আফগানিস্তানে প্রকৃত ইসলামী ব্যবস্থা চায় তালেবান
তালেবানের প্রভাব ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে ২ মন্ত্রীকে অপসারণ প্রেসিডেন্টের- রয়টার্স ও আলজাজিরা
- ২১ জুন ২০২১, ০০:৪৯
আফগান সরকারের সাথে শান্তি আলোচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছে তালেবান। একই সাথে তারা এটাও বলেছে যে, তারা চায় আফগানিস্তানে প্রকৃত ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হোক। যেখানে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ধর্মীয় বিধি অনুসারে নারীদের অধিকারের বিধান তৈরি করা হবে। গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে তালেবান রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বারাদার বলেন, আমরা বুঝতে পারি যে বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের পরে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া সিস্টেমটির রূপ সম্পর্কে বিশ্ব এবং আফগানদের মাঝে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। দোহায় আলোচনার সময় ইস্যুগুলো ভালোভাবে সমাধান করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, একটি প্রকৃত ইসলামী ব্যবস্থা আফগানদের সব সমস্যার সমাধানের সর্বোত্তম উপায়। তা ছাড়া শান্তি আলোচনায় আমাদের অংশীদারিত্ব এবং এর পক্ষে সমর্থন প্রকাশ্যভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, আমরা পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে ইস্যুটি সমাধানে বিশ্বাসী। বিবৃতিটি এমন সময়ে এলো যখন কাতারে তালেবান ও আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনায় ধীর অগ্রগতির হচ্ছে এবং ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের আগেই দেশজুড়ে সহিংসতা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শান্তি আলোচনার ধীরগতি নিয়ে কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বলছেন, তালেবান এখনো কোনো লিখিত শান্তি প্রস্তাব জমা দেয়নি, যা মূল আলোচনার সূচনাকারী পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। বিবৃতিতে মোল্লা আবদুল গনি বারাদার উল্লেখ করেন, প্রকৃত ইসলামী ব্যবস্থার অধীনে নারী ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষিত করা হবে এবং কূটনীতিক ও এনজিও কর্মীরা নিরাপদে কাজ করতে সক্ষম হবেন। আমরা আফগানিস্তানের নাগরিকদের সব অধিকারকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি হিসেবে এটি বলছি। তারা পুরুষ হোক কিংবা নারী, গৌরবময় ইসলাম ধর্ম এবং আফগান সমাজের মহৎ ঐতিহ্যের বিধিবিধানের আলোকে সবার অধিকার রক্ষা করা হবে। নারীদের কাজ এবং তাদের শিক্ষিত করার জন্য সব সুবিধা সরবরাহ করা হবে।
দুই মন্ত্রীকে অপসারণ
তালেবানের প্রভাব বাড়তে থাকার মুখে নিরাপত্তাবিষয়ক দুই মন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। গত কয়েক সপ্তাহে তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের ৪০টি জেলা দখল করেছে। শনিবার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেনারেল বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মদী নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। আসাদুল্লাহ খানকে সরিয়ে বিসমিল্লাহ খানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন তিনি।
অন্য দিকে জেনারেল আবদুস সাত্তার মির্জাকওয়ালকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। এর আগে কয়েকটি আঞ্চলিক দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তালেবানের সাথে আফগানিস্তানের শান্তির প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা চলে আসছে। কিন্তু লাভ খুব একটা হচ্ছে না। ওদিকে দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত এপ্রিলের মাঝামাঝি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী, ১ মে থেকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু। আর আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা