সীমান্ত বন্ধ করার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার

ইউক্রেন যুদ্ধের আহ্বান এড়াতে হাজার হাজার রুশ নাগরিক দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। এ ব্যাপারে ক্রেমলিন বলেছে, যুদ্ধের উপযোগী বয়সের রুশ নাগরিকদের দেশ ছেড়ে পালানোর ক্ষেত্রে সীমান্তে কোনো প্রকার বাধা সৃষ্টি করেনি। সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’
সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দীর্ঘ এই যুদ্ধের মাধ্যমে ইউক্রেনে দখল করা ভূখণ্ডগুলো হাতছাড়া হতেই সামরিক গতিবিধি বাড়ানের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। দেশটিতে নতুন যে সামরিক ঘোষণা দেয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়েছিল, যাদের সামরিক অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদেরও যুদ্ধে ডাকা হবে। এই পরিস্থিতিতে তরুণ ও যুবক রুশ নাগরিকদের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালানোর হিড়িক পড়েছে। এতে রুশ সীমান্তে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা।
বিমানের টিকিট নেই এবং সীমান্ত চেকপয়েন্টগুলিতে গাড়ির দীর্ঘবহর লক্ষ করার মতো। পশ্চিমা যেসব দেশে রুশ নাগরিকদের ভিসার প্রয়োজন নেই সেসব দেশেই ছুটছে রুশ নাগরিকরা। জর্জিয়ার সীমান্তে গত ৪৮ ঘণ্টা থেকে গাড়ির দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। জর্জিয়া সীমান্তে বার্তা সংস্থা এপিকে ডেভিড নামে একজন রুশ নাগরিক বলেছেন, ‘ভয়ে, তার জানা মতে সবাই ভয়ে আছেন। আমরা এমন একটি শাসনব্যবস্থা থেকে সরে যাচ্ছি, যা কেবল হত্যাই করে।’
কাজাকস্তান ও মঙ্গোলিয়া সীমান্তেও গাড়ির দীর্ঘ বহর লক্ষ করা যায়। রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে রুশ-অধিভুক্ত ক্রিমিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী সিনিয়র পার্লামেন্ট সদস্য সের্গেই সেকভ বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তি নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে নিয়োগের বয়সের প্রত্যেকেরই বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা উচিত।’ আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য আংশিক সৈন্য সমাবেশের ঘোষণা দেয়ার পর রাশিয়ায় কয়েক দিন ধরে বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।