২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় মুসলিম দেশের সাথে সম্পর্ক চায় ইসরাইল

-

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক স্থাপনে উদগ্রীব ইসরাইল। সম্প্রতি গাজায় ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানালেও এসব দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত সাগি কারনি। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এই মন্তব্য করেন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেই। মে মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় টানা ১১ দিনের ইসরাইলি বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দেশ তিনটি জাতিসঙ্ঘকে বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এই নৃশংসতা বন্ধে হস্তক্ষেপ নেয়ার জন্য। ইসরাইলের সাথে আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক এই তিনটি দেশের। তাদের পক্ষ থেকে ইসরাইলের দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ফিরিয়ে দিয়ে ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসারে দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে। সিঙ্গাপুরে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত সাগি কারনি বলেন, তিনটি দেশের সমালোচনা সৎ না এবং সঙ্ঘাতের প্রকৃতিতে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। তার দাবি, এই সঙ্ঘাত ছিল ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে নয়। ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত বলেন, হামাস একটি ইহুদিবিদ্বেষী সংগঠন। আমি নিশ্চিত নই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিতর্কে অংশ নেয়া মানুষেরা সত্যিকার অর্থে হামাসের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা রাখেন কি না।
হামাস বরাবরাই ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগের কথা অস্বীকার করে আসছে। কারনি জানান, ইসরাইল স্বীকার করেছে ১১ দিনের হামলায় বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু ঘটেছে।
কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটছে সেটাতে কার্যকর প্রভাব রাখতে হলে যে কোনও পক্ষের জন্য একমাত্র উপায় হলো ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা। তিনি বলেন, আমরা আলোচনায় রাজি, আমরা বৈঠকে আগ্রহী এবং আমাদের দরজা উন্মুক্ত। আমি মনে করি না আমাদের খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও মিয়ানমারে ইসরাইলি দূতাবাস রয়েছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চারটি আরব দেশÑ সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কো ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement