০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,
`

দ্রুত ও টেকসই উন্নয়নে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ

-

বাংলাদেশ ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০৩১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কার্যকর উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাতিসঙ্ঘের একটি সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত তালিকায় উত্তীর্ণ হবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এসব অর্জন বাংলাদেশের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। তবে সেই উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষাকে টেকসই এবং ধারাবাহিক করার জন্য ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। ব্যক্তি খাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিনিয়োগ না হলে কোনো দেশ টেকসই উন্নয়ন অর্জন করতে পারে না। কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি ছাড়া কোনোভাবেই দারিদ্র্যের হার প্রত্যাশিত মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব নয়। বিগত সরকার আমলে সাড়ে ১৫ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা মূলত দুর্নীতিযুক্ত অবকাঠামোগত খাতের উন্নয়ন বলা যেতে পারে। অর্থনীতিবিদদের অনেকেই এ ধরনের উন্নয়নকে কসমেটিক উন্নয়ন বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। কারণ ব্যক্তি খাতে প্রত্যাশিত মাত্রায় উন্নয়ন সাধিত না হলে সেই উন্নয়ন কখনোই কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্য সীমিতকরণে সহায়ক হয় না। সরকারি উদ্যোগে যে উন্নয়ন কর্ম সাধিত হয় তা উৎপাদনশীল নয় এবং ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করে মাত্র। বিশ্বে এমন একটি দেশের দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করা যাবে না যারা ব্যক্তি খাতের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান ব্যতীত টেকসই উন্নয়ন অর্জন করতে পেরেছে। কিন্তু বাংলাদেশে বিগত সময়ে সরকারি খাতে উন্নয়নের নামে রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাটের যে সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।

স্থানীয় এবং বিদেশী বিনিয়োগ আহরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গন্তব্য হিসেবে বিবেচিত হতে পার। বিনিয়োগকারীদের জন্য যেসব আইনি সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের। এ ছাড়া বাংলাদেশে রয়েছে ১৭ কোটি মানুষের এক বিশাল বাজার। স্থানীয়ভাবে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে শিল্প-কারখানা স্থাপন করে পণ্য উৎপাদন করা সেই পণ্য রফতানি করা হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অনেক দেশ ও অঞ্চল থেকে শুল্ক ছাড়সহ অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা পাওয়া যায়। এসব কারণে বাংলাদেশ স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্যে পরিণত হওয়ার দাবি রাখে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তব বিনিয়োগ পরিবেশ মোটেও সুবিধাজনক নয়। আর সে কারণেই স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ কাক্সিক্ষত মাত্রায় আহরণ করা যাচ্ছে না। গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার জিডিপির ২২ থেকে ২৩ শতাংশে ওঠানামা করছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকালে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৮ শতাংশ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২০২৫) জন্য বাস্তবায়নাধীন জাতীয় বাজেটে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৭ শতাংশ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অর্জিত হওয়ার কোনোই সম্ভাবনা নেই।

সর্বস্তরে বিদ্যমান ব্যাপক দুর্নীতি এবং অনাচার ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছিল। ১৯০টি দেশের মধ্যে ব্যবসায়-বাণিজ্য সহজীকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৬তম। অর্থাৎ বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশের প্রচণ্ড অভাব রয়েছে। ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচক প্রকাশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এর পরিবর্তে সংস্থাটি ‘বিজনেস রেডি’ একটি নতুন সূচক প্রকাশ করেছে। মোট ৫০টি দেশের অবস্থাকে বিবেচনায় নিয়ে প্রকাশিত এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ সারিতে। অর্থাৎ বিশ্বব্যাংকের মতে, বাংলাদেশের ব্যবসায়-বাণিজ্যের পরিবেশ এখনো উন্নত হয়নি। বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ যখন কোনো দেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তখন তারা এসব সূচককে বিশেষভাবে বিবেচনা করে থাকে। একজন বিনিয়োগকারীকে বিনিয়োগ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে অন্তত ৩২টি সংস্থার নিকট থেকে অনুমতি এবং সেবা গ্রহণ করতে হয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই চলে ঘুষ-দুর্নীতির প্রাধান্য। কোনো একজন উদ্যোক্তা, তিনি স্থানীয়ই হোন আর বিদেশীই হোন প্রকল্প প্রস্তাব বাস্তবায়ন করেছেন অথচ কোনো পর্যায়েই ঘুষ-দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করেননি এমন নজীর খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা এবং দুর্নীতির কারণে প্রকল্প প্রস্তাব বাস্তবায়নে অস্বাভাবিক বিলম্ব হয়। যে প্রকল্প হয়তো ৬ মাসে বাস্তবায়িত হওয়ার কথা তা বাস্তবায়ন করতে দেড় থেকে দুই বছর সময় লেগে যায়। এতে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় বাজারে উৎপাদিত পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা কমে যায়। দেখা যায়, কোনো প্রকল্প হয়তো পণ্য উৎপাদন শুরু করতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করে ফেলল, ইতোমধ্যেই অন্য দেশের বিকল্প পণ্য এসে বাজার দখল করে নিলো।

আমাদের দেশে নানা কারণেই পণ্য উৎপাদন ব্যয় বেশি হয়। বাংলাদেশে প্রচুর শ্রমিক পাওয়া যায়। কিন্তু তাদের মধ্যে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ শ্রমিকের প্রচণ্ড অভাব রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পসহ অনেক শিল্পেই মধ্যপর্যায়ে দক্ষ কর্মকর্তার অভাব রয়েছে। ফলে উদ্যোক্তাগণ বিদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক এনে কাজ করাতে বাধ্য হচ্ছেন। বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশী শ্রমিকরা প্রতি বছর অন্তত ৬ থেকে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়ে যাচ্ছেন। অথচ স্থানীয়ভাবে দক্ষ শ্রমিকের জোগান নিশ্চিত করা গেলে এই অর্থ দেশেই থেকে যেত।

বিগত সরকারের সাড়ে ১৫ বছরের স্বেচ্ছাচারী শাসনামলে ব্যবসায়-বাণিজ্যকে চরমভাবে দলীয়করণ করা হয়। ব্যাংকগুলো লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করা হয়। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত সরকারের আমলে ২৪টি বড় ধরনের দুর্নীতি এবং কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ব্যাংকিং সেক্টর থেকে ৯৩ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে একটি বিশেষ গোষ্ঠী। সরকার সমর্থক এই বিশেষ গোষ্ঠীই বিভিন্ন প্রকল্প স্থাপনের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছেন। ফলে যে উদ্দেশ্যে ব্যাংক ঋণ প্রদান করা হয় তা সাধিত হয়নি। এই অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের জন্য প্রধানত স্টক মার্কেটের ওপর নির্ভর করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশের স্টক মার্কেট একাধিকবার পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দেয়ার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এখন আর স্টক মার্কেটের ওপর কোনো রকম আস্থা রাখতে পারছে না। ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণ করলে তা ‘মিসম্যাস’ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। প্রতিষ্ঠান উৎপাদন শুরু না করলেও ব্যাংক থেকে গৃহীত ঋণের কিস্তি নির্ধারিত সময় পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু স্টক মার্কেট থেকে পুঁজি সংগ্রহ করা হলে প্রকল্প লাভজনক পর্যায়ে যাওয়ার আগে কোনো লভ্যাংশ প্রদান করতে হয় না। স্টক মার্কেটকে গতিশীল করতে হলে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ার বাজারে নিয়ে আসতে হবে। একই সাথে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে একান্ত আবশ্যক না হলে তাদের শেয়ার বাজারে ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। বাংলাদেশ যাতে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একাধিক গোষ্ঠী তৎপর রয়েছে। কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিলেই তৈরী পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়। তারা আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করে। এটা স্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। এর পেছনে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত রয়েছে।

অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির যে আকার ও শক্তি তাতে টেকসই উন্নয়ন অর্জন করতে হলে ব্যক্তি খাতে জিডিপির অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ বিনিয়োগ হওয়া প্রয়োজন। আমরা যদি কাক্সিক্ষত মাত্রায় স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ আহরণ করতে চাই তাহলে সবার আগে বিনিয়োগের বাস্তব পরিবেশ উন্নত করতে হবে। একজন বিনিয়োগকারীকে ভিআইপি মর্যাদা দিতে হবে। কেউ বিনিয়োগ প্রস্তাব বাস্তবায়নকালে যেন কোনো মহল থেকেই হয়রানি এবং দুর্নীতির শিকারের পরিণত না হন তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে বিনিয়োগকারীদের সর্বোত্তম এবং দ্রুত সেবা দিতে হবে। যারা বিনিয়োগকারীদের কোনোভাবে হয়রানি করবেন তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিদেশী বিনিয়োগকারীগণ যাতে প্রকল্প স্থাপনের জন্য উপযোগী জমি সহজে পেতে পারে তার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে। একই সাথে স্থানীয় কাঁচামাল নির্ভর পণ্য উৎপাদন ও রফতানির উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ স্থানীয় কাঁচামাল নির্ভর পণ্য রফতানি করা গেলে জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজনের হার তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসছে তৈরী পোশাক শিল্প থেকে। কিন্তু এই খাত সম্পূর্ণরূপে আমদানিকৃত কাঁচামাল নির্ভর বলে জাতীয় অর্থনীতিতে এই খাতের মূল্য সংযোজনের হার তুলনামূলকভাবে কম। তৈরী পোশাক রফতানি করে প্রতি বছর যে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় তার অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশই কাঁচামাল, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ এবং মধ্যবর্তী পণ্য আমদানিতে চলে যায়। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এই খাতের মূল্য সংযোজনের হার ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ। অন্য দিকে পাট ও পাটজাত পণ্য, চা, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রায় শতভাগ স্থানীয় কাঁচামাল নির্ভর বলে এতে মূল্য সংযোজনের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। আগামীতে স্থানীয় কাঁচামাল নির্ভর পণ্য উৎপাদন ও রফতানির প্রতি জোর দিতে হবে। উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করা এবং উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনাটাও জরুরি।

বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার জন্য বারবার পলিসি রেট বৃদ্ধি করে চলেছে। আগে পলিসি রেট ছিল ৫ শতাংশ। এখন তা ১০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আগামীতে পলিসি রেট আরো বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে হচ্ছে। পলিসি রেট বৃদ্ধির ফলে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ছে। উচ্চ সুদের কারণে উদ্যোক্তাগণ ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারছে না। এতে বিনিয়োগের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। অক্টোবর মাসে সার্বিকভাবে আমদানি ব্যয় ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আর একই সময়ে শিল্প ব্যবহার্য কাঁচামাল এবং মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি হ্রাস পেয়েছে। এর মধ্যে ক্যাপিটাল মেশিনারিজ আমদানি কমেছে ৪৫ শতাংশের মতো। উদ্যোক্তাগণ যাতে তুলনামূলক কম সুদে ঋণ পেতে পারে সেজন্য অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু একই সাথে শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, ক্যাপিটাল মেশিনারিজ এবং মধ্যবর্তী পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের সুদের হার তুলনামূলকভাবে কম নির্ধারণ করা যেতে পারে।

আমাদের যেকোনো মূল্যেই হোক ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা যথাসম্ভব দূর করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement