২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগানিস্তানে নতুন সামরিক সরঞ্জাম পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

সেনা প্রত্যাহার নিরাপদ করতে এ পদক্ষেপ
-

সেনা প্রত্যাহারকে নিরাপদ করতে আফগানিস্তানে অতিরিক্ত সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র। সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটিতে থেকে যাওয়া আমেরিকান ও জোট শক্তির সুরক্ষায় এসব সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। সেনাসদস্য এবং বেসামরিক কন্ট্রাক্টরদের রক্ষায় মোতায়েন করা হচ্ছে বোমারু এবং যুদ্ধবিমান।
আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর ধরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোটের সেনাসদস্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটি থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এই ঘোষণার পরও দেশটিতে সহিংসতা বাড়ছে। প্রতিশোধমূলক হামলা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী।
তালেবান কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে তারা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ রাখতে এখন আর চুক্তিবদ্ধ নেই। গত বছর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে তাদের স্বাক্ষরিত এক চুক্তিতে এই বছরের ১ মের মধ্যে মার্কিন বাহিনীর আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এই সময় পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাহিনীর ওপর হামলা বন্ধ রাখে তালেবান।
যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলে জানিয়েছেন, আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে থাকা দুই হাজার পাঁচ শ’ সেনাসদস্য এবং ১৬ হাজার বেসামরিক কন্ট্রাক্টরের সুরক্ষায় দেশটিতে ছয়টি দীর্ঘ পাল্লার বি-৫২ বোমারু বিমান এবং ১২টি এফ-১৮ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হচ্ছে। জেনারেল মিলে জানিয়েছেন তালেবান বিদ্রোহীরা আফগান সরকারি বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১২০টি হামলা চালাচ্ছে। গত ১ মে থেকে প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর মার্কিন এবং জোট বাহিনীর ওপর কোনো হামলা হয়নি। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, সেনা প্রত্যাহার পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলছে।
আচমকা বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু
এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, আফগানিস্তানে প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে কয়েকটি প্রদেশে আচমকা বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। আফগানিস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তামিম আজিমি জানান, গত কয়েকদিন ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে দেশটির ১৭টি প্রদেশ কর্দমাক্ত পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি জানান, বন্যায় এখনো ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ছয়জন। ভারী বৃষ্টিপাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। এতে পথে এসে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪৬০টি পরিবার।
এছাড়া বন্যার তাণ্ডবে প্রায় আড়াই হাজার গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তামিম আজিমি। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্যের কাজ শুরু করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। তাদের কাছে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী প্রতিটি পরিবারকে ৫০ হাজার আফগানি (আফগান মুদ্রা) এবং আহতদের জনপ্রতি ২৫ হাজার আফগানি করে দেয়া হবে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হেরাত প্রদেশ। সেখানে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছে ঘোর, বাদাখশান, বামিয়ান, বাঘলানের মতো প্রদেশগুলো।

 


আরো সংবাদ



premium cement