২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিয়ানমারের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত মিয়ানমারের জান্তা : জাতিসঙ্ঘ
-

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের আরো সদস্য এবং প্রথমবার দেশটির জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। ক্ষমতা দখলের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে জান্তা সরকারের ওপর নতুন করে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এলো।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এদিন দেশটির ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন, খনি কোম্পানি, জ্বালানিবিষয়ক কর্মকর্তা এবং সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন সেনাকর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (এমওজিই) কর্মকর্তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য এদিন মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্র এমওজিইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটা জান্তা সরকারের সর্বোচ্চ আয় করা মিয়ানমারের সরকারি প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন অনেক দিন ধরেই এমওজিইর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের তাগিদ দিয়ে আসছিল। মিয়ানমারের জান্তা সরকার এ বছর আগস্ট মাসের মধ্যে দেশটিতে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। গত শুক্রবার তারা এ ঘোষণা দেয়। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিতে যোগ্য হতে রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে কঠোর শর্ত বেঁধে দিয়েছে তারা। তার মধ্যে অন্যতম হলো রাজনীতিতে বৃহৎ আকারে সেনাসদস্যদের অন্তর্ভুক্তি। যাতে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই থাকে এবং বিরোধীরা সব সময় কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
তারা যেসব নিয়ম বেঁধে দিয়েছে তার সবই সাবেক জেনারেলদের নিয়ে গঠিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির পক্ষে গেছে। ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে এ দলটিকে ধরাশায়ী করে ক্ষমতায় গিয়েছিল সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি।
এদিকে ক্ষমতা গ্রহণের দুই বছর পরও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত মিয়ানমারের জান্তা। এমন মন্তব্য করেছেন জাতিসঙ্ঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি টম অ্যানড্রুজ। জান্তার দুই বছরের শাসনকে তিনি আখ্যা দেন ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার দুই বছর’ হিসেবে।
মঙ্গলবার মিয়ানমারের সেনা শাসনবিষয়ক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জাতিসঙ্ঘ। সেখানে বলা হয়, গত দুই বছরে জান্তার পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হাজার হাজার মানুষ। পুড়িয়ে দেয়া হয় ৩৮ হাজার বাড়িঘর, ক্লিনিক, এমনকি স্কুল। বাস্তুচ্যুত হয় ১২ লাখ মানুষ, দেশ ছেড়েছে ৭০ হাজার।
জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে রাজনৈতিক বন্দিদশার শিকার সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ। প্রকট হয়েছে অর্থনৈতিক দুর্দশাও। দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে অর্ধেক জনগোষ্ঠী। ৪০ লাখের বেশি শিশু আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পায় না। জরুরি মানবিক সহায়তা দরকার এক কোটি ৭৬ লাখ মানুষের।
টম অ্যানড্রুজ বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হিসেবে আমাদের ভূমিকা নিয়ে ভাবা দরকার। মিয়ানমার জান্তার বৈধতাবিষয়ক স্বীকৃতি দেয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা উপলব্ধি করতে হবে। কারণ তিনটি জিনিস, তাদের টিকে থাকতে প্রয়োজন। অর্থ, অস্ত্র ও বৈধতা। মিয়ানমারের জনগণের চোখে জান্তার বৈধতা নেই।


আরো সংবাদ



premium cement
কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট কারীদের চিহ্নিতকরণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ১২ দলীয় জোটের

সকল