যুক্তরাষ্ট্রে সিনাগগের পণবন্দীরা মুক্ত, বন্দুকধারী নিহত
- আলজাজিরা
- ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের পণবন্দী সঙ্কটের সমাধান হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বন্দুকধারী নিহত হয়েছেন এবং তার হাতে পণবন্দী ইহুদিরা মুক্তি পেয়েছেন। নিহত বন্দুকধারী পাকিস্তানি স্নায়ুবিজ্ঞানী আফিয়া সিদ্দিকির মুক্তি চেয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস প্রদেশে অবস্থিত একটি সিনাগগে (ইহুদি উপাসনালয়) মোট চার ইহুদিকে পণবন্দী করেন এক বন্দুকধারী ব্যক্তি। পরে প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে ওই সিনাগগে ইহুদিদের ধর্মাচার বন্ধ থাকে। এ ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি সংগঠন এবং ইসরাইল সরকারের পক্ষ থেকে কড়া উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন পুলিশ ওই স্থানে যায় এবং তারাও একটি অচলাবস্থার মধ্যে পড়ে।
পণবন্দী উদ্ধারের ঘটনায় নিয়োজিত এফবিআই কর্মকর্তারা কনগ্রেগেশন বেথ ইসরাইল নামক সিনাগগে ব্যাপক অভিযান চালান। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় সিনাগগে অভিযান চালানোর আগে এক ইহুদি পণবন্দীকে নিরাপদে মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, তারা গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছেন। এরপর ওই ইহুদি পণবন্দীদের নিরাপদে মুক্ত করা হয় এবং বন্দুকধারী ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়।
ডালাসে এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট ম্যাট ডিসারনো বলেছেন, চার পণবন্দীর মধ্যে ছিলেন স্থানীয় পর্যায়ে সবার প্রিয় রাবি চার্লি কাইট্রোন-ওয়াকার। তবে তাদের কারো জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। সহসাই তারা পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হতে পারবেন। সন্দেহজনক ব্যক্তি তাদের কোনো ক্ষতি করেনি। ইহুদি পণবন্দীদের মুক্তি পাওয়ার ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত, বিভিন্ন ইহুদি সংগঠন ও টেক্সাস প্রদেশের গভর্নর। ওই বন্দুকধারী নিজেকে আফিয়া সিদ্দিকীর ভাই বলে পরিচয় দেন এবং ওই পাকিস্তানি নারীবিজ্ঞানীর মুক্তি চান।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও মুসলিমদের সম্পর্ক নিয়ে কাজ করা সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের নির্বাহী পরিচালক বলেন, আফিয়া সিদ্দিকীর ভাই মোহাম্মদ সিদ্দিকী এ কাজে জড়িত না। আর নিহত ব্যক্তিও তার কোনো আত্মীয় না। আফিয়া সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের অভিযোগ তিনি আফগানিস্তানে অবস্থান করার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের হত্যার চেষ্টা করেছেন। যদিও পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ বিষয়টিকে অন্য দৃষ্টিতে দেখেন। তারা মনে করেন আফিয়া ষড়যন্ত্রের শিকার।
তার মুক্তি দাবি করে এভাবে ইহুদিদের পণবন্দী করার বিরুদ্ধে সতর্কতা দিয়েছেন আফিয়ার আইনজীবীরা। তারা পণবন্দী সঙ্কটের অবসান দাবি করে বলেছেন, এ কর্মকাণ্ডের ফলে আফিয়ার মুক্তি বিঘিœত হবে। তবে সন্দেহজনক ওই জিম্মিকারীর দাবি সম্পর্কে নিশ্চিত নন এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট। প্রথমদিকে এবিসির রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বন্দুকধারী ব্যক্তি হলেন আফিয়া সিদ্দিকীর ভাই। পরে তারা পরিষ্কার করে জানায়, আফিয়ার ভাই বসবাস করেন হাউজটনে।
পাকিস্তানি বিজ্ঞানী আফিয়া সিদ্দিকী আল কায়েদার অপারেটিভ হিসেবে অভিযুক্ত হয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে জেল খাটছেন। তবে তার সমর্থকরা জানান, তিনি নিরপরাধ। তাকে অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ম্যানহাটানের এক আদালতে ২০১০ সালে তাকে অভিযুক্ত করে ৮৬ বছরের জেল দেয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়, তিনি চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাকর্মকর্তাদের গুলি করা হোক। এ অভিযোগে অভিযুক্ত করার দু’বছর আগে ২০০৮ সালে তাকে আটক করা হয়েছিল আফগানিস্তান থেকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা