১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লেবাননে সেনা নিরাপত্তায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

-

লেবাননে সাধারণ নির্বাচনে গতকাল রোববার ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের জনগণের ব্যাপক বিক্ষোভের পর প্রথমবারের মতো দেশটির প্রায় চার লাখ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে দেশজুড়ে ভোট কেন্দ্রের দরজা খুলে দেয়া হয়। কঠোর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল সেনাবাহিনী।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৭১৮ জন প্রার্থী। পার্লামেন্টের আসন ১২৮টি। নাগরিকদের ভোট দেয়ার বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ বছর। গত শনিবার এক বিবৃতিতে লেবাননের সেনাবাহিনী ঘোষণা দেয়, তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে রাজধানী বৈরুতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৬ মে লেবাননে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৪৯ শতাংশ। ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কটে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে লেবানন। মুদ্রার মান পড়ে যাওয়ার পাশাপাশি জ্বালানি ও চিকিৎসা খাতে ব্যাপক সঙ্কট দেখা দেয়।
গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে লেবাননে বড় আকারের সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে গ্যাস এবং তামাকের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। পাশাপাশি বার্তা প্রেরক একটি মোবাইল অ্যাপের ওপর নতুন করে ট্যাক্স বসানোয় বিক্ষোভ জোরালো হয়। অর্থনীতিক স্থবিরতা, বেকারত্ব, সাম্প্রদায়িক এবং বংশগত রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সেই বিক্ষোভ গণবিপ্লবে পরিণত হয়। পানি, বিদ্যুৎ ও স্যানিটেশনের মতো অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা প্রদানে সরকারের অক্ষমতার দরুণ ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি পদত্যাগ করেন।
ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর হাসান দিয়াবকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। তবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হতেই থাকে। ২০২০ সালের শেষ নাগাদ দেশটির সরকারের ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। ছয় মাসে লেবানিজ পাউন্ডের মূল্য ৭০ শতাংশ অবনতি হয়েছে। জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ বেকার হয়ে পড়ে। অধিকার আদায়ে বৈরুতসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এসব থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্যেই দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement