ইউক্রেনে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ২০
- রয়টার্স
- ০৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
- বোমারু বিমান ছিনতাইয়ে ইউক্রেনের চেষ্টা নস্যাৎ
- আক্রান্ত শিশু হাসপাতাল
ইউক্রেনজুড়ে গতকাল সোমবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, কিয়েভের একটি শিশু হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী ৪০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এতে বিভিন্ন শহরে অবকাঠামো, বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কিয়েভ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীতে হামলায় সাতজন নিহত এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। জেলেনস্কির নিজ শহর ক্রিভি রিহতে ১০ জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র অলেক্সান্ডার ভিলকুল। পূর্ব ইউক্রেনের পোকরভস্ক শহরে একটি শিল্প স্থাপনায় আঘাতের কারণে আরো তিনজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন ডনেস্ক অঞ্চলের গভর্নর।
টেলিগ্রামে জেলেনস্কি বলেছেন, যত বেশি সম্ভব মানুষকে বাঁচানোর জন্য সব সেবা সক্রিয় রয়েছে। পুরো বিশ্বকে তার সব দৃঢ়তা ব্যবহার করে রুশ হামলার অবসান ঘটাতে হবে। রাশিয়া বারবার বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ হামলার সময় হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে সম্ভাব্য ইউক্রেনে শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে বেইজিংয়ে একটি অপ্রত্যাশিত সফর করছিলেন। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটশকো বলেছেন, রাজধানীতে এই হামলাটি রাশিয়ার ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বড় হামলাগুলোর মধ্যে একটি। তিনি জানান, শহরের প্রধান শিশু হাসপাতালটি এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানালাগুলো ভেঙে গেছে এবং প্যানেলগুলো ছিটকে পড়েছে। অভিভাবকেরা শিশুকে ধরে হতবাক ও কান্নাকাটি করতে করতে রাস্তায় বেরিয়ে আসছিলেন। ৩৩ বছর বয়সী সিতলাকা ক্রাভচেঙ্কো বলেছেন, আমরা একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। তারপর আমাদের ওপর ধ্বংসাবশেষ ছিটকে পড়েছে। তিনি ও তার স্বামী ভিক্টর আশ্রয় থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাদের দুই মাসের শিশু নিরাপদ ছিল, কিন্তু সিতলানা আহত হয়েছে। তাদের গাড়িটি হাসপাতালের পাশে ধ্বংসাবশেষে চাপা পড়েছিল। তার কথায়, ভয়ঙ্কর ছিল। আমি শ্বাস নিতে পারছিলাম না। আমি আমার শিশুকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করছিলাম। স্থানীয় ও আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই হামলায় কিয়েভ, ক্রিভি রিহ, ডনিপ্রো, পোকরভস্ক, ক্রামাতোরস্ক এবং অন্যান্য এলাকায় শিল্প-কারখানা, অবকাঠামো এবং আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বোমারু বিমান ছিনতাই
এ দিকে রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পন্ন একটি টিইউ-২২এম৩ কৌশলগত বোমারু বিমান ছিনতাই করে ইউক্রেনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেয়ার দাবি করেছে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। গতকাল সোমবার এফএসবি বলেছে, ইউক্রেইনের গোয়েন্দা সংস্থা ছিনতাইটি সংগঠিত করার চেষ্টা করেছিল।
সোভিয়েত আমলের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির প্রধান উত্তরসূরি সংস্থা এফএসবি তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, “ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা আর্থিক পুরস্কার ও ইতালির নাগরিকত্ব দেয়ার বন্দোবস্ত করে দেয়ার বিনিময়ে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর একজন পাইলটকে একটি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী (টিইউ-২২এম৩) উড়িয়ে নিয়ে ইউক্রেইনে অবতরণ করাতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিল।” রুশ বার্তা সংস্থা আরটি জানিয়েছে, ব্যর্থ এই ছিনতাই প্রচেষ্টার সাথে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর গোয়েন্দা বাহিনী জড়িত থাকার বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে বলে এফএসবি দাবি করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটটির কোন সদস্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এর সাথে জড়িত ছিল তা সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা