২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

২৭ রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারের পাল্টা পদক্ষেপ

যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো কূটনীতিকদের বহিষ্কার রাশিয়ার
-

রাশিয়ায় মার্কিন দূতাবাসের যেসব কর্মকর্তা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে রয়েছেন, তাদেরকে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রাশিয়া ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে মস্কো। দুই দেশের সাম্প্রতিক কূটনৈতিক তিক্ততার মধ্যে গত সপ্তাহে রাশিয়ার ২৭ জন কূটনীতিককে তাদের পরিবারের সদস্যসহ ৩০ জানুয়ারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন সরকার। পাশাপাশি এ বিষয়ক সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব কূটনীতিককে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, তারা পরবর্তী তিন বছর যুক্তরাষ্ট্রে কূটনীতিক হিসেবে কাজ করতে পারবেন না।
এক সপ্তাহের মধ্যেই তার পাল্টা ব্যবস্থা নিলো রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মার্কিন দূতাবাসের যেসব কর্মকর্তা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মস্কোতে আছেন, তাদের আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে রাশিয়া ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের কূটনীতিকদের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে, তাতে বাধ্য হয়েই এই নির্দেশ দিচ্ছে সরকার।’ যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার কূটনীতিকদের ওপর যে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রত্যাহার না করা হলে মস্কো আরো কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মারিয়া জাখারোভা।
এ সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ‘যদি ২০২১ সালের ১ জুলাইয়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করে, সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যতজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে, তার চেয়েও বেশিসংখ্যক মার্কিন নাগরিক, যারা বর্তমানে কর্মসূত্রে রাশিয়ায় আছেনÑ তাদের বহিষ্কার করা শুরু করবে মস্কো।’ মস্কোর মার্কিন দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে রয়টার্সকে প্রতিক্রিয়া জানাতে সম্মত হননি। গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক উত্তরোত্তর খারাপ হচ্ছে।
২০১৭ সালেও যেখানে মস্কো ও রাশিয়ার অন্যান্য প্রদেশে কর্মরত মার্কিন কূটনীতির সংখ্যা ছিল এক হাজার ২০০, সেখানে বর্তমানে দেশটিতে কর্মরত আছেন মাত্র ১২০ জন মার্কিন কূটনীতিক। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে রাশিয়ায় কয়েকটি মার্কিন কনসুলেট বন্ধ করেছে ওয়াশিংটন। এগুলোর মধ্যে ভøাদিভস্তক ও ইয়েকাতেরিনবার্গের মতো গুরুত্বপূর্ণ কনসুলেটও আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কয়েক দশকজুড়ে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চরম তিক্ততা চলেছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির ভাষায় এই তিক্ততাকে বলা হয় শীতল যুদ্ধ বা কোল্ডওয়ার।
১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর কয়েক বছরে দুই দেশের মধ্যকার তিক্ততার কিছুটা প্রশমন হয়েছিল; কিন্তু একসময়ের সোভিয়েত অঙ্গরাজ্য ও বর্তমানের স্বাধীন দেশ ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে রাশিয়ার সামরিক স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফের তিক্ততা শুরু হয়েছে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে।


আরো সংবাদ



premium cement
সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবার কবরে শুয়ে ছেলের প্রতিবাদ ইসরাইলি হামলায় গাজায় আরো ৭১ জন নিহত পানছড়ি উপজেলায় চলমান বাজার বয়কট স্থগিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছে : দুদু যুক্তরাষ্ট্র টি-টোয়েন্টি দলে নিউজিল্যান্ডের এন্ডারসন লড়াই ছাড়া পথ নেই : নোমান জার্মানির অর্থ যেভাবে সিরিয়ায় যুদ্ধাপরাধে ব্যবহার হচ্ছে জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেনের মেয়াদ বাড়ল

সকল