২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তুরস্কের মনোভাব বদলাতে আত্মবিশ্বাসী যুক্তরাষ্ট্র

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে আপত্তি
-

 

সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটো জোটে যোগদান নিয়ে তুরস্কের মনোভাব ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে আঙ্কারার সাথে কথা বলেছে এবং আত্মবিশ্বাসী রয়েছে যে বিরোধ অচিরেই নিরসন সম্ভব হবে। ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন বলেছে যে তারা ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের ফলে উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থায় (ন্যাটো) যোগদানের জন্য আগ্রহী হয়েছে। এর ফলে উভয় দেশই কয়েক প্রজন্ম ধরে সামরিকভাবে কোনো পক্ষ অবলম্বনের বজায় রাখা নীতি থেকে সরে এসেছে।
গত সপ্তাহে ওই পদক্ষেপের বিরোধিতার ঘোষণা দিয়ে ন্যাটো মিত্রদের অবাক করে দেয় তুরস্ক। কুর্দি যোদ্ধাদের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারে সুইডেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আঙ্কারা। এসব যোদ্ধাদের সন্ত্রাসী গ্রুপ বলে বিবেচনা করে তুরস্ক। এ ছাড়া আঙ্কারা তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেও চাপ দেয়।
সমস্যাটি আনুষ্ঠানিকভাবে সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও তুরস্কের মধ্যে হলেও অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান এই সময় ব্যবহার করে ওয়াশিংটনকে দীর্ঘস্থায়ী কিছু ইস্যু সমাধানের জন্য চাপ দিতে পারেন যা দুই ন্যাটো মিত্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলেছে।
এ সব ইস্যুর মধ্যে রয়েছে সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধ করা। এদের সন্ত্রাসী হিসেবে দেখে আঙ্কারা। রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার পর আঙ্কারার ওপর আরোপ করা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং মার্কিন এফ-১৬ বিমান কেনায় আঙ্কারার অনুরোধে সাড়া দেয়া। গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের ন্যাটো যোগদান নিয়ে তুরস্কের মনোভাবের প্রশ্নটি যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়।’

 


আরো সংবাদ



premium cement