২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইব্রাহিমি মসজিদে ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের সফরে সৌদি আরব-ওআইসি-আরবলিগের নিন্দা

-

ইব্রাহিমি মসজিদে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও আরবলিগ। হারজগের এই পদক্ষেপকে উসকানি এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার, তাদের ভূমি ও পবিত্র স্থানের ওপর ইসরাইলি হামলার ধারাবাহিকতার অংশ বলে নিন্দা করেছে তারা।
দখলকৃত পশ্চিম তীরের ইব্রাহিমি মসজিদে ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের সফরের নিন্দা করেছে সৌদি আরব। পাশাপাশি এটিকে ওই স্থানের পবিত্রতার স্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও অভিহিত করেছে দেশটি। ইসরাইলি সরকার ও তার কর্মকর্তাদের ইসলামের পবিত্র স্থানকে কেন্দ্র করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য সৌদি আরব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওআইসি এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনের পবিত্র ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোকে রক্ষা করা এবং ইসরাইলি দখলদার কর্তৃপক্ষকে পবিত্র স্থানগুলোর পবিত্রতাকে সম্মান করতে বাধ্য করার জন্য জরুরিভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। ইব্রাহিমি মসজিদে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজাক জারজগের সফরের কড়া নিন্দা জানিয়েছে আরবলীগও। পাশাপাশি পবিত্র ওই মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি। আরবলীগ সতর্ক করে বলেছে, দখলদার কর্তৃপক্ষ ইসলামিক এবং খ্রিষ্টানদের পবিত্র স্থাপনাগুলোকে ক্রমাগত ইহুদিকরণ করছে। এমন এক সময়ে প্রেসিডেন্ট ওই সফরে গেছেন। এটা মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত এবং মুসলিমদের মধ্যে উসকানি সৃষ্টি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এসব তথ্য দিয়েছে ফিলিস্তিন সরকারের বার্তা সংস্থা ওয়াফা। উপরন্তু হেব্রন, বিশেষ করে ইব্রাহিমি মসজিদ ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের আগ্রাসের মুখে আছে বলে এর মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। আরব লিগ বলেছে, ইসরাইলের প্রেসিডেন্টের হেব্রন সফর তার আরেকটি উদাহরণ। এটা ফিলিস্তিনি জনগণ, তাদের অধিকার এবং পবিত্রতার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের উদাহরণ।
ইহুদিদের হানুকাহ উৎসব উদযাপনের জন্য গত রোববার ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট পশ্চিম তীরের শহর হেব্রনের ইব্রাহিমি মসজিদে গিয়েছিলেন। একটি মোমবাতি জ্বালানো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বিপুলসংখ্যক ইসরাইলি পুলিশ নিয়ে তিনি ওই মসজিদে প্রবেশ করেন। ইব্রাহিমি মসজিদের পরিচালক শেখ হেফথি আবু স্নেইনা বলেন, ইসরাইলি বাহিনী সেখানে প্রবেশ করে মসজিদটি বন্ধ করে দেয় এবং ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের সেখানে প্রবেশে বাধা দেয়। এ ঘটনায় ওআইসি বলেছে, ইসরাইলি প্রেসিডেন্টের সফর ইব্রাহিমি মসজিদকে ইহুদিকরণ এবং এর ওপর দখল শক্ত করার ইসরাইলি পরিকল্পনার অংশ।


আরো সংবাদ



premium cement