১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না থাকলে ইসরাইলের অস্তিত্ব থাকতে পারে না : সৌদি আরব

-


স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে কোনো সম্পর্ক স্থাপন না করার কথা আগেই জানিয়েছে সৌদি আরব। এবার দেশটি বলছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরাইলও থাকতে পারে না। একইসাথে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করেছে সৌদি আরব।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না থাকলে ইসরাইলেরও অস্তিত্ব থাকতে পারে না বলে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন-ফারহান ব্রাসেলসে আরব ও ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকের পর জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের মাধ্যমে তারা যে নিরাপত্তা চায় সেটি ইসরাইল স্বীকার করে না এবং এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়। সৌদি আরবের শীর্ষ এই কূটনীতিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছাড়া ইসরাইলের অস্তিত্ব থাকতে পারে না এবং এটা সম্পূর্ণরূপে মেনে নেয়াই প্রয়োজন ইসরাইলের।’

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন-ফারহান আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই নিরাপত্তা পাবে ইসরাইল। তাই আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, ইসরাইলের নেতারা বুঝতে পারবেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে মিলে কাজ করাটা তাদের স্বার্থেই ভালো। আর সেটি শুধু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করাই নয় বরং ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।’
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত তারা ইসরাইলের সাথে কোনো সম্পর্ক স্থাপন করবে না বলে জানিয়ে দেয় সৌদি আরব। সৌদি প্রেস এজেন্সির বিবৃতিতে সে সময় বলা হয়, ১৯৬৭ সালে সীমান্ত অনুযায়ী পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক হবে না বলে সৌদি আরব বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে এবং অবরুদ্ধ এলাকা থেকে সব রকমের ইসরাইলি বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হবে। উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিমতীর দখল করে নেয় ইসরাইল। আর গত বছরের শুরু থেকে পশ্চিমতীরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। তবে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি আরো বেড়েছে।
মূলত গাজা ভূখণ্ডের পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিমতীরকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যত স্বাধীন রাষ্ট্রের মূল অংশ হিসেবে চায়। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিরা ঐতিহাসিক জেরুসালেম শহরের পূর্ব অংশকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখে থাকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement