১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নেপালে নতুন শরিকদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গড়ছেন প্রচণ্ড

-

নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে জিতে গেছেন। বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস পার্টিসহ অন্যান্য ছোট দলগুলোর সমর্থন পেয়েছেন তিনি। তার নতুন মন্ত্রিসভায় এখন এই দলগুলো সামিল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রচণ্ডের পুরনো জোট শরিকরা গত মাসে সরকার থেকে বেরিয়ে যায়। প্রচণ্ড দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট পদে বিরোধীদলীয় একজন প্রার্থীকে বেছে নেয়ার প্রতিবাদে শরিকরা জোট ত্যাগ করে। কোনো শরিক দল সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলে প্রধানমন্ত্রীকে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয়।
সোমবার প্রচণ্ড ২৭৫ আসনের পার্লামেন্টে তার পক্ষে ১৭২ ভোট পেয়েছেন এবং বিপক্ষে পড়েছে ৮৯ ভোট। আস্থা ভোটের এ ফল আসার পর প্রচণ্ড টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি সামাজিক ন্যায়বিচার, সুশাসন এবং সমৃদ্ধির জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করছি।’ ৬৮ বছর বয়সী প্রচণ্ড গত বছর ডিসেম্বরে লিবারেল কমিউনিস্ট ইউনিফাইড মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট (ইউএমএল) পার্টি এবং রাজতন্ত্রীদের একটি জোটের নেতৃত্ব নিয়ে তৃতীয়বারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী হন।
প্রচণ্ড এই আস্থা ভোটে নেপালি কংগ্রেস পার্টি এবং মাওবাদী সেন্টার পার্টিসহ অন্য আরো ৯টি ছোট দলের সমর্থন পেয়েছেন। এসব দলকে নিয়ে এ সপ্তাহেই তিনি নতুন জোট গঠন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত মাসে প্রচণ্ড ৯ মার্চের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে বিরোধীদল থেকে রামচন্দ্র পাওদেলকে সমর্থন দেয়ার পরিকল্পনা জানানোর পরই উপ-প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য আরো তিন মন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর সঙ্কটে পড়ে ক্ষমতাসীন জোট সরকার।
ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোটে চলমান তিক্ত সঙ্কটের মধ্যেই গত ৯ মার্চ নেপালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রামচন্দ্র পাওদেল। পরোক্ষভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়ে থাকে। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের সদস্য এবং সাতটি প্রদেশের বিধানসভা সদস্যদের নিয়ে তৈরি ইলেক্টোরাল কলেজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়। নেপালে ২০০৮ সালে ২৩৯ বছর পুরনো রাজতন্ত্র অবসানের পর থেকে ১১ বার সরকার বদল হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে ভয় পাওয়ায় দেশটিতে শত শত কোটি ডলারের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement