কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় ভূমিকা নেবে তুরস্ক : ওয়াশিংটন
- আনাদোলু ও আলজাজিরা
- ১৯ জুন ২০২১, ০০:১৫
ন্যাটোবাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগের পর কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় প্রধান ভূমিকা নেবে তুরস্ক। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেক সুলিভান সাংবাদিকদের জানান, সোমবার বাইডেন-এরদোগান বৈঠকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কথা হয়েছে দুই নেতার। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটি থেকে মার্কিন বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহারের আগেই আফগানিস্তানে তার্কিশ মিশন প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নিশ্চিত করতে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন দুই নেতা।
তিনি বলেন, এরদোগান ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাদের কিছু সহায়তা প্রয়োজন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনও এসব সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। উভয়েই তাদের টিমকে এ ব্যাপারে বিশদভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কাবুলের বিমানবন্দর নিরাপত্তায় তুরস্ক মুখ্য ভূমিকা নেবে; এ ব্যাপারে দুই নেতার অবস্থান স্পষ্ট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো আফগানিস্তানে তুরস্কের উপস্থিতি দেখতে চায়। তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। ওয়াশিংটন কিছু বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
এ দিকে কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনা করতে তুরস্ক যে প্রস্তাব দিয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান। তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেছেন, ২০২০ সালের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে তুরস্কের উচিত নিজেদের সেনাদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা। রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তালেবানের মতামত জানতে চাইলে দোহাভিত্তিক এক মুখপাত্র জানান, ২০ বছর ধরে তুরস্ক ন্যাটোর অংশ ছিল। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী তুর্কি সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়তে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা