ইরানের নৈতিকতা পুলিশ বিভাগ ভেঙে দেয়া হয়েছে
- আল আরাবিয়া
- ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
ইরানে নৈতিকতা পুলিশ বিভাগ ভেঙে দেয়া হয়েছে। কঠোর পোশাক নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগে মাহসা আমিনির গ্রেফতার ও মৃত্যুর কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় বিক্ষোভের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। স্থানীয় গণমাধ্যম গতকাল রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মনতাজেরির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইসনা জানিয়েছে, ‘বিচার বিভাগের সাথে নৈতিকতা পুলিশের আর কোনো সম্পর্ক নেই’ এবং বাহিনীটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, একটি ধর্মীয় সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল এ মন্তব্য করেছেন। সেখানে একজন অংশগ্রহণকারী ‘কেন নৈতিকতা পুলিশ বন্ধ করা হচ্ছে’ জিজ্ঞেস করলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নৈতিকতা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে গাশত-ই এরশাদ বা ‘গাইডেন্স প্যাট্রল’ নামে পরিচিত। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ক্ষমতায় থাকাকালে ‘শালীনতা ও হিজাবের সংস্কৃতি’ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এই বাহিনীটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। নারীরা যাতে মাথা ঢেকে রাখে এই বাহিনী তা নিশ্চিত করায় কাজ করত। ২০০৬ সাল থেকে বাহিনীটি টহল দেয়া শুরু করে।
এ দিকে নৈতিকতা পুলিশের বিলুপ্তির ঘোষণাটি সামনে আসার এক দিন আগে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, নারীদের মাথা ঢেকে রাখার আইনটি পরিবর্তন করা দরকার কি না, তা নিয়ে ‘পার্লামেন্ট ও বিচার বিভাগ উভয়ই কাজ করছে’। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি শনিবার টেলিভিশনে দেয়া এক মন্তব্যে বলেছেন, ইরানের প্রজাতন্ত্র ও ইসলামিক ভিত্তি সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত; কিন্তু সংবিধান বাস্তবায়নের পদ্ধতি নমনীয় হতে পারে। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের চার বছর পর ইরানে হিজাব বাধ্যতামূলক করা হয়। ওই বিপ্লবের মাধ্যমে মার্কিন-সমর্থিত তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাত এবং ইরানে ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিপ্লবের পর এবারই প্রথম সবচেয়ে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি নেতৃত্বাধীন দেশটির ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী। ব্যাপক দমন-পীড়নের মাধ্যমে ইরানি কর্তৃপক্ষ সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভ মোকাবেলার চেষ্টা করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা