২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে জনগণকে সাথে নিয়েই

করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে জনগণকে সাথে নিয়েই -

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন আজকে বাংলাদেশের স্ট্যাটাস তিনে উন্নীত করেছে। বর্তমানে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরী হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ আসল তথ্য জানে না, কিন্তু জানা দরকার ছিল। জানলে সবাই সেই মাত্রায় সতর্ক হতে পারত। অথচ সরকার আড়াল করার নীতি দিয়ে সবকিছু ম্যানেজ করতে চলেছে। এই নীতি অনুসরণ করতে গিয়ে ইরান সরকার তার দেশের সর্বনাশ করেছে।

তথ্য জানা মানুষের অধিকার। অথচ মানুষের জীবন মরণ সমস্যা। যুদ্ধ তো জনগণকে সাথে নিয়েই সরকারকে করতে হবে। করোনাভাইরাস আতঙ্কে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, দূতাবাস কর্মকর্তা ও বিদেশি নাগরিকরা পরিবার নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা গত কয়েক দিন ধরেই বাংলাদেশ সরকারের সাথে দেন-দরবার করে আসছিল। অবশেষে বিশেষ বিমানে বাংলাদেশ ছাড়তে শুরু করেছেন বিদেশিরা।

প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক। সরকারি হিসাব মতে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক কম। এমনকি যারা বাংলাদেশ থেকে পালাচ্ছেন, তাদের দেশের অবস্থা বাংলাদেশের তুলনায় অত্যন্ত ভয়াবহ। অথচ তারপরও বিদেশিরা বাংলাদেশের মতো এতটা ‘কম আক্রান্ত দেশ’ ছেড়ে নিজেদের মারাত্মক আক্রান্ত দেশে কোনো দুঃখে পালিয়ে যাচ্ছেন? তাহলে এর ভয়াবহতা আসলে কতটুকু।

ঢাকার লকডাউনের আগে বাস, ট্রেন সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে সেনাবাহিনী, পুলিশ নামিয়ে লকডাউন করা উচিত ছিল। তাহলে ঢাকার এই লোকগুলো সারা বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে বেরিয়ে হয়তো ভাইরাস ছড়াতে পারত না। এই ব্যর্থতার দায়ভার কার? আজকে ভিডিও কনফারেন্সে আমার কয়েকজন বন্ধুর সাথে কথোপকথন সময় সরকারি দলের প্রতি সহানুভূতিশীল এক বন্ধু প্রশ্ন করে, আচ্ছা বন্ধু, যদি আমার বা আমার পরিবারের কারো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে আমরা কোথায় চিকিৎসা নেব? কিভাবে আমরা একে অপরের পাশে থেকে উপকারে আসতে পারি, এ বিষয়টা আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে জেনে রাখা ভালো। কারণ আমরা জানি না চিকিৎসা কোথায়? কিভাবে এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়?

দুর্ভাগ্যজনক যে আমার বন্ধু জানে না যে রাষ্ট্রকে প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব নিতে হয় এবং এই জাতীয় দুর্যোগে একমাত্র সমাধান দিতে পারে রাষ্ট্র। আজকাল মানুষ ভুলেই গেছে বা বাংলাদেশের মানুষ ভুলতে বসেছে সরকার মানুষের বন্ধু , সরকার মানুষের পাশে দাঁড়াবে। রাষ্ট্রের কাছে তার জনগণ সব পাবে এই প্রত্যাশা মানুষের মধ্যে আজ আর নেই। জানেনা রাষ্ট্রযন্ত্রের হাত কত শক্তিশালী বা দরাষ্ট্রযন্ত্র কত বড়। শুধু জানে সরকারকে ভয় পেতে।
এদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্মপ্রাণ মানুষ আল্লাহ তাআলার কাছে এই বিপদ মুক্তির জন্য দোয়া করবে সাহায্য চাইবে এটাই স্বাভাবিক। ঈমানদার মানুষ সব সময় প্রতিবাদী হয় আর আল্লাহতালা প্রতিবাদী কে পছন্দ করেন।
তাহলে আমার বন্ধুর উত্তরটা কি হতে পারে?

শেষ করি এভাবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা লকডাউন সমাপ্তির বিরুদ্ধে দেশগুলোকে সতর্ক করেছে। একইসাথে সরকারকে প্রতিটি সন্দেহজনক কেস শনাক্ত করতে এবং পরীক্ষা করার জন্য সিস্টেমগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে।

* শিল্প উদ্যেক্তা ও রাজনীতিক


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল