২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ইউক্রেনের গম বের করে আনতে রাশিয়ার সাথে আলোচনায় তুরস্ক

-

বসফরাস প্রণালী দিয়ে ইউক্রেনে পড়ে থাকা খাদ্যশস্য বের করে আনতে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের সাথে আলোচনা শুরু করেছে তুরস্ক। তুরস্কের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বৃহস্পতিবার এ খবর জানান। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু পর রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেইনের সব বন্দর অবরোধ করে রেখেছে। ফলে সমুদ্র পথে ইউক্রেনের রফতানি শূন্যে নেমে এসেছে। এ দিকে দেশটির বিভিন্ন গুদামে পড়ে নষ্ট হচ্ছে দুই কোটি টনের বেশি গম। বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শস্য উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশ ইউক্রেন। রাশিয়া ও ইউক্রেন মিলে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ গমের জোগান দেয়। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন থেকে গমসহ অন্যান্য খাদ্যশস্য রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার নেতিবাচক প্রভাব পুরো বিশ্বের ওপরই পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাদ্যসঙ্কট। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম।
এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ইউক্রেনে পড়ে থাকা ওই গম বের করতে দিতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। জবাবে মস্কো বলেছে, আগে রাশিয়ার ওপর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। তারপর গম বের করে আনার অনুমতি দেয়া হবে। কৃষ্ণ সাগরে তুরস্কের দুই প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেন ও রাশিয়া। দুই দেশের সাথেই তুরস্কের সুসম্পর্ক রয়েছে। যদিও তুরস্ক ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সমালোচনা করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তুরস্কের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে শস্য রফতানির জন্য তুরস্ক রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। ‘তুরস্ক থেকে একটি করিডোর খুলে, যেখানে ওই শস্যের চাহিদা আছে সেগুলোকে সেইসব বাজারে পৌঁছে দেয়া। এখনো আলোচনা চলছে।’
এ বিষয়ে জানতে রয়টার্স থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তার কার্যালয় থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে অবগত আছেন এমন দুই কর্মকর্তাও ইউক্রেন থেকে শস্য বের করে আনতে সাহায্য করতে তুরস্কের আলোচনা শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের একজন বলেন, যদিও তুরস্ক নেটোর সদস্য। কিন্তু রাশিয়া এ জোটের অন্যান্য পশ্চিমা সদস্যদের তুলনায় তুরস্ককে বেশি ‘নিরপেক্ষ’ মনে করে। একদিন আগে বুধবার একজন শীর্ষ ইউরোপীয় কূটনীতিকও একই কথা বলেছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কূটনীতিক বলেছিলেন, ‘ওডেসা থেকে কৃষ্ণ সাগর হয়ে এই ধরনের রফতানি পর্যবেক্ষণে অবদান রাখতে তুরস্ক প্রস্তুত আছে। কারণ, ঐতিহ্যগতভাবে কৃষ্ণ সাগরে তুরস্কের অবস্থান খুবই শক্তিশালী এবং তারা সাহায্য করতে প্রস্তুত।’ কৃষ্ণ সাগরে তুরস্কের দুইটি রণতরী, দুইটি সাবমেরিন, ছয়টি টহল এবং দ্রুত আঘাত হানতে সক্ষম জাহাজ মোতায়েন করা আছে।


আরো সংবাদ



premium cement