শেখ জাররাহে ভাড়া দিয়ে থাকতে হবে ফিলিস্তিনিদের
- হারেৎজ, আলজাজিরা ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড
- ০৩ আগস্ট ২০২১, ০১:২৩
অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জেরুসালেমের শেখ জাররাহ মহল্লায় থাকা ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের ভাড়ার শর্তে ‘সুরক্ষিত বাসিন্দা’ হিসেবে থাকার প্রস্তাব দিয়েছেন ইসরাইলের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শেখ জাররাহ থেকে ছয় ফিলিস্তিনি পরিবারকে উচ্ছেদের এক আপিল শুনানিতে ঘোষিত রায়ে এই প্রস্তাব দেন আদালত।
আদালতের রায়ে বলা হয়, শেখ জাররাহে থাকা ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের ‘সুরক্ষিত বাসিন্দার’ স্বীকৃতি দেবে ইসরাইল। তাদেরকে ওই মহল্লা থেকে কখনোই উচ্ছেদ করা হবে না। তবে এর জন্য তাদেরকে ‘ভাড়াবাবদ সামান্য অর্থ’ ইসরাইলি বসতিস্থাপনকারী সংস্থা নাহালাত শিমনকে দিতে হবে।
তবে ফিলিস্তিনিরা এই প্রস্তাব আগেই প্রত্যাখ্যান করে রেখেছেন। তারা শেখ জাররাহ মহল্লায় তাদের বসতবাড়ির মালিকানার দাবি জানিয়ে আপিল করেছিলেন। এর আগে গত এপ্রিলে জেরুসালেমের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট (ইসরাইল পরিচালিত) শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ছয় ফিলিস্তিনি পরিবারকে উচ্ছেদের আদেশ দেয়। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো রায়ের বিপক্ষে ইসরাইলি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। গত ১০ মে আপিল আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও ওই সময়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তা স্থগিত করা হয়। শেখ জাররাহ মহল্লা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে পশ্চিম তীর, গাজাসহ ইসরাইলের অভ্যন্তরের ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ শুরু করেন। জেরুসালেমের মসজিদুল আকসাসহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনিদের এই বিক্ষোভে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালায়। মসজিদুল আকসার ভেতরে ইসরাইলি হামলার জেরে গাজা নিয়ন্ত্রণকারী স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। থ১০ মে থেকে টানা ১১ দিনের সংঘর্ষের পর ২১ মে থেকে দুই পক্ষের মধ্যে মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব জেরুসালেম জর্দানের নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা