২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফিলিস্তিনে ইসরাইলের দখলদারিত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবাণী

-

অধিকৃত পশ্চিম তীরসহ গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডজুড়ে ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও অবৈধ বসতি স্থাপন দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক নির্বাচনে ইসরাইলের সাবেক কট্টরপন্থী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারো জয়লাভ করায় দখলদারিত্ব ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযুক্তির আশঙ্কা আরো বেড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় আসার আগেই এ বিষয়ে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি পশ্চিমতীরে দখলদারিত্ব ও ভূমি সংযুক্তির বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দেশটি। ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপন বা ভূখণ্ড সংযুক্তির বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর আবারো ক্ষমতায় ফিরে আসার পথ পরিষ্কার হওয়ার পর এই কথা জানান তিনি।
ইসরাইলে গত ১ নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেয়েছেন দেশটির সাবেক কট্টরপন্থী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়াামিন নেতানিয়াহু। এ ছাড়া ক্ষমতায় যেতে তিনি চরম কট্টরপন্থী এবং অবৈধ বসতি স্থাপনের পক্ষে থাকা দলের সাথে জোট বেঁধেছেন। নেতানিয়াহুর জোটে থাকা উগ্রপন্থী এসব দলের মধ্যে রিলিজিয়াস জায়োনিজম নামে একটি দলও রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা, নেতানিয়াহুর অধীনে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীর এবং পূর্ব জেরুসালেমে সম্ভবত আরো অবৈধ ইসরাইলি বসতি গড়ে উঠবে। এর আগে ২০২১ সাল পর্যন্ত নেতানিয়াহু একটানা ১২ বছর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ওই সময়কালে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি অবৈধ বসতির রেকর্ড সম্প্রসারণ হয়েছিল। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এই ধরনের ইসরাইলি অবৈধ বসতি আন্তর্জাতিক আইনে বেআইনি বলে বিবেচিত হয় এবং সঙ্কট সমাধানে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের অংশ হিসেবে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার প্রতিবন্ধক হিসেবে মনে করা হয়।
নেতানিয়াহুর জোটে থাকা রিলিজিয়াস জায়োনিজম নামক ওই উগ্রবাদী দলটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণকে সমর্থন করে এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করে থাকে। নেতানিয়াহুর নতুন ওই জোটে অধিকৃত পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপনের তত্ত্বাবধানের জন্য একটি পদও বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রোববার যুক্তরাষ্ট্রের একটি বামঘেঁষা ইসরাইলপন্থী অ্যাডভোকেসি গ্রুপ জে স্ট্রিটের সাথে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এ সময় তিনি নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানান। যদিও ওয়াশিংটনের পূর্ববর্তী ডেমোক্র্যাটিক প্রশাসনের সাথে প্রবীণ এই ইসরাইলি নেতার সম্পর্ক অনেকটা সাংঘর্ষিক ছিল।
রোববার ব্লিনকেন বলেন, ‘আমরা একক কোনো ব্যক্তি নয়; বরং সরকার যেসব নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে সেটির মাধ্যমে তাদের মানদণ্ড পরিমাপ করব’। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের জন্য ‘নিরলসভাবে’ কাজ করবে।
ব্লিনকেন আরো বলেন, ‘দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে ক্ষুণœ করে এমন যেকোনো কর্মকাণ্ডের দ্ব্যর্থহীনভাবে বিরোধিতা করব আমরা। যার মধ্যে (ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে) অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ, পশ্চিমতীরকে ইসরাইলি ভূখণ্ডের সাথে সংযুক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া, পবিত্র স্থানগুলোর ঐতিহাসিক স্থিতাবস্থায় ব্যাঘাত, ধ্বংস এবং উচ্ছেদসহ সহিংসতার প্ররোচনাও রয়েছে।’


আরো সংবাদ



premium cement