১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ৩৯

-

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য হিও গ্রাঞ্জে দো সুলে টানা ভারী বৃষ্টিতে দেখা দেয়া বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ৬৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে বহু মানুষ নিখোঁজ থাকায় মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়বে।
হিও গ্রাঞ্জে দো সুলের দমকল পরিষেবা জানিয়েছে, এখনো ৬৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং অন্তত ২৪ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের সীমান্তবর্তী রাজ্যটির ৪৯৭টি শহরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যের গভর্নর এদুয়ার্দো লেইচে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আগামী কয়েক দিনে এই সংখ্যাগুলো পরিবর্তিত হতে পারে।”
বেশ কয়েকটি শহরের রাস্তাগুলো মূলত নদীতে পরিণত হয়েছে, সড়ক ও সেতু ধ্বংস হয়েছে। ঝড়বৃষ্টির সময় অনেকগুলো ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে এবং ছোট একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ আংশিক ভেঙে পড়েছে। বেন্তো গনকালভিস শহরের কাছে আরেকটি বাঁধ ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে আছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বাঁধটির কাছাকাছি বসবাস করা লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা। রাজ্যের রাজধানী পের্তো আলেগ্রিতে গুয়াইবা নদীর তীর ভেঙে পড়েছে। এতে নগরীর অনেকগুলো রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে শহরের ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় এলাকাগুলোর সবগুলো প্রবেশ পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ব্রাজিলের এই রাজ্যটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও মেরু বায়ুমণ্ডলের এক মিলনস্থল, ফলে এখানে এমন এক আবহাওয়া প্যাটার্ন তৈরি হয়েছে যেখানে একসময় প্রচুর বৃষ্টি হয় আর অন্যসময় খরা থাকে। স্থানীয় বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই আবহাওয়ার ধরনটি আরো তীব্র হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরেও হিও গ্রাঞ্জে দো সুল ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তখন গ্রীষ্মমণ্ডলের বাইরে উৎপত্তি হওয়া এক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হওয়া ওই বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দেয় আর তাতে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।
এর আগে লা নিনা আবহাওয়া প্রপঞ্চের কারণে বিচ্ছিন্নভাবে অল্প কিছু বৃষ্টিপাত ছাড়া দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যটিতে খরা বিরাজ করছিল।


আরো সংবাদ



premium cement