১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দক্ষিণ চীন সাগর থেকে বিদেশীদের আটক করবে চীন

-

নতুন সমুদ্র আইন জারি করেছে চীন। এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে এই আইন। নতুন এই আইনে দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ নৌসীমায় অনুপ্রবেশের দায়ে বিদেশিদের আটক করা যাবে। তবে চীনের এই নতুন আইনের আন্তর্জাতিক বৈধতা নিয়ে তুলছে প্রতিবেশী দেশগুলো।
ফিলিপাইনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের দাবিকে উড়িয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই দাবি করে চীন। যদিও ২০১৬ সালে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালত চীনের দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই বলে রায় দেয়। চীন সরকার দেশটির কোস্টগার্ড এবং অন্যান্য নৌযানগুলোকে নিজের বলে দাবি করা জলসীমায় টহল দেয়ার জন্য মোতায়েন করছে এবং বেশ কয়েকটি সামরিক কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা এবং ফিলিপাইনের জাহাজগুলো বিরোধপূর্ণ এলাকায় একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যা একটি বিস্তৃত সঙ্ঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
অনলাইনে প্রকাশিত নতুন প্রবিধান অনুযায়ী শনিবার থেকেই, চীনের কোস্টগার্ড ‘বিরোধপূর্ণ সীমানায় প্রবেশ এবং প্রস্থান ব্যবস্থাপনা লঙ্ঘন করার সন্দেহে’ বিদেশীদের আটক করতে পারবে। এমনকি ‘জটিল ক্ষেত্রে ৬০ দিন পর্যন্ত আটক রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে ওই আইনে। যেসব বিদেশী জাহাজ অবৈধভাবে চীনের আঞ্চলিক জলসীমা এবং সংলগ নৌসীমায় প্রবেশ করবে, সেগুলো আটক করা যাবে। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র চীনের নতুন এই বিধিকে ‘খুবই উদ্বেগজনক’ বৃদ্ধি বলে অভিহিত করেছেন। এদিকে, শনিবার ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র দফতর ঘোষণা করেছে- দেশটি দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু অংশে একটি বর্ধিত মহাদেশীয় শেলফে জাতিসঙ্ঘের সামুদ্রিক নিয়মের অধীনে নিজস্ব ‘সামুদ্রিক অধিকার’ দাবি করে নিউ ইয়র্কের দফতরে সংশ্লিষ্ট আইনি কাগজপত্র জাতিসঙ্ঘের কাছে জমা দিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement