২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নৈতিকতা পুলিশ বিলুপ্তির খবর ইরানের অস্বীকার

-

ইরানের নৈতিকতা পুলিশ বিভাগ ভেঙে দেয়া যে খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে, তা অস্বীকার করেছে দেশটির রাষ্ট্রপরিচালিত টিভি চ্যানেল আল আলম। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মাদ জাফর মুন্তাজেরি জানিয়েছিলেন প্রচলিত বাধ্যতামূলক হিজাব আইনটি দেশটির পার্লামেন্ট এবং বিচার বিভাগ পুনর্বিবেচনা করছে। একই সাথে তিনি দেশটির নৈতিকতা পুলিশ স্থগিত করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন নৈতিকতা পুলিশ বাতিলের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, মুন্তাজেরি ইরানের নৈতিকতা পুলিশ ‘বিলুপ্ত’ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে উদ্ধৃত করা হলেও ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম দৃঢ়ভাবে সেই মন্তব্যকে নাকচ করেছে। তারা জানিয়েছে, নৈতিকতা পুলিশকে তত্ত্বাবধান করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচার বিভাগ নয়।
বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট হতে ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে সিএনএন। সেখান থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। ইরানে নারীদের জন্য প্রকাশ্যে চলাফেরার জন্য হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে তৈরি করা হয়েছে নৈতিক পুলিশকে। তারা ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক নারীদের সাবধান কিংবা গ্রেফতার করতে পারেন।
মুন্তাজেরি বলেন, যখন আমরা কোনো শহরে হিজাব ছাড়া নারীদের দেখি তখন আমাদের বিরক্ত লাগে। কর্মকর্তারাও এ নিয়ে বসে নেই। পার্লামেন্ট ও বিচার বিভাগ উভয়ই এ নিয়ে কাজ করছে। আমরা পার্লামেন্টের সংস্কৃতিবিষয়ক কমিশনের সাথে আলোচনা করেছি। আগামী এক দুই সপ্তাহের মধ্যেই একটা সমাধান পাওয়া যাবে। কিন্তু তার বক্তব্যে ১৯৭৯ সালে প্রণয়ন করা হিজাব আইন বাতিলের কোনো ইঙ্গিত ছিল না।
আরবি ভাষার রাষ্ট্রীয় চ্যানেল আল-আলম জানিয়েছে, বিদেশী গণমাধ্যমগুলো মুন্তাজেরির মন্তব্যকে ভুলভাবে নিয়েছে। তারা ভেবেছে, ইরান নৈতিক পুলিশ বিলুপ্তের ঘোষণা দিয়েছে। অথচ তিনি শুধু বলেছিলেন যে, নৈতিক পুলিশের সাথে বিচার বিভাগের সম্পর্ক নেই। ইরানের কোনো কর্তৃপক্ষই জানাননি যে, রাস্তায় হিজাব নিশ্চিত থেকে পিছিয়ে এসেছে সরকার। চলমান ‘দাঙ্গা’র সাথেও এর কোনো সম্পর্ক নেই।


আরো সংবাদ



premium cement