২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পতিতাবৃত্তি বিলুপ্তির প্রতিশ্রুতি স্পেনের

এ পেশা নারীদের দাসে পরিণত করে বলে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর
-

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ আইন করে দেশে যৌনপেশা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রোববার ভ্যালেন্সিয়ায় তার দল সোস্যালিস্ট পার্টির তিন দিনের কংগ্রেস শেষে সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। যৌনপেশা নারীদের ‘দাসে’ পরিণত করে বলে মন্তব্য করেছেন সানচেজ। স্পেনে ১৯৯৫ সালে যৌনপেশার ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়। ২০১৬ সালে জাতিসঙ্ঘের এক হিসাবে বলা হয়, দেশটির যৌন খাত ৩.৭ বিলিয়ন ইউরোর শিল্পে পরিণত হয়েছে।
২০০৯ সালে করা এক জরিপে দেখা যায়, প্রতি তিনজন স্পেনীয় পুরুষের মধ্যে একজন যৌনতার জন্য অর্থ খরচ করেন। এরপর ওই একই সালে প্রকাশিত আরেকটি রিপোর্টে যৌনতার জন্য অর্থ খরচ করা পুরুষের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ বলে ধারণা দেয়া হয়েছিল। ২০১১ সালে জাতিসঙ্ঘের এক সমীক্ষায় বিশ্বে পুয়ের্তো রিকো ও থাইল্যান্ডের পর স্পেনকে যৌনপেশার তৃতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
স্পেনে যৌনপেশা এখন অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আছে, যারা স্বেচ্ছায় যৌনসেবার জন্য অর্থ নিয়ে থাকেন সেখানে তাদের জন্য কোনো শাস্তির বিধান নেই যদি না সেটি প্রকাশ্য স্থানে ঘটে থাকে। তবে যৌনকর্মী ও সম্ভাব্য ক্রেতার মধ্যে দালালি করা অবৈধ। বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর থেকে দেশটিতে এই খাতের ব্যাপক প্রসার ঘটে। স্পেনে প্রায় তিন লাখ নারী যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করেন বলে সাধারণভাবে ধারণা করা হয়।
২০১৯ সালে সানচেজের পার্টি নির্বাচনী ইস্তাহারে যৌনপেশাকে বেআইনি ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আরো বেশি নারী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে এ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে বলে তখন ধারণা করা হয়েছিল। ওই ইশতেহারে যৌনপেশাকে ‘দারিদ্র্যের নারীত্বকরণের অন্যতম নিষ্ঠুর দিক এবং নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অন্যতম খারাপ রূপ’ বলে অভিহিত করা হয়েছিল; কিন্তু নির্বাচনের পর দুই বছর পার হয়ে গেলেও ওই প্রতিশ্রুতি পালনে কোনো আইন করা হয়নি।
স্পেনের বর্তমান ব্যবস্থার সমর্থকরা বলছেন, এই ব্যবসায় কাজ করা নারীদের জন্য এটি বিশাল সুবিধা নিয়ে এসেছে এবং তাদের জীবন নিরাপদ করেছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে পাচার করে নিয়ে আসা নারীদের যৌনকাজে নিয়োজিত করার সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement