মহাবিশ্বের বৃহত্তম কৃষ্ণগহ্বরের একটির সন্ধান বিজ্ঞানীদের
- বিবিসি
- ৩১ মার্চ ২০২৩, ০০:০৫
মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বরগুলোর একটির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন। নতুন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষ্ণগহ্বরটির সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছেন তারা। এটি ৩০ বিলিয়ন (তিন হাজার কোটি) সূর্যকে গ্রাস করতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা। ব্রিটেনের ডারহাম ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন। ব্রিটেনের রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির জার্নাল ‘মান্থলি নোটিসেস’ প্রকাশিত এক নিবন্ধে এর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। গবেষণাদলের প্রধান ড. জেমস নাইটিঙ্গেল বলেন, ‘কৃষ্ণগহ্বরটির আকার যে এতই বড় তা বুঝে উঠতেও বেগ পেতে হয়।’ নিবন্ধে বলা হয়, গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং পদ্ধতি ব্যবহার করে এ কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান মিলেছে এবং এ পদ্ধতিতে পরিমাপ করা প্রথম কৃষ্ণগহ্বর এটি।
ব্ল্যাকহোল কী?
কৃষ্ণগহ্বর শব্দের অর্থ কালো গর্ত। একে এই নামকরণ করার পেছনে কারণ হলো এটি এর নিজের দিকে আসা সব আলোক রশ্মিকে শুষে নেয়। কৃষ্ণগহ্বর থেকে কোনো আলোক বিন্দুই ফিরে আসতে পারে না ঠিক থার্মোডায়নামিক্সের কৃষ্ণ বস্তুর মতো। একটি কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল হলো মহাকাশের এমন একটি স্থান যেখানে মাধ্যাকর্ষণ বল এতটাই শক্তিশালী যে সেখান থেকে কোনো কিছুই বের হতে পারে না।
এমনকি আলোর মত তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণও এই প্রচণ্ড আকর্ষণ বল ভেদ করে বের হয়ে আসতে পারে না। ব্ল্যাকহোলে পদার্থের অত্যধিক ঘনত্বের কারণে এটি এর চার দিকে এই অস্বাভাবিক মাধ্যাকর্ষণ বল তৈরি করতে পারে। যেহেতু এখান থেকে কোনো আলো বেরোতে পারে না, আমরা খালি চোখে এদের দেখতে পাই না। তারা পুরোপুরি অদৃশ্য হয়। তবে বিশেষ সরঞ্জামসহ স্পেস টেলিস্কোপগুলো ব্ল্যাকহোলের সন্ধান করতে সহায়তা করে। এদের দেখা না গেলেও আইনস্টাইনের বিখ্যাত সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব ভবিষ্যদ্বাণী করে যে, মহাশূন্যে ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব থাকতে পারে এবং এত ভারী ভরের কোনো স্থান অবশ্যই তার চার দিকের স্পেসটাইম কে বিকৃত করবে। সম্প্রতি এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই সম্ভব হয়েছে ব্ল্যাকহোলের প্রথম চিত্র ধারণ করা। ব্ল্যাকহোলের যে অঞ্চল থেকে কোনো কিছু বের হয়ে আসতে পারে না তাকে ইভেন্ট হরাইজন বা ঘটনা দিগন্ত বলে। একটি ব্ল্যাক হোল একটি আদর্শ কালো বস্তুর মতো কাজ করে, কারণ এটি কোনো আলো প্রতিফলিত করে না। নাসার মতে, ব্ল্যাকহোলের দু’টি প্রধান শ্রেণী রয়েছে, যা ব্যাপকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিজুড়ে সূর্যের ভরের তিন থেকে ১২ গুণবিশিষ্ট স্টার-ভ্যাস ব্ল্যাকহোলগুলো ছড়িয়ে রয়েছে। এসব দানব বেশির ভাগ বড় গ্যালাক্সিগুলোর কেন্দ্রগুলোতে পাওয়া যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা