২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্ট

গাজায় স্পষ্টত যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরাইল

ইসরাইলি কাস্টডিতে ফিলিস্তিনিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
-

মে মাসে গাজা সঙ্ঘাতে ইসরাইলের সেনাবাহিনী স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে এক রিপোর্টে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। মঙ্গলবার এক তদন্ত রিপোর্টে এই দাবি করেছে সংস্থাটি। এইচআরডব্লিউ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরাইলি তিনটি হামলায় ৬২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এই হামলার লক্ষ্যস্থলের আশেপাশে কোনো সামরিক টার্গেটের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ইসরাইলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজায় শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। রিপোর্টে ইসরাইলি ভূখণ্ডে হামাসের ছোড়া চার হাজার ৩০০টি রকেট বেসামরিকদের বিরুদ্ধে নির্বিচার আক্রমণ ছিল। মে মাসে ইসরাইল ও হামাসের ১১ দিনের সঙ্ঘাতে গাজায় অন্তত ২৬০ ও ইসরাইলে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, সঙ্ঘাতে গাজায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ১২৯ জন বেসামরিক নাগরিক। যদিও ইসরাইলের দাবি, তাদের অভিযানে ২০০ হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে। আর হামাস তাদের ৮০ জন যোদ্ধা নিহতের কথা স্বীকার করেছে।
এইচআরডব্লিউ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে তিনটি হামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর কাছাকাছি কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সুনির্দিষ্ট সামরিক স্থাপনায় হামলা হলে বেআইনি বলা যায় না এই তিনটি তেমন ছিল না। এই রিপোর্টের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, তারা দখলদার ইসরাইল কর্তৃক হত্যাকাণ্ডের পরও বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেছে।
ফিলিস্তিনিকে পিটিয়ে হত্যা
ইসরাইলি কাস্টডিতে মৃত এক ফিলিস্তিনির পরিবার জানিয়েছে, কারাগারে মৃত্যুর আগে তাকে পিটিয়েছে ইসরাইলের সেনারা। মৃত্যুর পর তার ছবি ও অপর আটক ব্যক্তিদের বক্তব্যের ভিত্তিতে এই অভিযোগ করেছে পরিবারটি। আলজাজিরা এখবর জানিয়েছে। ২৩ জুলাই পশ্চিম জেরুসালেমে আবু ইউসুফ আল খাতিব আল তামিমি নামের এই ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয় কুখ্যাত মস্কাবিয়া কারাগারে। চার সন্তানের বাবা আল তামিমি দখলকৃত পূর্ব জেরুসালেমের শুয়াফাত শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা। কয়েক দিন আগে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল।
তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রানা জানান, কারাগারের বন্দীরা পরিবারকে জানিয়েছেন মৃত্যুর আগে আল তামিমিকে মারধোর করে ইসরাইলি সেনারা। কারাগারে নেয়ার সময় তিনি সুস্থ ছিলেন, কোনো স্বাস্থ্য জটিলতা ছিল না। মৃত্যুর পর আল তামিমির শরীরের কয়েকটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে। এতে তার মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, আঘাতের স্থানে সেলাই করা হয়েছে। হাঁটুতেও রক্তাক্ত ক্ষত রয়েছে। সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement