২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইউক্রেনের দনেস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার তীব্র হামলা

-

ইউক্রেনের বাহিনীগুলো জানিয়েছে, রাশিয়ার বাহিনীগুলো দনেস্ক অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় তীব্র গোলাবর্ষণ করে কয়েকটি শহরের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তারা অনেকগুলো হামলা প্রতিহত করেছে বলে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ দক্ষিণাঞ্চলীয় যুদ্ধক্ষেত্রের এক ডজনেরও বেশি শহরে রাশিয়ার গোলাবর্ষণের কথা জানিয়েছেন। এসব শহরের মধ্যে খেরসন অঞ্চলও আছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। অঞ্চলটি প্রধানত রুশ বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনীগুলো ‘প্রত্যয়ের সাথে’ বিভিন্ন এলাকা পুনরুদ্ধার করছে।
রোববার ইউক্রেনের সামরিক কমান্ড জানান, রুশ সেনারা আভদিয়েভকার কাছে ইউক্রেনের অবস্থানে হামলা চালালেও তাদের প্রচেষ্টা অনবরত ব্যর্থ হচ্ছে। ইউক্রেনের সামরিক বিশেষজ্ঞ ওলেগ ইসদানভ জানিয়েছেন, আদিয়েভকা ও পিস্কোসহ নিকটবর্তী শহরগুলোর পরিস্থিতি খুবই কঠিন। অনলাইনে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমাদের গোলন্দাজ শক্তি পর্যাপ্ত নয় এবং পিস্কোকে রক্ষা করার জন্য আমাদের বাহিনীগুলো আরো সমর্থন চেয়ে পাঠাচ্ছে। তবে শহরটি মূলত ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণেই আছে।’ রয়টার্স যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পাওয়া এসব ভাষ্য স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি।
ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ ও ‘নাৎসিমুক্ত’ করতে প্রতিবেশী দেশটিতে তারা বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বলে দাবি করে আসছে মস্কো। এ যুদ্ধের কারেণে সৃষ্ট উত্তেজনায় মস্কো ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করা হতে পারে হুঁশিয়ার করেছে রাশিয়া। কিয়েভ জানিয়েছে, ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সমৃদ্ধ জাপোরিঝজা ও প্রতিবেশী খেরসন প্রদেশ পুনরুদ্ধারের জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিকল্পনা করছে তারা। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর এসব এলাকা দখল করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে রাশিয়া।
ব্রিটেনে সেনা পাঠাচ্ছে নিউজিল্যান্ড
এ দিকে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে ব্রিটেনে ১২০ জন সামরিক সদস্যকে পাঠাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনীয় সেনাদের একাংশের প্রশিক্ষণ চলছে ব্রিটেনে। এবার যুক্ত হচ্ছে নিউজিল্যান্ড সরকারও। নিউজিল্যান্ড সরকারের বরাতে সোমবার আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রায় ৮০০ ইউক্রেনীয় কর্মীকে অস্ত্র পরিচালনা, যুদ্ধের প্রাথমিক চিকিৎসা, অপারেশনাল আইনসহ যুদ্ধের দক্ষতায় গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তবে তাদের কবে পাঠানো হবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এ নিয়ে নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডান সংবাদ সম্মেলনে জোর দিয়ে বলেন, নিউজিল্যান্ডের সেনারা ইউক্রেন যুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত না এবং এই যুদ্ধে জড়াবে না। তিনি আরো বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলছি একটি দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর নির্মম হামলা এবং পরবর্তীতে নিরীহ মানুষের প্রাণহানি মেনে নেয়া যায় না। ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই নিউজিল্যান্ড, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলো কিয়েভকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এই যুদ্ধে মস্কোকে পরাজিত করাই মিত্র দেশগুলোর মূল লক্ষ্য। ফলে পুতিনের প্রশাসন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বহু খাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমারা।


আরো সংবাদ



premium cement