১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
আবুজায় ইকোওয়াস শীর্ষ সম্মেলন শুরু

মালি-নাইজার-বুরকিনা ফাসো কনফেডারেশন

-

বুরকিনা ফাসো, মালি ও নাইজারের সামরিক শাসকরা একটি নতুন জোট গঠন করার একদিন পরে পশ্চিম আফ্রিকান দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট (ইকোওয়াস) নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার বেশ কয়েকজন নেতা অভ্যুত্থান-আক্রান্ত সাহেল দেশগুলোর সাথে পুনরায় আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানানোর পরে নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় ইকোওয়াস শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অভ্যুত্থান-আক্রান্ত সাহেল দেশগুলোর নেতারা শনিবার নাইজারের রাজধানী নিয়ামেতে তাদের নিজস্ব একটি শীর্ষ সম্মেলনের সময় একটি নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ।
মালি, বুরকিনা ফাসো এবং নাইজার গত সেপ্টেম্বরে সাহেল দেশের জোট হিসেবে পরিচিত চুক্তিটি ঘোষণা করেছিল। এটি তাদের সশস্ত্র বিদ্রোহ বা বহিরাগত আগ্রাসনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার সুযোগ করে দিয়েছে। অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ব্লকের কঠোর অবস্থানের পর জানুয়ারিতে তিনটি দেশ ইকোওয়াস থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে। কিছু বিশ্লেষক বলছেন যে বিশেষ করে মালি ওনাইজার যদি ইকোওয়াস-এর সদস্য দেশ দুটি ল্যান্ডলকড দেশকে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় তবে তারা অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে।
‘এই মুহূর্তে বুরকিনা ফাসো, মালি ও নাইজারের সামরিক নেতারা তাদের পক্ষে গতিশীল বলে মনে হচ্ছে এবং তারা সমর্থনের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে উপেক্ষা করছে। ইকোওয়াসের সামনে অনেক কাজ আছে এই তিনটি দেশকে ফিরিয়ে আনার আগে, যদি তারা তা করতে রাজি হয়।’
একটি কনফেডারেশন প্রতিষ্ঠার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পশ্চিম আফ্রিকার তিন দেশ মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসো। ‘বৃহত্তর একীভূতকরণে’র লক্ষ্যে শনিবার এক সম্মেলনে দেশ সামরিক নেতারা এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই তিন দেশের নেতারা সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকার অর্থনৈতিক সংগঠন ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটসের (ইকোয়াস) সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। এরপর তারা নিজেদের শক্তি বাড়াতে একটি নিরাপত্তা চুক্তি সই করেন। কোনো দেশে বিদ্রোহ বা আগ্রাসনের কোনো ঘটনা ঘটলে পরস্পরকে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে এতে।
এবার আরও একধাপ এগিয়ে বৃহত্তর একীভূতকরণ ও একটি কনফেডারেশন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতারা। ইকোওয়াসের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর শনিবার নিয়ামে প্রথম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে যোগ দেন নাইজারের নেতা জেনারেল আবদুর রহমান তিয়ানি, মালির আসিমি গোইটা ও বুরকিনা ফাসোর ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম তাওর। সম্মেলন শেষে এই তিন নেতা ঘোষণা করেন, তারা ‘সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বৃহত্তর একীভূতকরণের লক্ষ্যে এবং একটি কনফেডারেশন প্রতিষ্ঠার চুক্তি করেছেন’। তিন দেশের সমন্বয়ে গঠিত এই জোটকে ‘কনফেডারেশন অব সাহেল স্টেটস’ নামে ডাকা হচ্ছে। তবে এটা ঠিক কিভাবে কাজ করবে তা এখনই স্পষ্ট নয়।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো এক সময় ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। বর্তমানে দেশগুলো স্বাধীন হলেও আজও তাদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে চলেছে পশ্চিমারা।

 


আরো সংবাদ



premium cement