অবশেষে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র!
- সিএনএন
- ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর দুই বছর অতিবাহিত হয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা ইউক্রেনের হাতছাড়া হয়েছে। হাজার হাজার সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত পশ্চিমা এই দেশটির এমন দুর্দশার মধ্যে অস্ত্র সরবরাহ, কূটনৈতিক সহায়তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পশ্চিমা মিত্ররা পাশে থাকলেও সেনা পাঠাতে রাজি হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র এতদিন বলে এসেছে যে তাদের সৈন্যরা ইউক্রেনযুদ্ধ এড়িয়ে চলবে। এমনকি মার্কিনিদের সেখানে ভ্রমণ করার বিষয়েও সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তে বড় পরিবর্তন আনছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন।
হোয়াইট হাউজ ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত চার মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তারা বলেন, দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে হোয়াইট হাউজের সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি প্রশাসনের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে এবং তাদের সেনাবাহিনীর হাত সুসংহত করবে।
তবে মার্কিন সেনারা ইউক্রেনে গিয়ে সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামবেন না বা রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত হবেন না। তারা আমেরিকান বিভিন্ন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করবেন। সেখানে মোতায়েন করা মার্কিন বিভিন্ন অস্ত্র দেখভাল করবেন এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া সমরাস্ত্র ও সামরিক যান মেরামত করবেন। যাদের বলা হচ্ছে মিলিটারি কনস্ট্রাক্টর। তবে বিষয়টি এখনো কর্মকর্তাদের পর্যায়েই রয়েছে। নথিতে চূড়ান্ত স্বাক্ষর করেননি প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এ দিকে ইউক্রেনে সেনা না পাঠানোর সিদ্ধান্তে বাইডেন এখনো দৃঢ় অবস্থানে আছেন বলে দাবি করেছেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত- কিছুই হয়নি। তবে একবার সিদ্ধান্তটি অনুমোদন হওয়ার পর এ বছরই তা কার্যকর হতে পারে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। একই সাথে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের অভ্যন্তরে কাজ করার অনুমতি দেয়া হতে পারে আমেরিকান কোম্পানিগুলোকেও।
ধীরে ধীরে ইউক্রেন যুদ্ধে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা। সম্প্রতি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রুশ স্থাপনায় হামলার অনুমতি দেয় তারা। অনেক ভারী ও আধুনিক অস্ত্র সরবরাহ করলেও সেগুলো পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ইউক্রেনের বাইরে। আবার যুদ্ধের ময়দানে অস্ত্রগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সেগুলো সীমান্তবর্তী পোল্যান্ড, রোমানিয়াসহ অন্যান্য ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশে নিয়ে মেরামত করা হয়। এ ছাড়া যেগুলো পরিবহন করা কষ্টসাধ্য, সেগুলো মার্কিন সামরিক কন্ট্রাক্টররা ভিডিও কলের মাধ্যমে বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে সংস্কার করার বিষয়ে সহায়তা দিয়ে আসছিলেন। তবে এসব প্রক্রিয়া অনেক সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। একই সাথে শতভাগ ত্রুটিমুক্ত হওয়া নিয়েও শঙ্কা থেকে যায়। এমন প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনে সরাসরি সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের খবর এলো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা