২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তাইওয়ান আক্রান্ত হলে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র চুপ থাকবে না

চীনকে উদ্দেশ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে
-

চীন যদি তাইওয়ানকে আক্রমণ করে তাহলে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না, বেইজিংকে এটি বুঝতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তাইওয়ানি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল পলিসি রিসার্চ’-এর আয়োজিত ফোরামে বুধবার অনলাইনে যোগ দিয়ে আবে এসব কথা বলেন। স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে চীন। সম্প্রতি গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত এই দ্বীপটির ওপর চীনের সার্বভৌমত্বের দাবি সোজাসুজি জানাতে শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এর প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের সরকার বলেছে, তারা শান্তি চায়; কিন্তু প্রয়োজন হলে আত্মরক্ষা করবে। ফোরামে দেয়া বক্তব্যে আবে বলেন, জাপানের সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ (এটিকে দিয়াওয়ু দ্বীপপুঞ্জ বলে চীন), সাকিশিমা দ্বীপপুঞ্জ এবং ইয়োনাগুনি দ্বীপ তাইওয়ান থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটারের মতো দূরে অবস্থিত। তাইওয়ানে একটি সশস্ত্র আক্রমণ জাপানের জন্যও একটি মারাত্মক বিপদ হয়ে উঠতে পারে।
আবে বলেন, ‘তাইওয়ানের জরুরি অবস্থা জাপানেরও জরুরি অবস্থা, কাজেই এটি জাপান-যুক্তরাষ্ট্র জোটের জন্যও জরুরি অবস্থা। বেইজিংয়ের লোকজন, নির্দিষ্টভাবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এটি না বোঝার কথা নয়।’ জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বড় ধরনের সামরিক ঘাঁটি আছে। এর একটি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ওকিনাওয়ায়, যেখান থেকে আকাশপথে তাইওয়ানের দূরত্ব অল্প। তাইওয়ানে চীনের কোনো আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ার ক্ষেত্রে এই ঘাঁটিটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
চীনের সাথে যুদ্ধ শুরু হলে তাইওয়ানকে সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনী পাঠাবে কি না, তা নিয়ে অস্পষ্টতা থাকলেও আইন অনুযায়ী তাইওয়ানের আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিতে বাধ্য।
তাইওয়ানের বর্তমান স্থিতাবস্থা পাল্টানোর চেষ্টায় চীন যদি শক্তি প্রয়োগ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অনির্দিষ্ট ‘পদক্ষেপ’ নিতে পারে বলে গত মাসে সতর্ক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। গত বছর ক্ষমতা ছাড়লেও আবে এখনো জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সবচেয়ে বড় উপদলের প্রধান, তাই দলের মধ্যে তার প্রভাবও বজায় আছে।


আরো সংবাদ



premium cement