২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সৌদি বাদশাহ সালমান ও এরদোগানের ফোনালাপ

ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
-

পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সাথে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান টেলিফোনে আলাপ করেছেন। তুরস্কের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়। মঙ্গলবার তাদের মধ্যে এই ফোনালাপ হয়। এটি ছিল গত এক মাসের মধ্যে দুই নেতার মধ্যে দ্বিতীয় ফোনালাপ।
এরদোগান এ সময় সৌদি বাদশাহকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানান। জবাবে সৌদি বাদশাহও তুরস্কের জনগণ ও প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে শুভেচ্ছা জানান এবং বিশ্বের সব মুসলিমের মঙ্গলের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। তুরস্কের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা নিজেদের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। একই সাথে দু’দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফোনে কথা বলার সময় সৌদি বাদশাহকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর ওপর প্রথম কুরআন নাজিলের আসন্ন মহিমান্বিত লাইলাতুল কদর, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও চলমান পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানান এরদোগান। সৌদি আরব ও তুরস্কে ২৭ রমজান ৮ মে রাতে লাইলাতুর কদর পালিত হবে।
ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের জেরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুরস্ক ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলায় গিয়ে ঠেকেছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন ক্ষমতায় বসার পরে দু’দেশের মধ্যে আবারো সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেডিসেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ছাড় পেয়ে আসছিল সৌদি আরব। তবে বাইডেন এসেই দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানকে এ হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করে।
অপর দিকে তুরস্কের শাসন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও চাপ প্রয়োগের কথা বলে আসছেন বাইডেন। ধারণা করা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতেই নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী হয়ে উঠেছে তুরস্ক ও সৌদি আরব। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। সৌদিকে কাবু করতে এই ইস্যু চেপে ধরে তুরস্ক। নিজের দেশে আলাদা বিচারের সিদ্ধান্তও নেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
অপর দিকে সৌদি আরবকে দেখা গেছে একের পর তুর্কি পণ্য বয়কট করতে। গত বছর সৌদি ব্যবসায়ীদের এমন সিদ্ধান্তে তুরস্ক থেকে আসা পণ্যের পরিমাণ ৯৮ ভাগ কমে গিয়েছিল। তবে এখন এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন জানিয়েছেন, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক আয়োজিত হতে চলেছে। এর আগে মিসরের সাথেও আলোচনা করেছেন এরদোগান। মার্কিন-আরব যে মিত্রজোট মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে ওই দেশগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নে এরদোগান যে সচেষ্ট হয়ে উঠেছেন তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। গত মার্চ থেকেই মিসরের আথে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার কথা বলে আসছে তুরস্ক।


আরো সংবাদ



premium cement