২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইন্দোনেশিয়ায় সাংকেতিক ভাষায় কুরআন শিখছেন শ্রবণপ্রতিবন্ধীরা

-

সুস্থ ও স্বাভাবিক শিশুদের পাশাপাশি শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী শিশুরাও সমাজেরই অংশ। তবে প্রতিবন্ধকতা থাকায় সুস্থ ও স্বাভাবিক বাচ্চাদের তুলনায় শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ জটিল। এমনকি প্রায়ই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে হয় অনেককে। একইভাবে ধর্মীয় শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত হতে হয় শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের। আর এই সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকেই সাংকেতিক ভাষায় শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পবিত্র কুরআন শিক্ষা দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার একটি স্কুল।
ইন্দোনেশিয়ার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা কিভাবে প্রায়ই ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় সে সম্পর্কে উদ্বেগ থেকেই একটি ইসলামিক বোর্ডিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আব্দুল কাহফি নামে দেশটির এক ধর্মগুরু। মূলত সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন এবং তেলাওয়াতে সহায়তা করতেই ওই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। আব্দুল কাহফি নামে ইন্দোনেশীয় ওই ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের নাম দারুল আ’শোম। ২০১৯ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির মধ্য জাভার যোগিয়াকার্তা শহরে স্কুলটি চালু করা হয়। স্কুলটিতে এখন ১২ জন স্টাফ রয়েছেন এবং বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের ১১৫ জন শিক্ষার্থীকে সেখানে পবিত্র কুরআন শিক্ষা দেয়া হয়। এসব শিক্ষার্থীর বয়স সাত বছর থেকে ২৮ বছরের মধ্যে।
আব্দুল কাহফির আশা, স্কুলটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ইসলাম সম্পর্কে জানা আরো সহজ করে তুলবে। তার স্কুলের প্রতি আগ্রহ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আজকাল শ্রবণপ্রতিবন্ধী প্রাপ্তবয়স্করা খুব কমই ধর্মকে গভীরভাবে জানে কারণ স্কুল বয়স থেকে তারা কখনোই এটি সম্পর্কে শেখেনি।’ ইন্দোনেশিয়ায় পাবলিক স্কুলের পাঠ্যক্রমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য সীমিত ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করা হয়ে থাকে। মূলত কিন্ডারগার্টেনের পরিবর্তে আট বা ৯ বছর বয়সে এই ধরনের শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা শুরু হয়।


আরো সংবাদ



premium cement