রাখাইনে ফের জান্তাবাহিনীর হামলায় নিহত ৫০
- বিবিসি
- ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০৫
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত সপ্তাহে হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিরোধী বাহিনীগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে বলেন, গ্রামটিতে দুই দিনের বেশি সময় ধরে হামলা চালানো হয়েছে। লোকজনকে চোখ বেঁধে মারধর করা হয়েছে। তাদের গায়ে গরম পেট্রোল ঢেলে দেয়া হয়েছে এবং গ্রামের বেশ কয়েকজনকে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করেছে সেনাবাহিনী।
বিভিন্ন এলাকায় আরাকান আর্মির (এএ) সমর্থকদের খুঁজতে অভিযান চালানো হয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের সবচেয়ে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে এএ। ১৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫১ জন বেসামরিক নাগরিকের ওপর সহিংস নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
তবে আরাকান আর্মি বলছে, নিহতের সংখ্যা ৭০ জনের বেশি হতে পারে। তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার জান্তা। এক নারী বিবিসিকে বলেন, তারা এসে লোকজনকে জিজ্ঞাসা করছিল যে আরাকান আর্মির সদস্যরা গ্রামে এসেছে কি না। লোকজন সেনাবাহিনীর প্রশ্নের উত্তরে যদি বলেছে যে, তারা জানে না বা আরাকান আর্মির লোকজন আছে বা নেই, তারা যেই উত্তরই দিয়েছে সেনারা তাদের মারধর করেছে।
মাত্র ছয় মাসের প্রচেষ্টায় রাখাইন রাজ্যের বেশির ভাগ এলাকা দখল করেছে আরাকান আর্মি। তারা সেনাবাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। এক নারী বিবিসিকে বলেন, আমার চোখের সামনে সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের কাছ থেকে আমাদের সন্তানকে আলাদা করা হয়েছে। আমরা জানি না যে সে কোথায় আছে। আমি এখন জানি না যে, আমার স্বামী এবং সন্তান বেঁচে আছে কি না।
ভুক্তভোগীরা জানান, লোকজনকে সারা দিন ধরে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তারা যখন পানি চেয়েছে তখন সেনা সদস্যরা বোতলে প্রস্রাব করে সেগুলো তাদের খেতে দিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা