার ভেদ করে সমুখ পানে চলতে তাগিদ পেত সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীরা, খুঁজে পেত জীবনের ছন্দ ও একটি নতুন প্যাটার্ন। কিন্তু যাদেরকে তিনি বিশ্বাস করতেন, ভালোবাসতেন, আস্থা রাখতেন তাদের কারোর কোনো বিচ্যুতি ধরা পড়লে খুবই ব্যথিত হতেন, কিন্তু তার অভিব্যক্তি থাকত স্থির ও অবিচল, বিনম্র আন্তরিকতায় ভুল ধরিয়ে দেয়ার প্রয়াস পেতেন। জোর গলায় জাহির করা, বাগড়ম্বর করা, গালভরা কথা, অপরিণামদর্শিতা, অসূয়া, ছিদ্রান্বেষণ ও নেতিবাচক আচরণ-প্রবণ মানুষদের পছন্দ না করলেও অসাধারণ সৌজন্যবোধ থেকে কাউকে কিছু বুঝতে দিতেন না এই মৃদুভাষী ও বিনম্র মানুষটি। বর্তমান গণতন্ত্রহীন কর্তৃত্ববাদী শাসনের থমথমে পরিস্থিতিকে এক আলোচনায় তিনি অভিহিত করেছেন ‘মহা স্বস্তির কালো ছায়া’ হিসেবে। তার প্রতিবাদী ভাষাও ছিল পরিশীলিত ও সুরুচিপূর্ণ। অন্তর্গত স্বচ্ছতা নিয়েই তিনি নির্ধারণ করেছিলেন নিজের জীবন প্রণালী।

আমার এখন বড় আফসোস হয়, এই চারণ পণ্ডিতের সাহচর্য পাওয়ার পরও তার অমূল্য কথাগুলো কেন লিখে রাখলাম না, লিখে রাখলে হয়তো পরবর্তী প্রজন্ম এবং আমরাও উপকৃত হতাম। তার সাথে আলাপচারিতায় জেনেছি, ভাষা আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি কারাবরণ করেছেন, সেই অপরাধে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থান করার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাননি; ‘৭০ এ পাকিস্তানি পশ্চিমা শাসনের শেষের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। এর মধ্যে দেশের কয়েকটি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন, অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সর্বোপরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ তার শিক্ষকতা জীবনে নিরলস শ্রম ও নিবিড় পরিচর্যায় সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য কীর্তিমান ছাত্রছাত্রী। স্বাধীন ব্যক্তিসত্তার অবাধ স্ফুরণ ছিল এই পণ্ডিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর। তিনি ছিলেন বহু মত ও পথ তথা রাজনৈতিক বহুত্ববাদের পুণ্যালোকে উদ্ভাসিত। তার সৃজন ও মননকে মিলিয়েছিলেন গণতন্ত্রের আদর্শে। সরকারি রোষে পড়া সত্ত্বেও গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবন ও এর বুনিয়াদ গড়ে তোলার কথা বলেছেন নির্ভয়ে। এ দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে তীব্র হতাশা সত্ত্বেও এই খ্যাতনামা একাডেমিক ব্যক্তিত্ব স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গঠনে স্পন্দনশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও সমাজে উদার দৃষ্টিভঙ্গির ক্রমপ্রসারণের শর্তগুলো পূরণে নানাভাবে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ওপর গুরুত্বারোপ করতেন।

বুদ্ধিজীবীরা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সার্থক প্রতিনিধি। বুদ্ধিজীবীদের স্বাধীন চিন্তা ও বিশ্লেষণ রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহকে প্রভাবিত করে। বুদ্ধিজীবী সমাজের সার্বজনীন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- স্বাধীন অবস্থান থেকেই নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করা। কারণ স্বাধীন ব্যক্তিসত্তা বিকশিত হয় চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায়। সে জন্য আমরা দেখি পছন্দের রাজনৈতিক দলের সাথে দ্বিমত পোষণ করে প্রতিবাদ জানাতেও পিছপা হননি বুদ্ধিজীবীরা। এর একটি উদাহরণ আমরা দেখেছি, ভিয়েতনাম যুদ্ধে ব্রিটেনের শ্রমিক দলের সমর্থনের প্রতিবাদে মনীষী বার্ট্রান্ড রাসেল ওই দলের নিজের সদস্য কার্ড ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। অথচ বাংলাদেশে ভালোমন্দ বিচারের অন্তর্গত শক্তি হারিয়ে ফেলে বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় অংশের লেজুড়বৃত্তির কারণে জনমনে বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে ক্রমেই নেতিবাচক ধারণা জন্ম নিচ্ছে। দুঃশাসন ও অপশাসনকে আমলে না নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসকে সমর্থন দিয়ে শাসকগোষ্ঠীর অনুচর হিসেবে থাকাকেই তারা সার্থক মনে করছে।

বুদ্ধিজীবীদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, নিজেদের স্বার্থের ব্যাপারে তারা অধিকতর সচেতন, কিন্তু ড. এমাজউদ্দীন ছিলেন উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম। তার ওপর আক্রমণ হয়েছে, এর পরও তাকে টলানো যায়নি তার নীতি, আদর্শ ও কর্তব্যকর্ম থেকে। তার এই বোধ ও ভাবনা তাকে দিয়েছে জাতীয় অভিভাবকের উচ্চাসন। তাকে রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা না জানানো হলেও তার অসংখ্য ছাত্রছাত্রী, গুণীজন ও মানুষের হৃদয়ে শ্রদ্ধার আসনটি অটুট রয়েছে।

ড. এমাজউদ্দীন শহীদ জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বহুত্ববাদী গণতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী ছিলেন, তবে কখনোই দলের কাঠামোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হননি। কিন্তু দুঃখে, শোকে, সঙ্কটে, লড়াই সংগ্রামে প্রতি মুহূর্তই তিনি দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পরামর্শ দিয়েছেন গভীর আন্তরিকতায়। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারান্তরীণ করার পর থেকে প্রতি সপ্তাহে একবার অথবা দু’বার ছুটে আসতেন নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। মনে হতো যেন অশীতিপর এই অভিভাবকটি বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে না পারার জন্য বিবেকের দংশনে ভুগছেন। আমি বারবার বলতাম, স্যার এত কষ্ট করে কার্যালয়ে এসে তিনতলায় ওঠার দরকার কী? সব কথাই তো আপনি মোবাইলেই বলতে পারেন। কিন্তু না, তিনি ছুটে আসতেন বিশাল তাগিদ নিয়ে। বেগম জিয়া কিভাবে মুক্ত হবেন, কী প্রক্রিয়া অবলম্বন করা যায় এগুলো নিয়েই সারাক্ষণ ভাবতেন এবং নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রাখতেন। দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য যেসব কর্মসূচি পালন করা হতো, সবগুলোতেই তিনি ছুটে যেতেন পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যেও। এই অংশগ্রহণ নেতা হওয়ার জন্য নয়, বরং একজন মজলুমের ওপর অবিচারের প্রতিবাদ জানাতে।

মননব্রতী এই শিক্ষাবিদ বলতেন, গণতান্ত্রিক সমাজ নিজ নিজ মতামত নিয়ে সবাই মিলে একত্রে থাকার আধার। এখানে ভিন্নমতের কাউকে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে ধ্বংস করা অন্যায়। আমি যখনই কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে তার সাথে দেখা করতাম তিনি বলতেনÑ শোনো, গণতন্ত্রের লড়াই হয় অনেক তীব্র, তবে পরিসমাপ্তি টানতে বেশি দেরি হয় না। মনে রেখো, সমাজ নির্বাক থাকলে স্বাধীনতা হারিয়ে যায়। তোমাদের সংগ্রাম, ত্যাগ বৃথা যাবে না। তিনি রাজনীতিতে উচ্চতম নৈতিক সৌন্দর্যযুক্ত করতে কৃতসঙ্কল্প ছিলেন।

এই মহীরুহের স্মৃতি সুদীর্ঘ দিন আনন্দ বেদনার মিলিত স্রোতে আমাদের প্রবহমান রাখবে। তার মৃত্যুতে দুঃখ ও বিপদে অনায়াসে উত্তীর্ণ হওয়ার অভয়মন্ত্র শোনানোর অভিভাবককে আমরা হারিয়েছি। তার মৃত্যু আমাদের জন্য হতাশা ও বেদনার, আমরা কষ্ট পাবো অনেক দিন। তার মৃত্যুতে আমাকে ‘বাপু’ বলার বা আমার স্ত্রীকে ‘মা’ বলার লোকের সংখ্যা কমে গেল। আমি তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement